ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি- আইনমন্ত্রীকে কূটনীতিকরা
ডিজিটাল
সিকিউরিটি আইনের ৪টি ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ
১০টি দেশের রাষ্ট্রদূত। গতকাল সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে তার
কার্যালয়ে বৈঠক করে তারা এ উদ্বেগের কথা জানান। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূতদের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন জার্মান
রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্স। প্রতিনিধি দলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), সুইডেন,
যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, কানাডা, ইউকে, স্পেন, নরওয়ে এবং
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে
জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্স সাংবাদিকদের জানান, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে
দেখা করে তারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর ২১, ২৫, ২৮ এবং ৩৫ ধারা নিয়ে
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর এই
ধারাগুলো জনগণের মুক্ত বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। এই আইনের শাস্তি,
জামিন অযোগ্য ধারা এবং এই আইনের অপব্যবহার- এই তিনটি বিষয় নিয়ে আমরা
উদ্বিগ্ন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, উনারা বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সময় চেয়েছিলেন। সে কারণে আজকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এখন আমরা নিজেরা বসে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।
খালেদা জিয়ার বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, উনি তো আইনজীবী নিয়োগ করতেই পারেন। এক্ষেত্রে তো সরকারের কিছু করার নেই। তবে আমি শুনেছি, যে আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই লর্ড কার্লাইল নাকি যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় তাদের পক্ষ নিয়েছিলেন। যে দল যুদ্ধাপরাধীদের জন্য দোয়া করতে পারে সেই দল এই কার্লাইলের মতো আইনজীবী নিয়োগ দেবে- এটাই তো স্বাভাবিক। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে বিষয়টি দুঃখজনক।
সম্প্রতি একটি জার্মান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় রেখে প্রকাশ করা প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি। বৈঠকে আইন সচিব আবু সালেহ মোহাম্মদ জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, উনারা বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সময় চেয়েছিলেন। সে কারণে আজকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এখন আমরা নিজেরা বসে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।
খালেদা জিয়ার বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, উনি তো আইনজীবী নিয়োগ করতেই পারেন। এক্ষেত্রে তো সরকারের কিছু করার নেই। তবে আমি শুনেছি, যে আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই লর্ড কার্লাইল নাকি যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় তাদের পক্ষ নিয়েছিলেন। যে দল যুদ্ধাপরাধীদের জন্য দোয়া করতে পারে সেই দল এই কার্লাইলের মতো আইনজীবী নিয়োগ দেবে- এটাই তো স্বাভাবিক। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে বিষয়টি দুঃখজনক।
সম্প্রতি একটি জার্মান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় রেখে প্রকাশ করা প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি। বৈঠকে আইন সচিব আবু সালেহ মোহাম্মদ জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
No comments