চীন দেশের রঙ্গ by আতাউর রহমান
রসগল্প
কেবল হাসির খোরাকই জোগায় না, বিভিন্ন দেশ ও জাতির আচার-আচরণ, দেশপ্রেমের
নিদর্শন, জাত্যভিমান, অহংবোধ, নির্বুদ্ধিতা, চাটুকারিতা, পরশ্রীকাতরতা,
কৃপণতা, কূটবুদ্ধি, যৌনজীবন ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক তথ্যও প্রদান করে।
এতদর্থে চীনাদের সম্পর্কিত গল্প-চতুষ্টয় পরিবেশন করা হলো:
এক. চীন দেশের লি ওয়াংয়ের প্রতিবেশীর দুই বউ, দুজনেই মোটামুটি সুন্দরী। লি ওয়াং উক্ত প্রতিবেশীর বড় বউয়ের কাছে প্রেম নিবেদন করে গালিগালাজ খেল, কিন্তু ছোট বউ কর্তৃক তার প্রেম প্রত্যাখ্যাত হলো না। ঘটনাচক্রে কিছুদিন পর প্রতিবেশী হঠাৎ পটোল তুললে সে ছোট বউয়ের পরিবর্তে বড় বউকেই বিয়ে করে বসল। অতঃপর বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত লোকজনের ক্রমাগত প্রশ্নের উত্তরে সে জানাল, ‘ছোট বউ চরিত্রহীনা; কিন্তু বড় বউ সতী-সাধ্বী, পরপুরুষ প্রেম নিবেদন করলে তাকে গালিগালাজ করে, তাড়িয়ে দেয়। ওকে বিয়ে করব না তো করব কাকে?’
দুই. লি শাওচি নামে আরেক চীনা বিয়ে করেছে। ওর মনে সন্দেহ, বউয়ের বয়স অনেক বেশি, যদিও দেখায় কম। কিন্তু বউ কিছুতেই বয়স বেশি স্বীকার করতে চায় না। জিজ্ঞেস করলেই বলে, ‘বাইশ কি তেইশ’। একদিন সে এক বুদ্ধি খাটাল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বমুহূর্তে রান্নাঘরের দিকে যেতে যেতে বলতে লাগল, ‘যাই, রান্নাঘরে গিয়ে লবণের বয়ামটা ঢেকে রেখে আসি। নইলে ইঁদুরে সব লবণ খেয়ে সাবাড় করে ফেলবে।’ বউ এটা শুনে আনমনে বলে উঠল, ‘চল্লিশ বছর ধরে এই শহরে আছি; ইঁদুরে লবণ খায়, এটা কোনো দিন শুনিনি।’ ব্যস, তার যা জানার জানা হয়ে গেল।
তিন. একটি সমৃদ্ধ চীনা রেস্তোরাঁর ঠিক পাশেই এক গরিব লোকের লন্ড্রি দোকান ছিল। লোকটা প্রতিদিন তার ভাতের বাটিসহযোগে রেস্তোরাঁর যতটা সম্ভব কাছে চেয়ার নিয়ে বসত এবং খেতে খেতে রেস্তোরাঁর ক্ষুধা উদ্রেককারী সুঘ্রাণ শুঁকত। একদিন সে তার প্রতিবেশীর কাছ থেকে একটি বিল পেল, সেটাতে লেখা ছিল ‘খাদ্যের সুঘ্রাণ নেওয়ার জন্য’। সে তার লন্ড্রিতে ফিরে গিয়ে ক্যাশবাক্স নিয়ে বেরিয়ে এল এবং প্রতিবেশীর কানের কাছে সেটা ঘর্ঘর শব্দে বাজাতে বাজাতে প্রতিবেশীর উদ্দেশে বলল, ‘আমি এতদ্বারা আমার টাকার শব্দ শুনিয়ে আপনার খাদ্যের ঘ্রাণের বিল পরিশোধ করলাম।’
চার. নিউইয়র্কের চায়না টাউনে সব দোকানই চীনাদের। তো জনৈক পর্যটক একদা চায়না টাউনে পরিভ্রমণকালে একটি দোকানের সামনে সাইনবোর্ডে ‘লারস ওলাফসেনস লন্ড্রি’ দেখতে পেয়ে কৌতূহলবশত ভেতরে প্রবেশ করল। কারণ, মালিকের নামটি চীনা নয়, বরং ওটা স্পষ্টতই সুইডিশ নাম। ভেতরে প্রবেশ করে সে কাউন্টারের পেছনের বুড়ো চীনাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনিই বুঝি লন্ড্রির মালিক? কিন্তু আপনার নাম তো লারস ওলাফসেন হওয়ার কথা নয়।’ বুড়ো একগাল হেসে জবাব দিল, ‘আপনি ঠিকই ধরেছেন। ব্যাপার হচ্ছে বহু বছর পূর্বে আমি যখন ইমিগ্র্যান্ট হয়ে এ দেশে আসি, তখন নিবন্ধন অফিসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আমার সামনে এক ইউরোপিয়ান ভদ্রলোক। নিবন্ধনকারী মহিলা তাঁকে নাম জিজ্ঞেস করাতে তিনি বললেন ‘লারস ওলাফসেন’। অতঃপর আমার পালা; নাম জিজ্ঞেস করতেই আমি বললাম, ‘সেম তিং (Sem Ting) ওটাই আমার নাম। কিন্তু তিনি বুঝলেন ‘সেইম থিং (Same thing)। অতএব আমিও নিবন্ধিত হলাম লারস ওলাফসেন নামে এবং অদ্যাবধি ওই নামটিই আমি বহন করে চলেছি।’ অতঃপর চীনের সিনচিয়াং প্রদেশের উইঘুর জাতিসত্তার ঘরে ঘরে সুপরিচিত নাসিরুদ্দিন আফেন্দির রসগল্প। প্রসঙ্গত, ইংরেজি ভাষায় একটি শব্দ ইনুএনডো (Innuendo), যেটার অর্থ হচ্ছে কটাক্ষ বা বক্রোক্তি। দয়া করে আপনারা কেউ গল্পগুলোতে ‘ইনুএনডো’ খোঁজার চেষ্টা করবেন না। আমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে আপনাদের কিছু বিমল আনন্দের খোরাক জোগানো।
