ইরানে বিক্ষোভ এবং প্রকৃত অবস্থা by সিরাজুল ইসলাম
অনেকেই
জানতে চেয়েছেন ইরানে হচ্ছে কী? বিক্ষোভ কতটা জোরালো? সরকার বিরোধী বিক্ষোভ
হচ্ছে নাকি? গতকাল বিবিসি থেকেও কথা বলতে চেয়েছিল। আমি সেই সময় অফিস রুমে
না থাকায় বাকিটা সামনে এগোয় নি। অনেকে ফেইসবুকের ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে জানতে
চেয়েছেন পশ্চিমা মিডিয়াতে যেসব খবর প্রচার করা হচ্ছে তা কী সত্য? আমাকে এসব
কথা বলার কারণ হচ্ছে- আমি যেহেতু তেহরানে থাকি সে কারণে আমি সত্য খবর জানব
-এটা তাদের আশা। যাহোক, আমি তেহরানের যে এলাকায় থাকি সেখান থেকে অফিসে
আসতে হয় প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। আমরা রেডিও তেহরানের বাংলা
বিভাগের সব সহকর্মী এক এলাকায় থাকি না। আমরা কিছু সহকর্মী এক এলাকায় থাকি
আর কিছু অন্য এলাকায়।
অনেকটা বিপরীত এলাকায়। বিপরীত এলাকার সহকর্মীরাও প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অফিসে আসেন। তার মানে হচ্ছে- প্রতিদিন আমাদের বাংলা বিভাগের সহকর্মীদের নজরে পড়ে তেহরান শহরের বিরাট একটা অংশ। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে গত কয়েকদিন শুধু বিক্ষোভের কথা শুনছি, চোখে দেখি নি; আসা-যাওয়ার পথে কোন বিক্ষোভ-মিছিল দেখিনি। শুধু মিডিয়াতে দেখছি-শুনছি। তাও আবার বাইরের মিডিয়াতে বেশি। হ্যা, তেহরান ও মাশহাদসহ কয়েকটি শহরে কিছু বিক্ষোভ হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু তা বিরাট-বিশাল কিছু নয় বলেই জেনেছি; সরকার পতনের আন্দোলন তো নয়ই। গতকাল ছিল ফারর্সি দেই মাসের ৯ তারিখ। ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এ দিনে রাজধানী তেহরানের রাস্তায় নেমে একটা উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক লোকজন বিক্ষোভ ও বিশঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তার কারণ ছিল প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের কাছে কথিত সংস্কারপন্থি প্রার্থী মীর হোসেইন মুসাভি হেরে যান এবং পরাজয়ের পর তিনি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তার সমর্থকরা এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নামেন এবং তাতে উসকানি দেয় আমেরিকাসহ পশ্চিমা কিছু দেশ। পরে তথ্য-প্রমাণ থেকে জানা গেছে- ওই আন্দোলনে আমেরিকা অন্তত ১০০ কোটি ডলার খরচ করেছে যাতে ইরানে ইসলামি শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটানো যায়। পরবর্তীতে ইসলামপন্থি ও আহমাদিনেজাদের সমর্থকরা রাস্তায় নামেন এবং মুসাভিপন্থিদের আন্দোলনের অবসান হয়। তারই বার্ষিকী ছিল গতকাল ফারসি ৯ দেই। প্রতি বছরই দিনটি উপলক্ষে রাজধানী তেহরানসহ সারা দেশে ইসলামপন্থি লোকজন বিক্ষোভ, মিছিল-সমাবেশ করে থাকেন। পশ্চিমা মিডিয়ার অনেকেই গতকালের এই মিছিলকে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ-মিছিল বলে চালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয়। হ্যা, তেহরানে অনেক জিনিসের দাম বেড়েছে এবং কোথাও কোথাও প্রতিবাদ হয়েছে তবে তা কোনোভাবেই পশ্চিমা মিডিয়াতে বর্ণিত আন্দোলন-বিক্ষোভের মতো কিছু নয়। বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি এমনকি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী কথা বলেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নেতা সরকারকে জনগণের সমস্যা ও দাবিকে বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সংকট নিরসনের তাগিদ দিয়েছেন। আর প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
অনেকটা বিপরীত এলাকায়। বিপরীত এলাকার সহকর্মীরাও প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অফিসে আসেন। তার মানে হচ্ছে- প্রতিদিন আমাদের বাংলা বিভাগের সহকর্মীদের নজরে পড়ে তেহরান শহরের বিরাট একটা অংশ। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে গত কয়েকদিন শুধু বিক্ষোভের কথা শুনছি, চোখে দেখি নি; আসা-যাওয়ার পথে কোন বিক্ষোভ-মিছিল দেখিনি। শুধু মিডিয়াতে দেখছি-শুনছি। তাও আবার বাইরের মিডিয়াতে বেশি। হ্যা, তেহরান ও মাশহাদসহ কয়েকটি শহরে কিছু বিক্ষোভ হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু তা বিরাট-বিশাল কিছু নয় বলেই জেনেছি; সরকার পতনের আন্দোলন তো নয়ই। গতকাল ছিল ফারর্সি দেই মাসের ৯ তারিখ। ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এ দিনে রাজধানী তেহরানের রাস্তায় নেমে একটা উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক লোকজন বিক্ষোভ ও বিশঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তার কারণ ছিল প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের কাছে কথিত সংস্কারপন্থি প্রার্থী মীর হোসেইন মুসাভি হেরে যান এবং পরাজয়ের পর তিনি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তার সমর্থকরা এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নামেন এবং তাতে উসকানি দেয় আমেরিকাসহ পশ্চিমা কিছু দেশ। পরে তথ্য-প্রমাণ থেকে জানা গেছে- ওই আন্দোলনে আমেরিকা অন্তত ১০০ কোটি ডলার খরচ করেছে যাতে ইরানে ইসলামি শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটানো যায়। পরবর্তীতে ইসলামপন্থি ও আহমাদিনেজাদের সমর্থকরা রাস্তায় নামেন এবং মুসাভিপন্থিদের আন্দোলনের অবসান হয়। তারই বার্ষিকী ছিল গতকাল ফারসি ৯ দেই। প্রতি বছরই দিনটি উপলক্ষে রাজধানী তেহরানসহ সারা দেশে ইসলামপন্থি লোকজন বিক্ষোভ, মিছিল-সমাবেশ করে থাকেন। পশ্চিমা মিডিয়ার অনেকেই গতকালের এই মিছিলকে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ-মিছিল বলে চালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয়। হ্যা, তেহরানে অনেক জিনিসের দাম বেড়েছে এবং কোথাও কোথাও প্রতিবাদ হয়েছে তবে তা কোনোভাবেই পশ্চিমা মিডিয়াতে বর্ণিত আন্দোলন-বিক্ষোভের মতো কিছু নয়। বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি এমনকি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী কথা বলেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নেতা সরকারকে জনগণের সমস্যা ও দাবিকে বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সংকট নিরসনের তাগিদ দিয়েছেন। আর প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
No comments