ভালুকায় মধ্যরাতে ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত ১
ভালুকায়
একটি ছয়তলা ভবনের তৃতীয়তলায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে তৌহিদুল ইসলাম নামে এক
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন তার অপর তিন
সহপাঠী। আহতদের দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও একজনকে ঢাকায়
পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত দেড়টার দিকে জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী
আইডিয়াল মোড় এলাকার জুট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর মালিকানাধীন আরএস
ভবনে। হতাহতরা সবাই খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
সূত্র জানায়, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুয়েট) চার
শিক্ষার্থী সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার মনিরুল ইসলামের ছেলে তৌহিদুল
ইসলাম (২৫) একই উপজেলার নুরুল ইসলাম আকন্দের ছেলে শাহীন আকন্দ (২৪), নওগাঁ
জেলার মান্দা উপজেলার মান্দাইলপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে হাবিবুর
রহমান (২৫) ও মাগুরা শালিখা উপজেলার দীঘল গ্রামের বিমল সরকারের ছেলে দীপ্ত
সরকার (২৫) ভালুকা মাস্টারবাড়ীস্থ স্কয়ার ইন্ডাস্ট্রিজে ইন্টার্ন করতে ১০
দিন আগে ওই ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলা ভাড়া নেন। শনিবার রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ
ভবনের তৃতীয়তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে তৃতীয়তলার দেয়াল ও
কাঁচের দরজা-জানালা ভেঙে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময়
তৌহিদুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত ও অন্যদের শরীর ঝলসে গুরুতর আহত হন।
আহতদের মাঝে হাফিজ, দীপ্ত সরকারকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও
নাজমুল ওরফে শাহীনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর বোমা
সন্দেহে পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রাখে। খবর পেয়ে রাতেই ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার সৈয়দ
নুরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন
ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
রোববার সকালে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুপুরে ঢাকা থেকে মেজর মাহমুদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের বোমা ডিস্পোজাল টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, ১০ দিন আগে খুলনা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (খুয়েট) চার ছাত্র এই ছয়তলা ভবনের তিনতলায় একটি রুম ভাড়া নেন। বিস্ফোরণের পর বিকট শব্দে ভবনটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়লে আশপাশের লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ভবনের নিচতলায় ওয়ালটনের শো-রুম রয়েছে এবং ভবনের অপরাপর তলাগুলো আবাসিক ভাড়া দেয়া আছে।
ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার রাকিবুল হাসান জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগে ত্রুটিজনিত কারণে বা ওই রুমে গ্যাস সিলিন্ডর বিস্ফোরণের কারণে ওই ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাইরুজ্জামানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে। গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হানুল ইসলাম জানান, বোমা ডিস্পোজাল টিম ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বোমার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। গ্যাসলাইনের বিস্ফোরণ থেকে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে। ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, এ ব্যাপারে বাড়ির মালিককে আসামি করে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাক ঢালী পলাতক রয়েছেন।
রোববার সকালে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুপুরে ঢাকা থেকে মেজর মাহমুদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের বোমা ডিস্পোজাল টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, ১০ দিন আগে খুলনা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (খুয়েট) চার ছাত্র এই ছয়তলা ভবনের তিনতলায় একটি রুম ভাড়া নেন। বিস্ফোরণের পর বিকট শব্দে ভবনটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়লে আশপাশের লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ভবনের নিচতলায় ওয়ালটনের শো-রুম রয়েছে এবং ভবনের অপরাপর তলাগুলো আবাসিক ভাড়া দেয়া আছে।
ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার রাকিবুল হাসান জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগে ত্রুটিজনিত কারণে বা ওই রুমে গ্যাস সিলিন্ডর বিস্ফোরণের কারণে ওই ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাইরুজ্জামানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে। গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হানুল ইসলাম জানান, বোমা ডিস্পোজাল টিম ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বোমার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। গ্যাসলাইনের বিস্ফোরণ থেকে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে। ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, এ ব্যাপারে বাড়ির মালিককে আসামি করে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাক ঢালী পলাতক রয়েছেন।
No comments