অব্যাহত গাজা বিক্ষোভ: ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত দুই ফিলিস্তিনি
অবরুদ্ধ
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় টানা তৃতীয় শুক্রবারেও
বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলি বাহিনী এই ফিলিস্তিনি
গণবিক্ষোভে সহিংসতার জন্য প্রস্তুত রেখেছে নিজেদের। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর
অনুসারে, বিক্ষোভে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নিহত
হয়েছে। মোলোটভ ককটেল (পেট্রোল বোমা, বোতল বোমা) এর দিকে ইঙ্গিত করে
বিক্ষোভের আয়োজনকারীরা আজকের দিনকে ‘মোলোটভ’ দিন বলে আখ্যায়িত করেছে বলে
বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে। তবে আয়োজনকারীরা তা অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, এই
বিক্ষোভ অসহিংস। তাদের দাবি, ইসরাইল তাদের বিক্ষোভের দায়ভার হামাসের ওপর
চাপানোর চেষ্টা করছে ও বিক্ষোভটিকে সহিংস রুপ দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ
খবর দিয়েছে আল জাজিরা ও হারেৎস।
খবরে বলা হয়, আজ বিক্ষোভে সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পেট্রোল বোমা ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিক্ষোভের আয়োজনকারীদের একজন হারেৎসকে বলেছে, ‘ইসরাইল সবদিক দিয়ে এই পদযাত্রার দায়ভার হামাসের ওপর চাপাতে চাইছে। তাছাড়া ফিলিস্তিনি পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠলে তা তাদের জন্য সুবিধাজনক। তাই আমরা এমনটা ঘটতে দেবোনা।’ এসময় ওই আয়োজনকারী, দুই সপ্তাহ আগে হামাসের ওপর ইসরাইলি বিমান হামলার কথা টেনে আনেন। বলেন, ইসরাইল চেষ্টা করছে ফিলিস্তিনিদের, বিশেষ করে হামাস’কে একটি পুরোপুরি সহিংস যুদ্ধে নিয়ে যাবার। কিন্তু আয়োজনকারীদের অস্বীকৃতি সত্ত্বেও কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মুখে দিনটিকে ‘মোটোলভ ককটেল দিবস’ হিসেবে বর্ণনা করতে শোনা গেছে বলে বলা হয়েছে হারেৎসের প্রতিবেদনে। এদিকে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে স্থানীয় সময় বৃহ¯পতিবার ও শুক্রবার মিলে বিক্ষোভ ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আল-শুহরি(২৮)। তাকে খান ইউনুস শহরের নিকটবর্তী এলাকায় বুকে গুলি করা হয়। গাজা’র স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদর এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন। আল শুহরি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই তাকে নিকটবর্তী ইউরোপিয়ান হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গুলির আঘাত থেকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। গ্রেট মার্চ অফ রিটার্ন নামের এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এক ধর্মঘটে অংশ নিয়ে আন্দোলন করার সময় তাকে গুলি করা হয়। এর আগে বৃহ¯পতিবার, গাজা’র আল-শিফা হাসপাতালে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে প্রাণ হারান মোহাম্মদ আবু হাজেলা(৩১) নামের এক ব্যক্তি। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ইসরাইলে নিজেদের ভ’মিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দেয়ার দাবিতে ৩০শে মার্চ ‘গ্রেট মার্চ অফ রিটার্ন’ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট ৩৪ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
খবরে বলা হয়, আজ বিক্ষোভে সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পেট্রোল বোমা ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিক্ষোভের আয়োজনকারীদের একজন হারেৎসকে বলেছে, ‘ইসরাইল সবদিক দিয়ে এই পদযাত্রার দায়ভার হামাসের ওপর চাপাতে চাইছে। তাছাড়া ফিলিস্তিনি পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠলে তা তাদের জন্য সুবিধাজনক। তাই আমরা এমনটা ঘটতে দেবোনা।’ এসময় ওই আয়োজনকারী, দুই সপ্তাহ আগে হামাসের ওপর ইসরাইলি বিমান হামলার কথা টেনে আনেন। বলেন, ইসরাইল চেষ্টা করছে ফিলিস্তিনিদের, বিশেষ করে হামাস’কে একটি পুরোপুরি সহিংস যুদ্ধে নিয়ে যাবার। কিন্তু আয়োজনকারীদের অস্বীকৃতি সত্ত্বেও কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মুখে দিনটিকে ‘মোটোলভ ককটেল দিবস’ হিসেবে বর্ণনা করতে শোনা গেছে বলে বলা হয়েছে হারেৎসের প্রতিবেদনে। এদিকে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে স্থানীয় সময় বৃহ¯পতিবার ও শুক্রবার মিলে বিক্ষোভ ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আল-শুহরি(২৮)। তাকে খান ইউনুস শহরের নিকটবর্তী এলাকায় বুকে গুলি করা হয়। গাজা’র স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদর এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন। আল শুহরি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই তাকে নিকটবর্তী ইউরোপিয়ান হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গুলির আঘাত থেকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। গ্রেট মার্চ অফ রিটার্ন নামের এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এক ধর্মঘটে অংশ নিয়ে আন্দোলন করার সময় তাকে গুলি করা হয়। এর আগে বৃহ¯পতিবার, গাজা’র আল-শিফা হাসপাতালে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে প্রাণ হারান মোহাম্মদ আবু হাজেলা(৩১) নামের এক ব্যক্তি। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ইসরাইলে নিজেদের ভ’মিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দেয়ার দাবিতে ৩০শে মার্চ ‘গ্রেট মার্চ অফ রিটার্ন’ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট ৩৪ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
No comments