ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চুপ ছিলেন কেন পর্নো তারকা?
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া যৌন সম্পর্ক নিয়ে এতদিন চুপ
থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। তিনি বলেছেন,
নিজের ও নিজের ছোট মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। সেই শঙ্কা
থেকেই ২০১৬ সালের শেষের দিকে এ ব্যাপারে চুপ থাকার বিনিময়ে ১ লাখ ৩০ হাজার
ডলারের একটি চুক্তির প্রস্তাব এলে রাজি হতে দ্বিধা করেন নি। সিবিএস
চ্যানেলের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ‘৬০ মিনিটস’-এ প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে
তিনি এসব বলেন। স্টর্মি ড্যানিয়েলস আরও বলেন, ২০১১ সালের দিকে বাউয়ার
পাবলিশিং-এর কাছে ১৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে এই যৌন সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার
করে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। এর পরই এক ব্যক্তি তাকে প্রচ্ছন্ন কিন্তু স্পষ্ট
হুমকি দিয়ে যায়। উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুর দিকে ইন টাচ ম্যাগাজিন সেই
সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে। এতদিন ধরে প্রকাশ না করার কারণ হিসেবে
ম্যাগাজিনটি জানায়, ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন তখন মামলা
দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এ কারণেই আইনি জটিলতায় পড়ার ভয়ে তখন সাক্ষাৎকারটি
ছাপানো হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রকাশ করে, ট্রাম্পের
আইনজীবী স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১,৩০,০০০ ডলার পরিশোধ করেছেন চুপ থাকার জন্য।
এ খবর প্রকাশের পরই ইন টাচ ম্যাগাজিন ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে দেয়। হুমকি
পাওয়ার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে ড্যানিয়েলস বলেন, ‘আমি পার্কিং লটে ছিলাম।
আমার দুধের শিশু মেয়েটাকে নিয়ে ফিটনেস ক্লাসে যাচ্ছিলাম। তখনই এক ব্যক্তি
আমার দিকে এগিয়ে আসে এবং আমাকে বলে, ‘ট্রাম্পকে একা থাকতে দাও। ওই স্টোরির
কথা ভুলে যাও।’ এরপরই ওই লোক আমার মেয়ের দিকে আগায়। তারপর বলে, ‘ফুটফুটে
ছোট্ট একটা মেয়ে! মেয়েটার মার যদি কিছু হয়, ব্যাপারটা লজ্জার হবে।’
এই হুমকি পাওয়ার পর ড্যানিয়েলস পুলিশের কাছে যান নি। কিন্তু কয়েক বছর পর এক আইনজীবী তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তখন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযান একেবারে শেষের দিকে। এ সময়ই ট্রাম্পের আইনজীবী কোহেন একটি প্রস্তাব দেন। স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেন, আমি ওই প্রস্তাব লুফে নিই। কারণ আমি আমার পরিবার ও আমার নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ‘৬০ মিনিটস’-এর এই পর্বে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাক্ষাৎকার প্রকাশের কথা থাকায়, এটি ছিল সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠানটির সবচেয়ে প্রতিক্ষীত একটি পর্ব। এ যেন একটি জাতীয় অনুষ্ঠান। দেশজুড়ে বহু মানুষ এটি দেখেছেন। এমনকি কিছু বারে এই অনুষ্ঠান চলাকালে ‘ডার্ক অ্যান্ড স্টর্মি’ ককটেল পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেনের জন্য এই সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য আইনি তাৎপর্যও রয়েছে। রোববারে প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলস দেশজুড়ে বিভিন্ন ‘স্ট্রিপ’ ক্লাবে উপস্থিত হয়েছেন। একে তিনি নাম দিয়েছেন ‘মেইক আমেরিকা হর্নি অ্যাগেইন’ ট্যুর। কিন্তু সিএনএন’র উপস্থাপক ও সিবিএস’-এর ‘৬০ মিনিটস’-এর অন্যতম প্রতিনিধি অ্যান্ডারসন কুপার্সকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে ড্যানিয়েলসের পোশাকে ছিল পেশাদারিত্বের ছাপ। বোঝাই যায়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছেন তিনি।