এক. সিংহাসনে আরোহণ করে চীনের নতুন রাজা রাজ্য নিয়ে কখনো মাথা ঘামাতেন না। বিদেশি দূতদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আবোল-তাবোল বকতেন। তিনি একবার আফেন্দিকে তাঁর উপদেষ্টা নিযুক্ত করলে আফেন্দি প্রস্তাব করলেন, ‘আপনি সিংহাসনে বসলে আমি আপনার পায়ে একটা লম্বা দড়ি বেঁধে দড়ির অপর প্রান্ত ধরে থাকব এবং আপনি কোনো বেফাঁস কথা বললেই আমি দড়ি ধরে টান দেব। তখন আপনি চুপ করে যাবেন।’ রাজা সানন্দে সম্মতি দিলেন। পরদিন প্রতিবেশী এক দূত রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি দূতকে জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘আপনার দেশের বিড়াল ও কুকুরেরা কি খুব হাসিখুশি? গরু আর ছাগলেরাও কি খুব শান্ত ও সুস্থ?’ আফেন্দি তৎক্ষণাৎ রাজার দড়ি ধরে টান দিয়ে তাঁকে চুপ করিয়ে দূতকে ব্যাখ্যা দিলেন, ‘আমাদের রাজা একজন অতি বিজ্ঞ ব্যক্তি, তাঁর কথার অর্থ সাধারণভাবে বোঝা দুরূহ। তিনি বিড়াল ও কুকুর বলতে আপনার দেশের সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের এবং গরু ও ছাগল বলতে ওখানকার জনসাধারণকে বোঝাচ্ছেন।’ দূত এতে সন্তুষ্ট হয়ে প্রস্থান করলেন। অতঃপর রাজা রাগত কণ্ঠে আফেন্দিকে বলতে লাগলেন, ‘আমার কথার অর্থ যদি সঠিকই ছিল, তাহলে তুমি আমার পায়ের দড়ি ধরে টান দিলে কেন? তোমাকে আমি শূলে চড়াব।’ অনেক কষ্টে আফেন্দি সেই যাত্রা রক্ষা পেয়েছিলেন।
দুই. একবার স্থানীয় এক জমিদার নাসিরুদ্দিন আফেন্দিকে ডেকে নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আচ্ছা বলতে পারো, প্রজারা সাক্ষাতে আমার প্রশংসা আর অসাক্ষাতে নিন্দা ও টিটকারি করে কেন?’ আফেন্দি প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘হুজুর, আমার বেয়াদবি নেবেন না। এর কারণ কিন্তু আপনিই। আপনি কথা বলেন এক রকম আর কাজ করেন তার উল্টোটা। তাই আপনার মোসাহেব প্রজারা আপনাকে সন্তুষ্ট রাখতে আপনার সামনে গুণকীর্তন করলেও পেছনে আপনাকে গালমন্দ ও টিটকারি করে মনের ঝাল মিটিয়ে নেয়।’ কথাগুলো খুব গম্ভীরভাবে বলে আফেন্দি সেখান থেকে চলে এলেন। প্রসঙ্গত, চীনাদের মধ্যে যে সমস্ত মজাদার অযৌক্তিক বিশ্বাস প্রচলিত, সেগুলোর কতক হচ্ছে: ১. গোঁফ রাখা দুর্ভাগ্যের কারণ; ২. সবুজ টুপি মানে আপনার স্ত্রী আপনার সঙ্গে প্রতারণা করছে; ৩. ৪ সংখ্যাটা অপয়া, কিন্তু ৮ সংখ্যাটা খুবই উত্তম।
আতাউর রহমান ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা
এক. চীন দেশের লি ওয়াংয়ের প্রতিবেশীর দুই বউ, দুজনেই মোটামুটি সুন্দরী। লি ওয়াং উক্ত প্রতিবেশীর বড় বউয়ের কাছে প্রেম নিবেদন করে গালিগালাজ খেল, কিন্তু ছোট বউ কর্তৃক তার প্রেম প্রত্যাখ্যাত হলো না। ঘটনাচক্রে কিছুদিন পর প্রতিবেশী হঠাৎ পটোল তুললে সে ছোট বউয়ের পরিবর্তে বড় বউকেই বিয়ে করে বসল। অতঃপর বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত লোকজনের ক্রমাগত প্রশ্নের উত্তরে সে জানাল, ‘ছোট বউ চরিত্রহীনা; কিন্তু বড় বউ সতী-সাধ্বী, পরপুরুষ প্রেম নিবেদন করলে তাকে গালিগালাজ করে, তাড়িয়ে দেয়। ওকে বিয়ে করব না তো করব কাকে?’
