‘পুলিশ বেষ্টনীতেই মঙ্গল শোভাযাত্রা ও ছায়ানটের বর্ষবরণ’
বাংলা
নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ ইউনেস্কো স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে
পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে। মাঝখানে কেউ তাতে যোগ দিতে পারবে না। এবার রমনা
পার্কে ছায়ানটের বর্ষবরণও অনুষ্ঠিত হবে দু’স্তরের পুলিশ বেষ্টনীতে। এছাড়া
রাজধানীর উন্মুক্ত স্থানে বর্ষবরণের সব অনুষ্ঠান ঘিরে থাকছে ব্যাপক
নিরাপত্তা ব্যবস্থা। থাকছে তল্লাশি, সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার।
আয়োজনকে ধূমপান মুক্ত রাখতে থাকছে কড়াকড়ি। ধূমপান ও ইভটিজিং রোধে মাঠে
থাকছে মোবাইল কোর্ট। মুখে নয়, মুখোশ রাখতে হবে হাতে। বাজবে না বিরক্তিকর
ভুভুজেলা। আগামীাল শনিবার বিকাল ৫টার মধ্যেই উন্মুক্ত স্থানের সব অনুষ্ঠান
সমাপ্ত করতে হবে।
রাজধানীতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বরণ অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল দুপুরের দিকে ডিএমপি’র মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএমপি’র বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলার প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। বৈশাখের পোশাক পরে সবাই মিলিত হবে। পুরো ঢাকা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। পহেলা বৈশাখের আনন্দ সবার, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। ওইদিনে নগরবাসীর আনন্দ উদযাপন নিরাপদ ও নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমন্বিত ও সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে রাজধানী জুড়ে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। একই সঙ্গে থাকবে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে একই দিন মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিন শবেমেরাজ। শনিবার রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এবাদত করবেন। যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে তাই বিকাল ৫টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে পাবলিক প্লেস খালি করতে হবে। তবে রবীন্দ্র সরোবরে অনুষ্ঠান চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। অন্যদিকে বিকাল ৫টার মধ্যে ইনডোরে কেউ অনুষ্ঠান করতে চাইলে তাতে বাধা নেই বলেও জানান তিনি।
তবে এবার পহেলা বৈশাখ নববর্ষের অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো হুমকি না থাকলেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদেরকে জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও বিভিন্ন ঝুঁকির বিষয় মাথায় নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই আমরা আগে থেকে সজাগ। প্রতিটি ভেন্যু নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আসবে। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সবগুলো ভেন্যু স্যুইপ করা হবে। গেটে থাকবে আর্চওয়ে। তল্লাশি করেই ঢুকানো হবে সবাইকে। ক্ষতিকর কাজে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এমন কোনো ধাতব বস্তু দা, নেইল কাটার, ব্লেড ও দাহ্য পদার্থ যেমন দেশলাই ইত্যাদি বহন না করতে বলেন তিনি। রমনাসহ বিস্তৃত এলাকা থাকবে মাইকের আওতায়। কেউ হারানো গেলে সন্ধান দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করবে পুলিশের একটি দল। তল্লাশির সময় অসুবিধা এড়াতে বড় ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে অনুষ্ঠানে না যেতেও অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘিরে আরো থাকছে সোয়াট টিম, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও র্যাব’র বিশেষ দল। এছাড়া হাতির ঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ যেসব স্থানে পানি রয়েছে সেখানে থাকছে নৌ-পুলিশের দল। প্রস্তুত থাকবে দমকল বাহিনী ও এম্বুলেন্স। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার হাসপাতালগুলো।
তবে এবার পুলিশ নাগরিকদের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরির উদ্যোগ হিসেবে বিভিন্ন পয়েন্টে আগতদের মাঝে ফুল ও বাতাসা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। ৮টি স্থানে বিতরণ করা হবে সুপেয় পানি।
এদিকে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। বেশকিছু রোডে যান চলাচল একমুখী হবে। ডাইভারশনও থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক ও সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান ও পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং রবীন্দ্র সরোবরে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। হেঁটে চলাচল করতে হবে আগতদের।
রাজধানীতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বরণ অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল দুপুরের দিকে ডিএমপি’র মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএমপি’র বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলার প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। বৈশাখের পোশাক পরে সবাই মিলিত হবে। পুরো ঢাকা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। পহেলা বৈশাখের আনন্দ সবার, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। ওইদিনে নগরবাসীর আনন্দ উদযাপন নিরাপদ ও নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমন্বিত ও সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে রাজধানী জুড়ে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। একই সঙ্গে থাকবে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে একই দিন মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিন শবেমেরাজ। শনিবার রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এবাদত করবেন। যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে তাই বিকাল ৫টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে পাবলিক প্লেস খালি করতে হবে। তবে রবীন্দ্র সরোবরে অনুষ্ঠান চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। অন্যদিকে বিকাল ৫টার মধ্যে ইনডোরে কেউ অনুষ্ঠান করতে চাইলে তাতে বাধা নেই বলেও জানান তিনি।
তবে এবার পহেলা বৈশাখ নববর্ষের অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো হুমকি না থাকলেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদেরকে জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও বিভিন্ন ঝুঁকির বিষয় মাথায় নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই আমরা আগে থেকে সজাগ। প্রতিটি ভেন্যু নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আসবে। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সবগুলো ভেন্যু স্যুইপ করা হবে। গেটে থাকবে আর্চওয়ে। তল্লাশি করেই ঢুকানো হবে সবাইকে। ক্ষতিকর কাজে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এমন কোনো ধাতব বস্তু দা, নেইল কাটার, ব্লেড ও দাহ্য পদার্থ যেমন দেশলাই ইত্যাদি বহন না করতে বলেন তিনি। রমনাসহ বিস্তৃত এলাকা থাকবে মাইকের আওতায়। কেউ হারানো গেলে সন্ধান দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করবে পুলিশের একটি দল। তল্লাশির সময় অসুবিধা এড়াতে বড় ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে অনুষ্ঠানে না যেতেও অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘিরে আরো থাকছে সোয়াট টিম, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও র্যাব’র বিশেষ দল। এছাড়া হাতির ঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ যেসব স্থানে পানি রয়েছে সেখানে থাকছে নৌ-পুলিশের দল। প্রস্তুত থাকবে দমকল বাহিনী ও এম্বুলেন্স। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার হাসপাতালগুলো।
তবে এবার পুলিশ নাগরিকদের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরির উদ্যোগ হিসেবে বিভিন্ন পয়েন্টে আগতদের মাঝে ফুল ও বাতাসা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। ৮টি স্থানে বিতরণ করা হবে সুপেয় পানি।
এদিকে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। বেশকিছু রোডে যান চলাচল একমুখী হবে। ডাইভারশনও থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক ও সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান ও পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং রবীন্দ্র সরোবরে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। হেঁটে চলাচল করতে হবে আগতদের।
No comments