অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বৃটেন
সব
দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে আগ্রহী বৃটেন। ঢাকায়
নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির
সঙ্গে মতবিনিময়ে গতকাল এমনটাই জানিয়েছেন। বৃটিশ দূত বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে
ঢাকায় সফরকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন,
মুক্ত গণমাধ্যম এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে
গেছেন। বৃটেন অন্তর্ভুক্তি, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনে
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে জানিয়ে অ্যালিসন ব্লেইক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ
রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। বৃটেন মনে করে এটি কেবল নির্বাচনের দিনে
নয়, গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়াই শান্তিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন। বৃটিশ দূতের
প্রত্যাশা- শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াই অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু
সর্বোপরি একটি ভালো অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে। নির্বাচনের
আগে সমস্যাগুলোর সমাধানে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপকে যুক্তরাষ্ট্র
উৎসাহিত করছে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের একটি পন্থা
(পিসফুল ওয়ে ফরওয়ার্ড) খুঁজে নিতে কমনওয়েলথ, ইইউ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক
সহযোগীদের নিয়ে বৃটেন বাংলাদেশকে উৎসাহ দিয়ে যাবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের
ভিআইপি লাউঞ্জে মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকালে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস
অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব)-এর ফ্লাগশিপ ওই প্রোগ্রামে দেশের বিদ্যমান
পরিস্থিতি ছাড়াও ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক, বেক্সিট, রোহিঙ্গা সংকট, ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইন, গুপ্তচর হত্যা, রাশিয়ার সঙ্গে বৃটেনসহ পশ্চিমা দুনিয়ার
টানাপড়েন ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন তিনি। লিখিত বক্তৃতা ছাড়াও উপস্থিত
কূটনৈতিক রিপোর্টারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জ্যেষ্ঠ ওই কূটনীতিক।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৃটেন হস্তক্ষেপ করবে না।
এখানকার রাজনীতি বা নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও তারা কোনো পূর্বানুমান করবে
না। এটি একান্তই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সিদ্ধান্ত। এখানে তৃতীয় পক্ষের
কোনো মধ্যস্থতাও কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে বৃটিশ দূত বলেন, আমরা আপনাদের
বন্ধু-উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে উৎসাহ যোগাতে পারি। কিন্তু সমাধান দেশবাসীকেই
করতে হবে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ এবং এর মধ্য দিয়ে
সংকটের একটি সমাধানের পথ দেশবাসীই খুঁজে নেবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি
বলেন, এখানে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। বিরোধীরাও সরকারের কাছে যেতে পারেন,
দেশবাসীর উদ্দেশ্যেও বলতে পারেন। ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের
সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিশু ছাড়াও নিয়মিত
কূটনৈ তিক বিট কভার করা রিপোর্টাররা আলোচনায় অংশ নেন।
ডিজিটাল আইন, রোহিঙ্গা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ: এদিকে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একাধিক ধারা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এ নিয়ে তারা বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলছেন। এর আগে একাধিক দেশের কূটনীতিকরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন এবং মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল গণমাধ্যম বিস্তৃত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণা, সামপ্রদায়িকতা, সন্ত্রাসবাদী মতবাদ প্রচারের মতো বিষয় নতুন করে দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্ত থাকাটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বিচক্ষণতা এবং দক্ষতার সঙ্গে। কোনো অবস্থাতেই মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার কিংবা মুক্ত সাংবাদিকতা ব্যাহত হয় এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত না থাকলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়ে, যেকোনো পদক্ষেপের আগে এই সত্যটি বিবেচনায় রাখা জরুরি।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর বৃটেনের চাপ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে বৃটেন ওই জনগোষ্ঠীর ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তার দেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিক ও মানবাধিকার সুরক্ষিত হলেই কেবল এ সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে। তিনি আরো বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে হবে। তবে এটি হতে হবে মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রাথমিক শর্ত পূরণ করায় ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, পরিপূর্ণভাবে এ গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের পাশে থাকে বৃটেন। বৃটেন সব সময়ই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পাশে রয়েছে।
ভিসা সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় দিল্লিতে ভিসাকেন্দ্র স্থানান্তর হলেও বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসার আবেদন আগের নিয়মেই রয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন কম সময়ে এবং সহজে ভিসা পায় সে জন্য বৃটিশ হাইকমিশন সব সময় সচেষ্ট। রাশিয়ার সাবেক গুপ্তচর এবং তার কন্যাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বৃটেনের টানাপড়েন নয় বরং তার দেশ এটাকে রাশিয়ার গুরুতর অন্যায় হিসেবে বিবেচনা করছে বলে জানান বৃটিশ দূত। বলেন, এ ঘটনা তদন্তে রাসায়নিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় বিষয়ক সংস্থা ওপিসিডব্লিউর বর্তমান চেয়ার এবং সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দুনিয়ার সঙ্গে থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
ডিজিটাল আইন, রোহিঙ্গা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ: এদিকে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একাধিক ধারা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এ নিয়ে তারা বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলছেন। এর আগে একাধিক দেশের কূটনীতিকরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন এবং মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল গণমাধ্যম বিস্তৃত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণা, সামপ্রদায়িকতা, সন্ত্রাসবাদী মতবাদ প্রচারের মতো বিষয় নতুন করে দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্ত থাকাটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বিচক্ষণতা এবং দক্ষতার সঙ্গে। কোনো অবস্থাতেই মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার কিংবা মুক্ত সাংবাদিকতা ব্যাহত হয় এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত না থাকলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়ে, যেকোনো পদক্ষেপের আগে এই সত্যটি বিবেচনায় রাখা জরুরি।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর বৃটেনের চাপ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে বৃটেন ওই জনগোষ্ঠীর ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তার দেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিক ও মানবাধিকার সুরক্ষিত হলেই কেবল এ সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে। তিনি আরো বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে হবে। তবে এটি হতে হবে মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রাথমিক শর্ত পূরণ করায় ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, পরিপূর্ণভাবে এ গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের পাশে থাকে বৃটেন। বৃটেন সব সময়ই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পাশে রয়েছে।
ভিসা সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় দিল্লিতে ভিসাকেন্দ্র স্থানান্তর হলেও বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসার আবেদন আগের নিয়মেই রয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন কম সময়ে এবং সহজে ভিসা পায় সে জন্য বৃটিশ হাইকমিশন সব সময় সচেষ্ট। রাশিয়ার সাবেক গুপ্তচর এবং তার কন্যাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বৃটেনের টানাপড়েন নয় বরং তার দেশ এটাকে রাশিয়ার গুরুতর অন্যায় হিসেবে বিবেচনা করছে বলে জানান বৃটিশ দূত। বলেন, এ ঘটনা তদন্তে রাসায়নিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় বিষয়ক সংস্থা ওপিসিডব্লিউর বর্তমান চেয়ার এবং সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দুনিয়ার সঙ্গে থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
No comments