দুই. লি শাওচি নামে আরেক চীনা বিয়ে করেছে। ওর মনে সন্দেহ, বউয়ের বয়স অনেক বেশি, যদিও দেখায় কম। কিন্তু বউ কিছুতেই বয়স বেশি স্বীকার করতে চায় না। জিজ্ঞেস করলেই বলে, ‘বাইশ কি তেইশ’। একদিন সে এক বুদ্ধি খাটাল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বমুহূর্তে রান্নাঘরের দিকে যেতে যেতে বলতে লাগল, ‘যাই, রান্নাঘরে গিয়ে লবণের বয়ামটা ঢেকে রেখে আসি। নইলে ইঁদুরে সব লবণ খেয়ে সাবাড় করে ফেলবে।’ বউ এটা শুনে আনমনে বলে উঠল, ‘চল্লিশ বছর ধরে এই শহরে আছি; ইঁদুরে লবণ খায়, এটা কোনো দিন শুনিনি।’ ব্যস, তার যা জানার জানা হয়ে গেল।
তিন. একটি সমৃদ্ধ চীনা রেস্তোরাঁর ঠিক পাশেই এক গরিব লোকের লন্ড্রি দোকান ছিল। লোকটা প্রতিদিন তার ভাতের বাটিসহযোগে রেস্তোরাঁর যতটা সম্ভব কাছে চেয়ার নিয়ে বসত এবং খেতে খেতে রেস্তোরাঁর ক্ষুধা উদ্রেককারী সুঘ্রাণ শুঁকত। একদিন সে তার প্রতিবেশীর কাছ থেকে একটি বিল পেল, সেটাতে লেখা ছিল ‘খাদ্যের সুঘ্রাণ নেওয়ার জন্য’। সে তার লন্ড্রিতে ফিরে গিয়ে ক্যাশবাক্স নিয়ে বেরিয়ে এল এবং প্রতিবেশীর কানের কাছে সেটা ঘর্ঘর শব্দে বাজাতে বাজাতে প্রতিবেশীর উদ্দেশে বলল, ‘আমি এতদ্বারা আমার টাকার শব্দ শুনিয়ে আপনার খাদ্যের ঘ্রাণের বিল পরিশোধ করলাম।’
চার. নিউইয়র্কের চায়না টাউনে সব দোকানই চীনাদের। তো জনৈক পর্যটক একদা চায়না টাউনে পরিভ্রমণকালে একটি দোকানের সামনে সাইনবোর্ডে ‘লারস ওলাফসেনস লন্ড্রি’ দেখতে পেয়ে কৌতূহলবশত ভেতরে প্রবেশ করল। কারণ, মালিকের নামটি চীনা নয়, বরং ওটা স্পষ্টতই সুইডিশ নাম। ভেতরে প্রবেশ করে সে কাউন্টারের পেছনের বুড়ো চীনাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনিই বুঝি লন্ড্রির মালিক? কিন্তু আপনার নাম তো লারস ওলাফসেন হওয়ার কথা নয়।’ বুড়ো একগাল হেসে জবাব দিল, ‘আপনি ঠিকই ধরেছেন। ব্যাপার হচ্ছে বহু বছর পূর্বে আমি যখন ইমিগ্র্যান্ট হয়ে এ দেশে আসি, তখন নিবন্ধন অফিসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আমার সামনে এক ইউরোপিয়ান ভদ্রলোক। নিবন্ধনকারী মহিলা তাঁকে নাম জিজ্ঞেস করাতে তিনি বললেন ‘লারস ওলাফসেন’। অতঃপর আমার পালা; নাম জিজ্ঞেস করতেই আমি বললাম, ‘সেম তিং (Sem Ting) ওটাই আমার নাম। কিন্তু তিনি বুঝলেন ‘সেইম থিং (Same thing)। অতএব আমিও নিবন্ধিত হলাম লারস ওলাফসেন নামে এবং অদ্যাবধি ওই নামটিই আমি বহন করে চলেছি।’ অতঃপর চীনের সিনচিয়াং প্রদেশের উইঘুর জাতিসত্তার ঘরে ঘরে সুপরিচিত নাসিরুদ্দিন আফেন্দির রসগল্প। প্রসঙ্গত, ইংরেজি ভাষায় একটি শব্দ ইনুএনডো (Innuendo), যেটার অর্থ হচ্ছে কটাক্ষ বা বক্রোক্তি। দয়া করে আপনারা কেউ গল্পগুলোতে ‘ইনুএনডো’ খোঁজার চেষ্টা করবেন না। আমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে আপনাদের কিছু বিমল আনন্দের খোরাক জোগানো।
