বাংলাদেশি পাচারে জড়িত কিউই দম্পতির পরিচয় প্রকাশ
দুই
বাংলাদেশি পাচারের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন এক কিউই দম্পতি। নিউজিল্যান্ডের
ইমিগ্রেশনের তথ্যমতে, এই দম্পতি দুইজন বাংলাদেশিকে অবৈধ উপায়ে
প্রতারণামূলকভাবে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশে সহায়তা করেছেন। তাদের পরিচয় প্রকাশ
করেছে কর্তৃপক্ষ। নিউজিল্যান্ডে সাধারণত এই ধরনের অপরাধীদের নাম প্রকাশ
করা হয় না। তবে, কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ তা মানুষের
জানার অধিকার রয়েছে। এ খবর দিয়েছে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।
খবরে বলা হয়, অভিযুক্ত দম্পতি মূলত ব্যবসায়ী। ইমিগ্রেশনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৮শে মার্চ তাদের অকল্যান্ডের একটি আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তাদের পরিচয় জনসম্মুখে প্রকাশের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। বুধবার বিচারক ম্যাথু পালমারের আদালতে আপিল শুনানিতে তাদের উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, শুনানির আগেই পরিচয় গোপন রাখতে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দ্য হেরাল্ড জানতে পেরেছে অভিযুক্তরা হলেন, কিউই নাগরিক মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম ওরফে কাফি ইসলাম ও নাফিসা আহমেদ।
৩৭ বছর বয়সী কাফি ইসলাম নিজের কোম্পানি দেখাশোনা করেন। দুই বাংলাদেশিকে নিউজিল্যান্ডে অনুপ্রবেশে সহায়তার পাশাপাশি আরো ২৮টি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে পাঁচ কর্মচারী নির্যাতন, ইমিগ্রেশন অফিসারকে ভুল তথ্য প্রদান ও ভিসার শর্ত লঙ্ঘন অন্যতম। আর ৩৪ বছরের নাফিসা আহমেদ পেশায় হিসাবরক্ষক। তার বিরুদ্ধেও ১৪টি অভিযোগ তোলা হয়েছে। উচ্চ আদালতে করা আবেদন বাতিল হওয়ার পর অভিযুক্ত দম্পতি বলেন, নাম গোপন রাখার বিষয়ে আর জোরাজুরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মেনে নিয়েছি যে, এই মামলার বিষয়ে মানুষের জানা উচিত।’ তবে, তারা উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের কোম্পানির কয়েকজন কর্মচারী কম বেতন দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এ ছাড়া কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে। কর্মচারীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দম্পতি। তবে তারা বলেছেন, তাদের ব্যবসা আর্থিক সংকটে পড়েছে। বাধ্য হয়ে তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তারা বলেন, আমরা সবসময় সকল কর্মচারীর সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ করেছি। এমন অভিযোগের একমাত্র কারণ হলো, আমরা তাদের ভিসা দিয়েছি। যাতে তাদের নিউজিল্যান্ডে অবস্থান ও কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আদালত মামলার শুনানি শেষে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করেন তারা।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডে মানবপাচার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়। এতে অপরাধী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ ডলার জরিমানা করা হতে পারে। আর নির্যাতন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের জেল ও এক লাখ ডলার জরিমানা।
খবরে বলা হয়, অভিযুক্ত দম্পতি মূলত ব্যবসায়ী। ইমিগ্রেশনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৮শে মার্চ তাদের অকল্যান্ডের একটি আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তাদের পরিচয় জনসম্মুখে প্রকাশের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। বুধবার বিচারক ম্যাথু পালমারের আদালতে আপিল শুনানিতে তাদের উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, শুনানির আগেই পরিচয় গোপন রাখতে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দ্য হেরাল্ড জানতে পেরেছে অভিযুক্তরা হলেন, কিউই নাগরিক মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম ওরফে কাফি ইসলাম ও নাফিসা আহমেদ।
৩৭ বছর বয়সী কাফি ইসলাম নিজের কোম্পানি দেখাশোনা করেন। দুই বাংলাদেশিকে নিউজিল্যান্ডে অনুপ্রবেশে সহায়তার পাশাপাশি আরো ২৮টি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে পাঁচ কর্মচারী নির্যাতন, ইমিগ্রেশন অফিসারকে ভুল তথ্য প্রদান ও ভিসার শর্ত লঙ্ঘন অন্যতম। আর ৩৪ বছরের নাফিসা আহমেদ পেশায় হিসাবরক্ষক। তার বিরুদ্ধেও ১৪টি অভিযোগ তোলা হয়েছে। উচ্চ আদালতে করা আবেদন বাতিল হওয়ার পর অভিযুক্ত দম্পতি বলেন, নাম গোপন রাখার বিষয়ে আর জোরাজুরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মেনে নিয়েছি যে, এই মামলার বিষয়ে মানুষের জানা উচিত।’ তবে, তারা উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের কোম্পানির কয়েকজন কর্মচারী কম বেতন দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এ ছাড়া কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে। কর্মচারীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দম্পতি। তবে তারা বলেছেন, তাদের ব্যবসা আর্থিক সংকটে পড়েছে। বাধ্য হয়ে তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তারা বলেন, আমরা সবসময় সকল কর্মচারীর সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ করেছি। এমন অভিযোগের একমাত্র কারণ হলো, আমরা তাদের ভিসা দিয়েছি। যাতে তাদের নিউজিল্যান্ডে অবস্থান ও কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আদালত মামলার শুনানি শেষে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করেন তারা।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডে মানবপাচার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়। এতে অপরাধী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ ডলার জরিমানা করা হতে পারে। আর নির্যাতন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের জেল ও এক লাখ ডলার জরিমানা।
No comments