পাঁচ দফা শর্ত আন্দোলন স্থগিত: প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধি
সরকারি
চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির আগ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা
করা হয়েছে। টানা চারদিন আন্দোলনের পর বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী
কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন হলেও কোটা বাতিলের
ঘোষণা দেয়ায় অনেকটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে আন্দোলনকারীরা একদিন সময় নিয়ে গতকাল
আন্দোলন স্থগিতের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে
ভূষিত করেন।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ-এর ব্যানারে চলা আন্দোলনে বুধবার উত্তাল ছিল সারা দেশ। বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করায় স্থবির হয়ে পড়েছিল রাজধানী। এমন পরিস্থিতিতে বিকালে সংসদে দেয়া দীর্ঘ বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতিই বাতিলের ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক কোনো ঘোষণা না দিয়ে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু স্মারক ভাস্কর্যের সামনে সাংবাদিকদের নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এসময় তিনি বলেন, গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন স্থগিত থাকবে। তবে আন্দোলনকারী কোনো শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির কাউকে হয়রানি করা হলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দাবি মেনে নেয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে আনন্দ মিছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, ভিসি চত্বর হয়ে পুনরায় টিএসসিতে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান ও নুরুল হক।
এর আগে আন্দোলনকারীরা নিজেদের ৫ দফা শর্ত উপস্থাপন করেন। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দ্রুত গেজেট প্রকাশ করে বাস্তবায়ন; গ্রেপ্তার হওয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি; আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাত আসামি করে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে কোনো প্রকার হয়রানি না করা। নুরুল হক নুরু বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাদার অব এডুকেশন উপাধিতে ভূষিত করা হলো। পরে আহ্বায়ক হাসান আল মামুন গেজেট না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিলেরও ঘোষণা দেন। এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের পাশাপাশি সংহতি প্রকাশ করা শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গত রোববার শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। শাহবাগ থেকে সরে গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশি অ্যাকশন, সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে নজিরবিহীন হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাতের ঘটনার প্রতিবাদে পরের দিন ভোর থেকেই থেমে থেমে বিক্ষোভ হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিকালে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সচিবালয়ে সমঝোতা বৈঠক করে কোটা সংস্কারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ৭ই মে পর্যন্ত সময় দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ছাত্র প্রতিনিধিরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন তারা। আন্দোলনে দেখা দেয় বিভক্তি। তবে ওই দিন জাতীয় সংসদে দেয়া কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দেয়া বক্তব্যে ফের ফুঁসে উঠে আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার বিকালে বিভক্ত দুই পক্ষ এক হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ওই দিন রাতে কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগ সভাপতির মারধরের শিকার হন এক শিক্ষার্থী। তার রক্তাক্ত পায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর রাতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে সারা দেশ। আন্দোলনে অচল হয়ে পড়ে ঢাকা। এমন অবস্থায় বিকালে জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ-এর ব্যানারে চলা আন্দোলনে বুধবার উত্তাল ছিল সারা দেশ। বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করায় স্থবির হয়ে পড়েছিল রাজধানী। এমন পরিস্থিতিতে বিকালে সংসদে দেয়া দীর্ঘ বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতিই বাতিলের ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক কোনো ঘোষণা না দিয়ে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু স্মারক ভাস্কর্যের সামনে সাংবাদিকদের নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এসময় তিনি বলেন, গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন স্থগিত থাকবে। তবে আন্দোলনকারী কোনো শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির কাউকে হয়রানি করা হলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দাবি মেনে নেয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে আনন্দ মিছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, ভিসি চত্বর হয়ে পুনরায় টিএসসিতে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান ও নুরুল হক।
এর আগে আন্দোলনকারীরা নিজেদের ৫ দফা শর্ত উপস্থাপন করেন। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দ্রুত গেজেট প্রকাশ করে বাস্তবায়ন; গ্রেপ্তার হওয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি; আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাত আসামি করে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে কোনো প্রকার হয়রানি না করা। নুরুল হক নুরু বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাদার অব এডুকেশন উপাধিতে ভূষিত করা হলো। পরে আহ্বায়ক হাসান আল মামুন গেজেট না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিলেরও ঘোষণা দেন। এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের পাশাপাশি সংহতি প্রকাশ করা শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গত রোববার শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। শাহবাগ থেকে সরে গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশি অ্যাকশন, সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে নজিরবিহীন হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাতের ঘটনার প্রতিবাদে পরের দিন ভোর থেকেই থেমে থেমে বিক্ষোভ হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিকালে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সচিবালয়ে সমঝোতা বৈঠক করে কোটা সংস্কারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ৭ই মে পর্যন্ত সময় দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ছাত্র প্রতিনিধিরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন তারা। আন্দোলনে দেখা দেয় বিভক্তি। তবে ওই দিন জাতীয় সংসদে দেয়া কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দেয়া বক্তব্যে ফের ফুঁসে উঠে আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার বিকালে বিভক্ত দুই পক্ষ এক হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ওই দিন রাতে কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগ সভাপতির মারধরের শিকার হন এক শিক্ষার্থী। তার রক্তাক্ত পায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর রাতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে সারা দেশ। আন্দোলনে অচল হয়ে পড়ে ঢাকা। এমন অবস্থায় বিকালে জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
No comments