প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন গাদ্দাফিপুত্র সাইফ!
লিবিয়ায়
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার
গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফি। সাত বছর আগে তার পিতা গাদ্দাফিকে
ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তারপর তাকে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে ধরা পড়েন সাইফ আল
ইসলাম। তার বিরুদ্ধে হত্যা থেকে শুরু হরে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। এজন্য তার
অনুপস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ঘোষণা দেয়া হয় ফায়ারিং স্কোয়াডে
গুলি করে মারার। তবে এখনও বেঁচে আছেন সাইফ। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সাইফ আল গাদ্দাফির মুখপাত্র বলেছেন, এখন তিনি লিবিয়ার
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে
গঠিত হয়েছে নতুন দল পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব লিবিয়া। এই দল থেকেই
তিনি নির্বাচন করতে চান। তার উদ্দেশ্য, দেশকে সন্ত্রাসী সংগঠনের
নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। এ বিষয়ে তিউনিসিয়াতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাইফ আল
গাদ্দাফির মুখপাত্র আয়মান বোরাস। তিনি বলেছেন, মুয়াম্মার গাদ্দাফির দ্বিতীয়
ছেলে সাইফ আল গাদ্দাফি লিবিয়াকে পুনর্গঠন করবেন। এই দেশটাকে সবার উপযোগী
করে গড়ে তুলবেন। বাইরের দুনিয়ার সবাই বিষয়টিকে অসম্ভব হিসেবে দেখতে পারেন।
কারণ, সাইফের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় রয়েছে। কিন্তু আল আরাবি আল জাদিদ
নামের মিডিয়াকে মানবাধিকারকর্মী খালেদ গুয়েল বলেছেন, দেশে মানবাধিকার
পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। দেশ ভবিষ্যতে কোনপথে এগিয়ে যাবে তা
পরিষ্কার নয়। তাই অনেক বেশি লিবিয়ান বিশ্বাস করেন, দেশকে বাঁচানো যাবে শুধু
সাইফের মাধ্যমে।
তাই তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো আইনগত বাধা থাকার কথা নয়। কারণ, মুয়াম্মার গাদ্দাফির কর্মকর্তাদেরকে ২০১৩ সালের একটি আইনের অধীনে সরকারি পদে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আইনটি বাতিল করা হয়েছে ২০১৫ সালে। তিনি নির্বাচিত হলে লিবিয়াকে কোন পথে পরিচালনা করবেন তা নিশ্চিত নয়।
তাই তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো আইনগত বাধা থাকার কথা নয়। কারণ, মুয়াম্মার গাদ্দাফির কর্মকর্তাদেরকে ২০১৩ সালের একটি আইনের অধীনে সরকারি পদে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আইনটি বাতিল করা হয়েছে ২০১৫ সালে। তিনি নির্বাচিত হলে লিবিয়াকে কোন পথে পরিচালনা করবেন তা নিশ্চিত নয়।
No comments