এক. সিংহাসনে আরোহণ করে চীনের নতুন রাজা রাজ্য নিয়ে কখনো মাথা ঘামাতেন না। বিদেশি দূতদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আবোল-তাবোল বকতেন। তিনি একবার আফেন্দিকে তাঁর উপদেষ্টা নিযুক্ত করলে আফেন্দি প্রস্তাব করলেন, ‘আপনি সিংহাসনে বসলে আমি আপনার পায়ে একটা লম্বা দড়ি বেঁধে দড়ির অপর প্রান্ত ধরে থাকব এবং আপনি কোনো বেফাঁস কথা বললেই আমি দড়ি ধরে টান দেব। তখন আপনি চুপ করে যাবেন।’ রাজা সানন্দে সম্মতি দিলেন। পরদিন প্রতিবেশী এক দূত রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি দূতকে জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘আপনার দেশের বিড়াল ও কুকুরেরা কি খুব হাসিখুশি? গরু আর ছাগলেরাও কি খুব শান্ত ও সুস্থ?’ আফেন্দি তৎক্ষণাৎ রাজার দড়ি ধরে টান দিয়ে তাঁকে চুপ করিয়ে দূতকে ব্যাখ্যা দিলেন, ‘আমাদের রাজা একজন অতি বিজ্ঞ ব্যক্তি, তাঁর কথার অর্থ সাধারণভাবে বোঝা দুরূহ। তিনি বিড়াল ও কুকুর বলতে আপনার দেশের সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের এবং গরু ও ছাগল বলতে ওখানকার জনসাধারণকে বোঝাচ্ছেন।’ দূত এতে সন্তুষ্ট হয়ে প্রস্থান করলেন। অতঃপর রাজা রাগত কণ্ঠে আফেন্দিকে বলতে লাগলেন, ‘আমার কথার অর্থ যদি সঠিকই ছিল, তাহলে তুমি আমার পায়ের দড়ি ধরে টান দিলে কেন? তোমাকে আমি শূলে চড়াব।’ অনেক কষ্টে আফেন্দি সেই যাত্রা রক্ষা পেয়েছিলেন।
দুই. একবার স্থানীয় এক জমিদার নাসিরুদ্দিন আফেন্দিকে ডেকে নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আচ্ছা বলতে পারো, প্রজারা সাক্ষাতে আমার প্রশংসা আর অসাক্ষাতে নিন্দা ও টিটকারি করে কেন?’ আফেন্দি প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘হুজুর, আমার বেয়াদবি নেবেন না। এর কারণ কিন্তু আপনিই। আপনি কথা বলেন এক রকম আর কাজ করেন তার উল্টোটা। তাই আপনার মোসাহেব প্রজারা আপনাকে সন্তুষ্ট রাখতে আপনার সামনে গুণকীর্তন করলেও পেছনে আপনাকে গালমন্দ ও টিটকারি করে মনের ঝাল মিটিয়ে নেয়।’ কথাগুলো খুব গম্ভীরভাবে বলে আফেন্দি সেখান থেকে চলে এলেন। প্রসঙ্গত, চীনাদের মধ্যে যে সমস্ত মজাদার অযৌক্তিক বিশ্বাস প্রচলিত, সেগুলোর কতক হচ্ছে: ১. গোঁফ রাখা দুর্ভাগ্যের কারণ; ২. সবুজ টুপি মানে আপনার স্ত্রী আপনার সঙ্গে প্রতারণা করছে; ৩. ৪ সংখ্যাটা অপয়া, কিন্তু ৮ সংখ্যাটা খুবই উত্তম।
আতাউর রহমান ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা
No comments