লন্ডন হামলা: কোথায় কি ঘটেছে
আবারো
রক্তাক্ত হলো লন্ডন। দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে শনিবার রাতে লন্ডনবাসী যখন
আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে একটি ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তখনই তাদের ওপর
সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এতে মোট ৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জন
সাধারণ মানুষ। পুলিশ হামলাকারী তিন জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তবে তাদের
পরিচয় পাওয়া যায় নি। শনিবার রাতে একাধিক স্থানে এ হামলা হয়। এখানে প্রতিটি
স্পট সম্পর্কে আলাদা আলাদা তথ্য তুলে ধরা হলো:
লন্ডন ব্রিজ: স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টা ৮ মিনিটে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। তাদেরকে জানানো হয় একটি ভ্যান লন্ডন ব্রিজে পথচারীদের চাপা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযানে নামে পুলিশ। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বলেছে, ঘটনার ৬ মিনিটের মধ্যে প্যারামেডিক ও বিশেষজ্ঞ টিম হামলার ধরণ ও হতাহতের তথ্য নিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। লন্ডনের ৫টি হাসপাতালে দ্রুততার সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আহত কমপক্ষে ৩০ জনকে। লন্ডন ব্রিজ স্টেশনের পাশেই গাইস হাসপাতালে নেয়া আহত ব্যক্তি, তার আত্মীয়-স্বজন ও স্টাফদের নিরাপত্তার জন্য এর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হামলার সময় লন্ডন ব্রিজের ওপর ছিলেন নিক আরচার। তিনি স্কাই নিউজকে বলেছেন, আমরা একটি বার থেকে সবেমাত্র রাস্তায় বেরিয়েছি। আমার বামে তাকিয়ে দেখি একজন মানুষ পড়ে আছেন। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তিনি কিছু পান করছেন। কিন্তু না, তিনি রাস্তার ওপর পড়ে আছেন। এর কয়েক সেকেন্ড পরেই দেখতে পাই তিনটি পুলিশ ভ্যান দ্রুত গতিতে আমাদের অতিক্রম করলো। ক্রিস নামে একজন ট্যাক্সি চালক বলেছেন, ফুটপাতের ওপর দিয়ে ভ্যান উঠিয়ে দেয়ার পর তিনি কয়েকজন মানুষকে দেখতে পান। তাদের হাতে এক ফুটের মতো লম্বা ছুরি। আমি দেখলাম লন্ডন ব্রিজের ওপর দিয়ে একটি ভ্যান আসছে। ট্রাফিক লাইট সিস্টেম অতিক্রম করে তা ফুটপাতের ওপর উঠে যায়। এতে চাপা পড়েন অনেক মানুষ। তারপর প্রায় ১২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি হাতে নেমে আসে তিনজন মানুষ। তারা বরো হাই স্ট্রিট ধরে এগুতে থাকে। এ সময় যাকেই সামনে পেয়েছে তাকেই তারা কুপিয়েছে। একজন যুবতীর বুকে তারা কুপিয়েছে।
বরো মার্কেট: ছুরিকাঘাতের খবরে দ্রুততায় বরো মার্কেট এলাকায় উপস্থিত হয় সশস্ত্র পুলিশ। সেখানে আহত হয়েছেন বৃটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশের একজন কর্মকর্তা। তিনি লন্ডন ব্রিজ হামলায় বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এতে তিনি মারাত্মক আহত হয়েছেন। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। বরো মার্কেট এলাকায় তিন হামলাকারীর সঙ্গে পুলিশের লড়াই হয়। এ সময় ৮ মিনিটের মধ্যে পুলিশ হামলাকারীদের গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের বুকে এ সময় বাঁধা ছিল বিস্ফোরকের মতো বস্তু। কিন্তু পরে দেখা যায় তা ভুয়া। স্থানীয় সময় রাত ১২ টা ২৫ মিনিটের সময় বরো মার্কেট ও লন্ডন ব্রিজ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। বরো মার্কেটের কাছে বেভারিয়ান স্টাইলের বিয়ার বিক্রিকারী প্রতিষ্ঠান কাতজেনজাম্যারস থেকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, কিভাবে সশস্ত্র পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তারা লোকজনকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে অনুরোধ করে। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি পুলিশকে গুলি ছুড়তে দেখেছেন। তিনি সাউথওয়ার্ক স্ট্রিট ও বরো হাই স্ট্রিটের কোণায় একটি রেস্তোরাঁর বাইরে দেখেছেন ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া একটি ভ্যান। একজন ট্যাক্সি চালক ব্লাক অ্যান্ড ব্লু রেস্তোরাঁ থেকে আত্মরক্ষার্থে পলায়নরত দু’জনকে তুলে নিয়ে নিরাপদে ছেড়ে দিয়েছেন। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ লোকজনকে লন্ডন ব্রিজ ও বরো স্টেশন এলাকা এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে।
ভক্সহল: তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে ভক্সহলে। সেখানে একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে উপরের দুটি ঘটনার সঙ্গে এর সম্পর্ক না-ও থাকতে পারে বলে মনে করছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ওই ঘটনার পর থেকে ভক্সহল স্টেশন বন্ধ রাখা হয়। তবে তা এখন খুলে দেয়া হয়েছে।
