গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের ইয়াবা রুটে বাংলাদেশ! by গোলাম মাওলা রনি
ইয়াবার
চোরাকারবারিরা তাদের আন্তর্জাতিক দায় মেটায় বাংলাদেশের মধ্যে সোনার
চোরাচালান ঢুকিয়ে এবং তা পরে স্থলপথে ভারতে পাচারের মাধ্যমে। এ ছাড়া
বাংলাদেশের আমদানিকৃত পেট্রোলিয়াম পণ্য যথা- ডিজেল, অকটেন ও পেট্রল ভারতে
পাচারের মাধ্যমেও দায় মেটানো হয়। ইলেকট্রনিক পণ্য ও বাংলাদেশী টাকা পাচারের
মাধ্যমেও ইয়াবা সিন্ডিকেট তাদের পণ্যের বাট্টা পরিশোধ করে থাকে
খাদিজা বেগম বাস করেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি তার দরিদ্র পিতার বাড়িতে যেমন যেতে পারলেন না, তেমনি স্বামীর বাড়িতে থাকারও কোনো উপায় খুঁজে পেলেন না। স্বামীর জীবিতাবস্থায় পাশের বাড়ির পিতৃতুল্য মেম্বার সাহেবের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসারের অভাব অভিযোগের আংশিক নিষ্পত্তি করতেন। বিধবা হওয়ার পর এক বছরের শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে স্থায়ীভাবে সেই বাড়িতে আশ্রয় নিলেন। মেম্বার সাহেবের স্ত্রী যারপরনাই ধার্মিক এবং অতিশয় মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মহিলা। তিনি খাদিজাকে নিজের মেয়ের মতো স্নেহ করতেন। তার সেই বিপদের দিনে তিনি সব রকম আশ্বাস ও সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে একান্ত আপন করে নিলেন। তার সংস্পর্শে খাদিজাও ধর্মকর্ম এবং সংসারকর্মে নিপুণা হয়ে উঠলেন। ওই পরিবারের স্নেহ ও ভালোবাসায় খাদিজার শিশুপুত্র ধীরে ধীরে বড় হলো এবং যথারীতি গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া আরম্ভ করে। খাদিজা তার সারা দিনের হাড়ভাঙা খাটুনি এবং বৈধব্য জীবনের করুণ পরিণতির কথা ভুলে পিতৃহারা সন্তানটিকে সৎ ও যোগ্য মানুষ করার কাজে আত্মনিয়োগ করলেন।
খাদিজা বেগম বাস করেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি তার দরিদ্র পিতার বাড়িতে যেমন যেতে পারলেন না, তেমনি স্বামীর বাড়িতে থাকারও কোনো উপায় খুঁজে পেলেন না। স্বামীর জীবিতাবস্থায় পাশের বাড়ির পিতৃতুল্য মেম্বার সাহেবের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসারের অভাব অভিযোগের আংশিক নিষ্পত্তি করতেন। বিধবা হওয়ার পর এক বছরের শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে স্থায়ীভাবে সেই বাড়িতে আশ্রয় নিলেন। মেম্বার সাহেবের স্ত্রী যারপরনাই ধার্মিক এবং অতিশয় মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মহিলা। তিনি খাদিজাকে নিজের মেয়ের মতো স্নেহ করতেন। তার সেই বিপদের দিনে তিনি সব রকম আশ্বাস ও সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে একান্ত আপন করে নিলেন। তার সংস্পর্শে খাদিজাও ধর্মকর্ম এবং সংসারকর্মে নিপুণা হয়ে উঠলেন। ওই পরিবারের স্নেহ ও ভালোবাসায় খাদিজার শিশুপুত্র ধীরে ধীরে বড় হলো এবং যথারীতি গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া আরম্ভ করে। খাদিজা তার সারা দিনের হাড়ভাঙা খাটুনি এবং বৈধব্য জীবনের করুণ পরিণতির কথা ভুলে পিতৃহারা সন্তানটিকে সৎ ও যোগ্য মানুষ করার কাজে আত্মনিয়োগ করলেন।
নিজের বৈধব্য জীবন, পুনঃবিবাহের বহুবিধ সামাজিক চাপ,
আর্থিক অনটন ইত্যাদি সব কিছু পায়ে মাড়িয়ে তিনি আশার বাতাসে ভর করে চলতে
