ইউএস-বাংলা ট্র্যাজেডি: বিধ্বস্ত হওয়ার আগের কথোপকথন অস্পষ্ট- নেপালের তদন্ত কমিশন
ইউএস-বাংলার
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নেপালের তদন্ত কমিশন প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ
করেছে। তাতে বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের
মধ্যকার কথোপকথন অস্পষ্ট ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তাতে দুর্ঘটনার
কারণ উঠে আসেনি। পাঁচ পৃষ্ঠার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বিধ্বস্ত বিমানের
ব্ল্যাকবক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সরঞ্জাম বিচার বিশ্লেষণের জন্য কানাডার
ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। নেপালের
কমিশন গত ৯ই এপ্রিল রিপোর্টটি প্রকাশ করার পর গত বুধবার সিভিল এভিয়েশন
অথরিটি অব বাংলাদেশের কাছে পাঠানো হয়। একাধিক কর্মকর্তা তা জানান। ওই ভয়াবহ
দুর্ঘটনাটির পর পরই তদন্তের জন্য নেপাল কর্তৃপক্ষ ‘এয়ারক্রাফট
অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন, ২০১৮’ নামে ওই তদন্ত কমিশনটি গঠন করেন।
ওই কমিশনের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিমান ও টাওয়ার কন্ট্রোলের মধ্যকার
যোগাযোগ একটা সময় পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পরে উভয় পক্ষের খুবই
সামান্য যে কথোপকথন শোনা যাচ্ছে তা অস্পষ্ট। এতে নিশ্চিত করা হয়েছে,
বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বেড়ার কিছুটা বাইরে দুই নম্বর রানওয়ের
পূর্বাংশে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিভুবন
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে এবং অবতরণক্ষেত্র
ইউএস-বাংলার বিমানটির কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত ছিল। এছাড়া ভয়াবহ এই
দুর্ঘটনার মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে অগ্নিনির্বাপক ও জরুরি সংস্থার সদস্যরা
ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো
বলা হয় তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান, বিধ্বস্ত বিমান থেকে পাওয়া সব ডকুমেন্ট
বিচার বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং সেসব চূড়ান্ত প্রতিবেদনে
অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গত ১২ই মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি
বিধ্বস্ত হয়। ওই দিনই উড়োজাহাজটি ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে নেপালের
উদ্দেশে যাত্রা করে। এতে ২৭ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি ও একজন চীনের
নাগরিক মারা যান।
No comments