ড্যানিয়েলস ছাড়াও আরেকজন নারী সম্প্রতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে কিছু না বলতে উভয় নারীর সঙ্গেই চুক্তি করেছেন তার আইনজীবী। কিন্তু ওই নারীরা এখন সেই চুক্তির বাইরে এসে ওই সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে চান। তারা বলছেন, ওই সম্পর্কের ব্যাপারে কথা বলার অধিকার তাদের রয়েছে। অন্য নারী হলেন প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যাগাজিন প্লেবয়ের সাবেক মডেল ক্যারেন ম্যাকডগাল।
ড্যানিয়েলসের মতো ম্যাকডগালও তার কাহিনী ন্যাশনাল এসকয়ার নামে এক ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু ন্যাশনাল এসকয়ার শেষ অবদি ওই কাহিনী ছাপেনি। বৃহস্পতিবার সিএনএন-এ অ্যান্ডারসন কুপারকে ম্যাকডগালও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
এই নারীদের দাবি অস্বীকার করেছেন ট্রাম্পের মুখপাত্ররা। কিন্তু উভয় মামলাই ট্রাম্পের জন্য আইনি চ্যালেঞ্জ হাজির করেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যে, দুই নারীকে ট্রাম্প যেই অর্থ দিয়েছেন তা অবৈধভাবে নির্বাচনী অর্থ ব্যায়ের শামিল। সেই অভিযোগেরই যেন ভিত্তি প্রস্তুত করছে দুই নারীর বক্তব্য।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ৬০ মিনিটসের মতো বড় টিভি অনুষ্ঠানে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের উপস্থিত হওয়া থেকে বোঝা যায়, জনসম্মুখে কথা বলা থেকে তাকে বিরত রাখার চেষ্টা নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবী কোহেন সম্প্রতি বলেছেন, চুক্তি ভঙ্গ করে এ নিয়ে কথা বলায় কয়েক লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করবেন তিনি। কিন্তু তা-ও ড্যানিয়েলসকে দমায়নি। আমেরিকায় টিভি নিউজে প্রায়ই সবচেয়ে বেশি দেখা অনুষ্ঠানগুলোর তালিকায় শীর্ষে থাকে ৬০ মিনিটস অনুষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠান সম্প্রচারের কিছুক্ষণ পর মাইকেল কোহেনের আইনজীবী ব্রান্ট এইচ. ব্লাকি একটি চিঠি পাঠান ড্যানিয়েলসের নতুন আইনজীবী মাইকেল আভেনাতির কাছে। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, যে হুমকির কথা ড্যানিয়েলস উল্লেখ করেছেন, তার মাধ্যমে তিনি মাইকেল কোহেনের মানহানি করেছেন। চিঠিতে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।
সাক্ষাৎকারে অ্যান্ডারসন কুপার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তিনি আইনগত ঝুঁকির কথা মাথায় নিয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া সম্পর্কের বিষয়ে এখন সরব হচ্ছেন? ‘তিনি বলেন, আমি যতদিন চুপ ছিলাম, আমার কোনো সমস্যাই ছিল না। কিন্তু যখনই আমাকে মিথ্যাবাদী হিসেবে উপস্থাপন করা হলো, তখন আমি তা মানতে পারিনি।’
এই হুমকি পাওয়ার পর ড্যানিয়েলস পুলিশের কাছে যান নি। কিন্তু কয়েক বছর পর এক আইনজীবী তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তখন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযান একেবারে শেষের দিকে। এ সময়ই ট্রাম্পের আইনজীবী কোহেন একটি প্রস্তাব দেন। স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেন, আমি ওই প্রস্তাব লুফে নিই। কারণ আমি আমার পরিবার ও আমার নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ‘৬০ মিনিটস’-এর এই পর্বে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাক্ষাৎকার প্রকাশের কথা থাকায়, এটি ছিল সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠানটির সবচেয়ে প্রতিক্ষীত একটি পর্ব। এ যেন একটি জাতীয় অনুষ্ঠান। দেশজুড়ে বহু মানুষ এটি দেখেছেন। এমনকি কিছু বারে এই অনুষ্ঠান চলাকালে ‘ডার্ক অ্যান্ড স্টর্মি’ ককটেল পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেনের জন্য এই সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য আইনি তাৎপর্যও রয়েছে। রোববারে প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলস দেশজুড়ে বিভিন্ন ‘স্ট্রিপ’ ক্লাবে উপস্থিত হয়েছেন। একে তিনি নাম দিয়েছেন ‘মেইক আমেরিকা হর্নি অ্যাগেইন’ ট্যুর। কিন্তু সিএনএন’র উপস্থাপক ও সিবিএস’-এর ‘৬০ মিনিটস’-এর অন্যতম প্রতিনিধি অ্যান্ডারসন কুপার্সকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে ড্যানিয়েলসের পোশাকে ছিল পেশাদারিত্বের ছাপ। বোঝাই যায়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছেন তিনি।
ড্যানিয়েলস ছাড়াও আরেকজন নারী সম্প্রতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে কিছু না বলতে উভয় নারীর সঙ্গেই চুক্তি করেছেন তার আইনজীবী। কিন্তু ওই নারীরা এখন সেই চুক্তির বাইরে এসে ওই সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে চান। তারা বলছেন, ওই সম্পর্কের ব্যাপারে কথা বলার অধিকার তাদের রয়েছে। অন্য নারী হলেন প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যাগাজিন প্লেবয়ের সাবেক মডেল ক্যারেন ম্যাকডগাল।
ড্যানিয়েলসের মতো ম্যাকডগালও তার কাহিনী ন্যাশনাল এসকয়ার নামে এক ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু ন্যাশনাল এসকয়ার শেষ অবদি ওই কাহিনী ছাপেনি। বৃহস্পতিবার সিএনএন-এ অ্যান্ডারসন কুপারকে ম্যাকডগালও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
এই নারীদের দাবি অস্বীকার করেছেন ট্রাম্পের মুখপাত্ররা। কিন্তু উভয় মামলাই ট্রাম্পের জন্য আইনি চ্যালেঞ্জ হাজির করেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যে, দুই নারীকে ট্রাম্প যেই অর্থ দিয়েছেন তা অবৈধভাবে নির্বাচনী অর্থ ব্যায়ের শামিল। সেই অভিযোগেরই যেন ভিত্তি প্রস্তুত করছে দুই নারীর বক্তব্য।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ৬০ মিনিটসের মতো বড় টিভি অনুষ্ঠানে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের উপস্থিত হওয়া থেকে বোঝা যায়, জনসম্মুখে কথা বলা থেকে তাকে বিরত রাখার চেষ্টা নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবী কোহেন সম্প্রতি বলেছেন, চুক্তি ভঙ্গ করে এ নিয়ে কথা বলায় কয়েক লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করবেন তিনি। কিন্তু তা-ও ড্যানিয়েলসকে দমায়নি। আমেরিকায় টিভি নিউজে প্রায়ই সবচেয়ে বেশি দেখা অনুষ্ঠানগুলোর তালিকায় শীর্ষে থাকে ৬০ মিনিটস অনুষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠান সম্প্রচারের কিছুক্ষণ পর মাইকেল কোহেনের আইনজীবী ব্রান্ট এইচ. ব্লাকি একটি চিঠি পাঠান ড্যানিয়েলসের নতুন আইনজীবী মাইকেল আভেনাতির কাছে। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, যে হুমকির কথা ড্যানিয়েলস উল্লেখ করেছেন, তার মাধ্যমে তিনি মাইকেল কোহেনের মানহানি করেছেন। চিঠিতে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।
সাক্ষাৎকারে অ্যান্ডারসন কুপার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তিনি আইনগত ঝুঁকির কথা মাথায় নিয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া সম্পর্কের বিষয়ে এখন সরব হচ্ছেন? ‘তিনি বলেন, আমি যতদিন চুপ ছিলাম, আমার কোনো সমস্যাই ছিল না। কিন্তু যখনই আমাকে মিথ্যাবাদী হিসেবে উপস্থাপন করা হলো, তখন আমি তা মানতে পারিনি।’
No comments