বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রেসিডেন্টের ১৬ দফা নির্দেশনা by নূর মোহাম্মদ
উচ্চশিক্ষায়
শৃঙ্খলা আনতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৬ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। সম্প্রতি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক ও ভিসিদের প্রতি তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রেসিডেন্টের সুপারিশগুলো ইউজিসিকে বাস্তবায়ন করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলেছি। বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন পেলে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে পাঠানো পত্রে ১৬ ধরনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সমাবর্তন বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের ছবি ব্যবহার করছে। এমনকি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এ ছবি ব্যবহার করছে, যা অনভিপ্রেত। এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অডিট হওয়ার প্রয়োজন। এজন্য অডিট রিপোর্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কাছে নিয়মিত জমা দেয়ার পাশাপাশি এখন থেকে চ্যান্সেলরের কাছে অডিট রিপোর্টের একটি অনুলিপি পাঠাতে হবে। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিজস্ব জমি বন্ধক দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মান নিশ্চিত করতে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুসরণীয় সমন্বিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ক্রিয়া, বির্তক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- জোরদার করতে হবে। শিক্ষার্থীরা উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক একটি তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে এবং কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে সরকারকে নিয়মিত অবহিত করতে হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যাতে সার্টিফিকেট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য ও অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করতে না পারে, সে ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম কীভাবে চলছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় নতুন বিভাগ খোলার ব্যাপারে চাহিদা ও যুগোপযোগিতার বিবেচনায় নতুন বিভাগ খোলার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে। প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ যথাযথ অনুসরণ করার নির্দেশন দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদারকি করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কাজ হলো গবেষণা। গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি বিধি মোতাবেক প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। যোগ্য নাগরিক গঠনের বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি উন্নত নৈতিক চরিত্র গঠনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে আরও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র ভর্তির বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করতে হবে। অ্যাক্সিডেটেশন কাউন্সিল দ্রুত গঠর করে এর কার্যক্রম শুরুর পদক্ষেপ নেয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করে সেখানে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত স্থানান্তরের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মঞ্জুরি কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রতি বছর ন্যূনতম একবার এধরনের বৈঠক হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রেসিডেন্টের সুপারিশগুলো ইউজিসিকে বাস্তবায়ন করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলেছি। বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন পেলে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে পাঠানো পত্রে ১৬ ধরনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সমাবর্তন বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের ছবি ব্যবহার করছে। এমনকি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এ ছবি ব্যবহার করছে, যা অনভিপ্রেত। এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অডিট হওয়ার প্রয়োজন। এজন্য অডিট রিপোর্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কাছে নিয়মিত জমা দেয়ার পাশাপাশি এখন থেকে চ্যান্সেলরের কাছে অডিট রিপোর্টের একটি অনুলিপি পাঠাতে হবে। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিজস্ব জমি বন্ধক দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মান নিশ্চিত করতে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুসরণীয় সমন্বিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ক্রিয়া, বির্তক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- জোরদার করতে হবে। শিক্ষার্থীরা উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক একটি তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে এবং কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে সরকারকে নিয়মিত অবহিত করতে হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যাতে সার্টিফিকেট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য ও অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করতে না পারে, সে ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম কীভাবে চলছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় নতুন বিভাগ খোলার ব্যাপারে চাহিদা ও যুগোপযোগিতার বিবেচনায় নতুন বিভাগ খোলার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে। প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ যথাযথ অনুসরণ করার নির্দেশন দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদারকি করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কাজ হলো গবেষণা। গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি বিধি মোতাবেক প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। যোগ্য নাগরিক গঠনের বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি উন্নত নৈতিক চরিত্র গঠনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে আরও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র ভর্তির বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করতে হবে। অ্যাক্সিডেটেশন কাউন্সিল দ্রুত গঠর করে এর কার্যক্রম শুরুর পদক্ষেপ নেয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করে সেখানে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত স্থানান্তরের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মঞ্জুরি কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রতি বছর ন্যূনতম একবার এধরনের বৈঠক হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
No comments