আরম্ভ করলেন। কারণ, তার সন্তান সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফি বছর ক্লাসে প্রথম
হতে হতে এসএসসি এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে দেশের একটি নামকরা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেল। খাদিজা নিজেকে ‘জজ-ব্যারিস্টারের মা’ কল্পনা
করতে করতে মনের সুখে পানের মধ্যে জর্দা, সুপারি ও চুনের মাত্রা বাড়িয়ে
দিয়ে মুখ রঙিন করে, পরিশ্রমের মাত্রা বাড়িয়ে দিলেন। নিজের রক্ত পানি করা
টাকার সাথে স্নেহের অশ্রু, বুকভরা দোয়া ও হৃদয় নিংড়ানো ব্যাকুলতা যোগ করে
বিধবা মা যে টাকা পাঠান, তাতে প্রিয় সন্তানের শিক্ষাজীবনের সফলতা বহুগুণে
বেড়ে গেল। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে অভূতপূর্ব ফলাফল দ্বারা সবাইকে
চমকে এবং বিদেশী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেয়ে নির্দিষ্ট দিনে বিধবা
মাতাকে আনন্দের অশ্রুতে ভাসিয়ে প্লেনে চড়ে বসল। ছেলেটি প্লেনে চড়ে বসেছিল
বটে, কিন্তু ঘুণাক্ষরেও জানতে পারল না যে, কী সর্বনাশ তার জন্য অপেক্ষা
করছে। বিদেশের এয়ারপোর্টে পৌঁছার পর যথারীতি ইমিগ্রেশন লাইন পার হয়ে যেই
না লাগেজ নিয়ে কাস্টমস লাইন পার হওয়ার সময় এলো, অমনি বেশ কিছু ‘যমদূত’ তাকে
ঘিরে ধরল। তার লাগেজ তল্লাশি করে পাওয়া গেল প্রায় পাঁচ হাজার ইয়াবা বড়ি।
ছেলেটির আহাজারি ও আর্তচিৎকারে পুরো এয়ারপোর্টের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে গেলেও
কাস্টমস কর্মকর্তাদের মন গলেনি। তারা বুঝতে পারলেন, ছেলেটি নির্দোষ। তার
লাগেজকে আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ী চক্র ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে
তার অলক্ষ্যে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তারা ছেলেটির জন্য কিছুই করতে
পারলেন না। সুতরাং এয়ারপোর্ট থেকে সোজা আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হলো খাদিজা
বেগমের কলিজার টুকরা। যে দেশটিতে ছেলের বিপর্যয় ঘটল, সেই দেশে মাদক বহন ও
চোরাচালানের শাস্তি যেমন মৃত্যুদণ্ড, তেমনি দেশটির ন্যায়বিচারের কাহিনী
বর্তমান বিশ্বে রীতিমতো মাইলস্টোন হিসেবে সমধিক পরিচিত ও স্বীকৃত। আমাদের
খাদিজার মেধাবী পুত্রের ভাগ্যবিপর্যয়ের কাহিনী তার বিধবা মাতা জানতেও
পারলেন না। তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে মহান আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করেন এবং রোজ
সকালে ফজর ও এশরাক নামাজ পড়ে সন্তানের মঙ্গল কামনায় অশ্রু বিসর্জন দেন।
বিধবা মায়ের ফরিয়াদ কি না জানি না- ছেলেটির জীবনে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটল, যা
দেশটির ইতিহাসে কোনো দিন ঘটেনি। মার্কিন মুলুকের একজন নামকরা বিচারপতির
নেতৃত্বে একটি মানবাধিকার দল দেশটির বিচার বিভাগের সাথে যৌথভাবে একটি
প্রকল্পের অধীনে কাজ করছিল। দলটি তাদের রুটিন ওয়ার্ক মতে, একদিন কারাগার
পরিদর্শনে গিয়ে খাদিজাপুত্রের সাক্ষাৎ লাভ করে এবং বিষয়টি সরকার ও বিচার
বিভাগের নজরে আনে। ফলে আদালত প্রচলিত ফৌজদারি দণ্ডবিধি এড়িয়ে ইকুইটেবল
জাস্টিস ডকট্রিনের অধীনে ছেলেটিকে মুক্ত করে দিয়ে তাকে সসম্মানে সেই দেশের
সংশ্লিষ্ট বৃত্তি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দেয়। নিজের
