থমকে গেছে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কাজ
ইসরাইলে
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে পবিত্র নগরী জেরুজালেমে স্থানান্তর
করার প্রক্রিয়া নিশ্চল হয়ে গেছে। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে
ট্রাম্প প্রশাসন স্বীকৃতি দেওয়ার পর সেখানে অবস্থিত আমেরিকার কনস্যুলেট
অফিসকে দূতাবাসে রূপান্তর করার কথা ছিল। ইসরাইল সরকার এজন্য বিল্ডিং পারমিট
গ্রহণের বাধ্যবাধকতা শিথিল করে। এমনকি একজন ঠিকাদারকে কাজও বুঝিয়ে দেওয়া
হয়। তবে ইসরাইলের স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন হওয়ার
কথা থাকলেও, তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ খবর দিয়েছে ইসরাইলের পত্রিকা দ্য
হারেৎস।
কারণ হিসেবে খবরে বলা হয়েছে, দূতাবাসের চারপাশে দেওয়াল নির্মানের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসন দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য দেওয়াল নির্মানের দাবি জানিয়েছিল।
কয়েক সপ্তাহ আগে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের মার্কিন ঘোষণা বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। মে মাসে মার্কিন প্রশাসন এ ঘোষণা দেয়। ধারণা করা হয়েছিল, ইসরাইলের ৭০ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিন নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করা হবে। পরিকল্পনা অনুসারে, আপাতত আরনোনা এলাকায় অবস্থিত কনস্যুলেটকে দূতাবাসে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই কাজ দ্রুত করার জন্য ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী মোশে কালনের হস্তক্ষেপে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করা হয়। এছাড়া পরবর্তীতে স্থায়ী দূতাবাস নির্মানের জন্য জায়গা বেছে নেওয়া হয়।
তবে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান কিছু নিরাপত্তা সংক্রান্ত শর্ত জুড়ে দেন। এর মধ্যে রয়েছে ৭৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৭ মিটার চওড়া বিশেষ পথ তৈরি ও ৩.২ মিটার উঁচু দেওয়াল নির্মান। এ কাজের জন্য আমেরিকা মোরিয়াহ জেরুজালেম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়।
পরে ঠিক করা হয় দূতাবাসে বিশেষ বের হওয়ার রাস্তা তৈরির অর্থ দেওয়া হবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই কাজ শুরুর কথা রয়েছে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে দেওয়াল নির্মান নিয়ে।
জেরুজালেম পৌরসভার মহাপরিচালক আমনন মেরহাভ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি দূতাবাসের চারপাশে দেওয়াল নির্মানের বিপত্তির কথা বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, দূতাবাসের নীল নকশায় এই দেওয়াল নির্মানের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো আগামী মে মাসের মাঝামাঝি এই কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।’ এছাড়া দেওয়াল নির্মানের অর্থায়নের ব্যাপারে রাষ্ট্রের কাছ থেকে যথোপযুক্ত অঙ্গীকার তিনি পাননি। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, এ ধরণের অঙ্গিকার ছাড়া, কাজ শুরু হতে পারবে না।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোরিয়ার আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও সময় সংক্রান্ত জটিলতায় প্রকল্পটি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। তবে জেরুজালেম পৌরসভা বলেছে, রাস্তা তৈরির বাজেট দেওয়া হয়েছে, তাই কাজ শুরু হবে। তবে দেওয়ালের অর্থায়ন নিয়ে কথাবার্তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
কারণ হিসেবে খবরে বলা হয়েছে, দূতাবাসের চারপাশে দেওয়াল নির্মানের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসন দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য দেওয়াল নির্মানের দাবি জানিয়েছিল।
কয়েক সপ্তাহ আগে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের মার্কিন ঘোষণা বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। মে মাসে মার্কিন প্রশাসন এ ঘোষণা দেয়। ধারণা করা হয়েছিল, ইসরাইলের ৭০ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিন নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করা হবে। পরিকল্পনা অনুসারে, আপাতত আরনোনা এলাকায় অবস্থিত কনস্যুলেটকে দূতাবাসে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই কাজ দ্রুত করার জন্য ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী মোশে কালনের হস্তক্ষেপে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করা হয়। এছাড়া পরবর্তীতে স্থায়ী দূতাবাস নির্মানের জন্য জায়গা বেছে নেওয়া হয়।
তবে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান কিছু নিরাপত্তা সংক্রান্ত শর্ত জুড়ে দেন। এর মধ্যে রয়েছে ৭৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৭ মিটার চওড়া বিশেষ পথ তৈরি ও ৩.২ মিটার উঁচু দেওয়াল নির্মান। এ কাজের জন্য আমেরিকা মোরিয়াহ জেরুজালেম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়।
পরে ঠিক করা হয় দূতাবাসে বিশেষ বের হওয়ার রাস্তা তৈরির অর্থ দেওয়া হবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই কাজ শুরুর কথা রয়েছে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে দেওয়াল নির্মান নিয়ে।
জেরুজালেম পৌরসভার মহাপরিচালক আমনন মেরহাভ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি দূতাবাসের চারপাশে দেওয়াল নির্মানের বিপত্তির কথা বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, দূতাবাসের নীল নকশায় এই দেওয়াল নির্মানের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো আগামী মে মাসের মাঝামাঝি এই কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।’ এছাড়া দেওয়াল নির্মানের অর্থায়নের ব্যাপারে রাষ্ট্রের কাছ থেকে যথোপযুক্ত অঙ্গীকার তিনি পাননি। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, এ ধরণের অঙ্গিকার ছাড়া, কাজ শুরু হতে পারবে না।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোরিয়ার আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও সময় সংক্রান্ত জটিলতায় প্রকল্পটি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। তবে জেরুজালেম পৌরসভা বলেছে, রাস্তা তৈরির বাজেট দেওয়া হয়েছে, তাই কাজ শুরু হবে। তবে দেওয়ালের অর্থায়ন নিয়ে কথাবার্তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
No comments