টেমস নদী: টেমস নদীতে উদ্ধার অভিযানে নেমেছে পুলিশের দুটি বোট। তারা আরএনএলআই লাইফবোটস-এর সঙ্গে কাজ করছে। হামলার সময় কোন মানুষ যদি পানিতে পড়ে যান তাদেরকে উদ্ধার করতেই এই তৎপরতা।
লন্ডন ব্রিজ: স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টা ৮ মিনিটে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। তাদেরকে জানানো হয় একটি ভ্যান লন্ডন ব্রিজে পথচারীদের চাপা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযানে নামে পুলিশ। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বলেছে, ঘটনার ৬ মিনিটের মধ্যে প্যারামেডিক ও বিশেষজ্ঞ টিম হামলার ধরণ ও হতাহতের তথ্য নিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। লন্ডনের ৫টি হাসপাতালে দ্রুততার সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আহত কমপক্ষে ৩০ জনকে। লন্ডন ব্রিজ স্টেশনের পাশেই গাইস হাসপাতালে নেয়া আহত ব্যক্তি, তার আত্মীয়-স্বজন ও স্টাফদের নিরাপত্তার জন্য এর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হামলার সময় লন্ডন ব্রিজের ওপর ছিলেন নিক আরচার। তিনি স্কাই নিউজকে বলেছেন, আমরা একটি বার থেকে সবেমাত্র রাস্তায় বেরিয়েছি। আমার বামে তাকিয়ে দেখি একজন মানুষ পড়ে আছেন। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তিনি কিছু পান করছেন। কিন্তু না, তিনি রাস্তার ওপর পড়ে আছেন। এর কয়েক সেকেন্ড পরেই দেখতে পাই তিনটি পুলিশ ভ্যান দ্রুত গতিতে আমাদের অতিক্রম করলো। ক্রিস নামে একজন ট্যাক্সি চালক বলেছেন, ফুটপাতের ওপর দিয়ে ভ্যান উঠিয়ে দেয়ার পর তিনি কয়েকজন মানুষকে দেখতে পান। তাদের হাতে এক ফুটের মতো লম্বা ছুরি। আমি দেখলাম লন্ডন ব্রিজের ওপর দিয়ে একটি ভ্যান আসছে। ট্রাফিক লাইট সিস্টেম অতিক্রম করে তা ফুটপাতের ওপর উঠে যায়। এতে চাপা পড়েন অনেক মানুষ। তারপর প্রায় ১২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি হাতে নেমে আসে তিনজন মানুষ। তারা বরো হাই স্ট্রিট ধরে এগুতে থাকে। এ সময় যাকেই সামনে পেয়েছে তাকেই তারা কুপিয়েছে। একজন যুবতীর বুকে তারা কুপিয়েছে।
বরো মার্কেট: ছুরিকাঘাতের খবরে দ্রুততায় বরো মার্কেট এলাকায় উপস্থিত হয় সশস্ত্র পুলিশ। সেখানে আহত হয়েছেন বৃটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশের একজন কর্মকর্তা। তিনি লন্ডন ব্রিজ হামলায় বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এতে তিনি মারাত্মক আহত হয়েছেন। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। বরো মার্কেট এলাকায় তিন হামলাকারীর সঙ্গে পুলিশের লড়াই হয়। এ সময় ৮ মিনিটের মধ্যে পুলিশ হামলাকারীদের গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের বুকে এ সময় বাঁধা ছিল বিস্ফোরকের মতো বস্তু। কিন্তু পরে দেখা যায় তা ভুয়া। স্থানীয় সময় রাত ১২ টা ২৫ মিনিটের সময় বরো মার্কেট ও লন্ডন ব্রিজ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। বরো মার্কেটের কাছে বেভারিয়ান স্টাইলের বিয়ার বিক্রিকারী প্রতিষ্ঠান কাতজেনজাম্যারস থেকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, কিভাবে সশস্ত্র পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তারা লোকজনকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে অনুরোধ করে। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি পুলিশকে গুলি ছুড়তে দেখেছেন। তিনি সাউথওয়ার্ক স্ট্রিট ও বরো হাই স্ট্রিটের কোণায় একটি রেস্তোরাঁর বাইরে দেখেছেন ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া একটি ভ্যান। একজন ট্যাক্সি চালক ব্লাক অ্যান্ড ব্লু রেস্তোরাঁ থেকে আত্মরক্ষার্থে পলায়নরত দু’জনকে তুলে নিয়ে নিরাপদে ছেড়ে দিয়েছেন। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ লোকজনকে লন্ডন ব্রিজ ও বরো স্টেশন এলাকা এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে।
ভক্সহল: তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে ভক্সহলে। সেখানে একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে উপরের দুটি ঘটনার সঙ্গে এর সম্পর্ক না-ও থাকতে পারে বলে মনে করছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ওই ঘটনার পর থেকে ভক্সহল স্টেশন বন্ধ রাখা হয়। তবে তা এখন খুলে দেয়া হয়েছে।
টেমস নদী: টেমস নদীতে উদ্ধার অভিযানে নেমেছে পুলিশের দুটি বোট। তারা আরএনএলআই লাইফবোটস-এর সঙ্গে কাজ করছে। হামলার সময় কোন মানুষ যদি পানিতে পড়ে যান তাদেরকে উদ্ধার করতেই এই তৎপরতা।
No comments