জীবন থেকে মূল্যবান একটি বছর চলে যাওয়া এবং নানা দুর্বিষহ কষ্ট ও দুর্ভোগ
সত্ত্বেও ছেলেটি মহান মালিকের অর্থাৎ আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
তাকে অলৌকিকভাবে রেহাই দেয়ার জন্য। অন্য দিকে, নিজের অসতর্কতা ও বিদেশ
ভ্রমণের বাস্তব অভিজ্ঞতা না থাকার জন্য আফসোস করলেও অনাগত দিনে তিনি কোনো
দিন মাদক চোরাকারবারিদের ক্ষমা করতে পারবেন না বলে নিজের কাছে বারবার
প্রতিজ্ঞা করলেন। বাংলাদেশী মাদক ব্যবসায়ীদের চোরাচালানের ফাঁদে আটক হওয়া
এই ভুক্তভোগীর করুণ কাহিনী শোনার পর এবার অন্য একটি কাহিনী শোনাই।
জিয়াউদ্দিন নামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক ২০ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে
শাকসবজি ও তরিতরকারি রফতানি করে দেশে ও বিদেশে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।
হঠাৎ করে তার একটি রফতানি চালান ঢাকা বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আটকে
দিলো। কারণ, তার রফতানিযোগ্য সবজির চালানের ভেতর বেশ বড়সড় একটি ইয়াবার
প্যাকেট পাওয়া গেছে। ভদ্রলোক যখন প্রকৃত ঘটনা জানতে পারলেন, তখন লজ্জা, ভয়,
অপমান ও শঙ্কায় তিনি প্রায় মাটির সাথে মিশে যেতে আরম্ভ করলেন। পরে তার
পরিচিত ঊর্ধ্বতন কাস্টমস কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে সে যাত্রায় কোনোমতে
রক্ষা পেলেও ব্যবসা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ভবিষ্যতে আবার এমন ঘটনা ঘটার
আতঙ্কে। জিয়াউদ্দিনের রফতানিযোগ্য চালানে যেভাবে ইয়াবা ঢুকে পড়েছিল, ঠিক
একইভাবে দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বিডি ফুডসের রফতানিপণ্যেও ইয়াবা
ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। জিয়াউদ্দিন সাহেবের মতো বিডি ফুডস সৌভাগ্যবান ছিল না।
ফলে চোরাচালানিদের ফাঁদে পড়ে বিডি ফুডসকে সে যাত্রায় যে দুর্ভোগ-দুর্গতি ও
বদনামের শিকার হতে হয়েছিল, তা দেশবাসী বিভিন্ন পত্রিকার মারফতে দেখেছে এবং
জেনেছে। ঘটনাগুলো দ্বারা এ কথাই প্রমাণিত হয়, মাদক ব্যবসায়ীরা কেবল
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাদক পাচারে কুকর্ম সীমাবদ্ধ রাখছে না; গত কয়েক বছরে
সারা দেশে ইয়াবা ব্যবসার বিস্তৃতি ও প্রসার এতটাই ঘটেছে, যা সাধারণ মানুষের
মন-মস্তিষ্ক কল্পনাও করতে পারে না। এই ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত অর্থ, লেনদেন ও
লাভ এবং ব্যবসার সাথে জড়িত লোকজনের বিশাল কর্মযজ্ঞ বিবেচনা করলে যে কারো
চোখ কপালে উঠে যেতে বাধ্য। দেশীয় চোরাচালান যখন ষোলকলায় পূর্ণতা পায়, তখন
নিয়ম অনুযায়ী, তা আন্তর্জাতিক চোরাচালান নেটওয়ার্ক ও সিন্ডিকেটের
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ইতঃপূর্বে হেরোইন, মরফিন, মারিজুয়ানা ও
গাঁজাকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক মাদকের মাফিয়াচক্র আফগানিস্তান, ইউরোপ,
আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় ছিল। তাদেরই একটি
শক্তিশালী শাখা হয়তো বাংলাদেশের ইয়াবা ব্যবসার আন্তর্জাতিক রুট নিয়ন্ত্রণ
শুরু করেছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার আগে দেশীয় বাজারে ইয়াবা ব্যবসার
লেনদেন সম্পর্কে কিছু বলে নিই। বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাব
মতে, বাংলাদেশে নিয়মিত ইয়াবাখোরের সংখ্যা কমপক্ষে ৫০ লাখ। এদের প্রতি জনে
যদি রোজ দুটো করে ইয়াবা খায়, তবে দৈনিক চাহিদা কমবেশি এক কোটি। একটি ইয়াবার
খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা হলে দৈনিক ১৬০ কোটি টাকার ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। সেই
হিসাবে ইয়াবার মাসিক বিক্রির পরিমাণ চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা এবং বাৎসরিক
বিক্রি ৫৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ইয়াবা বিক্রির এক বছরের অর্থ দিয়ে প্রতি
বছর দু’টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। চার বছরের অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ
নামক রাষ্ট্রটির এক বছরের যাবতীয় খরচ মেটানো সম্ভব এবং পাঁচ বছরের অর্থ
দিয়ে ঢাকা শহরের সব জমি, অট্টালিকা ইত্যাদি ক্রয় করা সম্ভব। ইয়াবা ব্যবসার
সাথে যুক্ত হাজার হাজার চোরাকারবারি, মধ্যস্বত্বভোগী ও ভোক্তা মিলে
বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম, ইউনিয়ন,
থানা ও
জেলাব্যাপী এমন একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার সমপর্যায়ের
নেটওয়ার্ক এ মুহূর্তে দেশের অন্য কোনো সংস্থা বা সংগঠনের নেই। ইয়াবার অবৈধ
বাণিজ্যে জটিল আমদানি-রফতানি, মুদ্রা সরবরাহ, এজেন্ট কমিশন, প্রশাসন
ম্যানেজ করা, রাজনৈতিক নেতা ও সমাজপতিদের বশীকরণের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী
দক্ষ এবং চৌকস ব্যবস্থাপনা ব্যতিরেকে ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখা বলতে গেলে
অসম্ভব। বিদেশ থেকে চোরাইপথে ইয়াবা আমদানির পুরোটাই এক সময়
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সংঘটিত হতো। নৌপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথে
দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহার করে চোরাকারবারিরা সারা দেশে
ইয়াবা ছড়িয়ে দিত। সময়ের বিবর্তনে চোলাচালানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে
আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র ব্যবসাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ইয়াবা উৎপাদনকারী
দেশ মিয়ানমারের বৈধ ও অবৈধ ব্যবসার প্রায় সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে চীন ও
ভারতের বিভিন্ন সিন্ডিকেট। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় চোরাকারবারি
সিন্ডিকেটটি প্রায় দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
চোরাচালানের বাট্টানীতিতে আর্থিক লেনদেন হয় সাধারণত পণ্যের মাধ্যমে, ইয়াবার
চোরাকারবারিরা তাদের আন্তর্জাতিক দায় মেটায় বাংলাদেশের মধ্যে সোনার
চোরাচালান ঢুকিয়ে এবং তা পরে স্থলপথে ভারতে পাচারের মাধ্যমে। এ ছাড়া
বাংলাদেশের আমদানিকৃত পেট্রোলিয়াম পণ্য যথা- ডিজেল, অকটেন ও পেট্রল ভারতে
পাচারের মাধ্যমেও দায় মেটানো হয়। ইলেকট্রনিক পণ্য ও বাংলাদেশী টাকা পাচারের
মাধ্যমেও ইয়াবা সিন্ডিকেট তাদের পণ্যের বাট্টা পরিশোধ করে থাকে। এসব কুকাজ
তারা এত বেশি সঙ্ঘবদ্ধ ও জোটবদ্ধ হয়ে করে যে, বিগত দিনে একটিবারের জন্যও
ইয়াবা চোরাচালান সিন্ডিকেটের কোনো আন্তর্জাতিক এজেন্ট অথবা তাদের স্থানীয়
প্রতিনিধির একটি চুলও এদেশীয় কর্তৃপক্ষ স্পর্শ করতে পারেনি বা করেনি।
No comments