রাজধানীতে চলছে ভাড়ায় স্বামী বাণিজ্য
অনেক
কিছু ভাড়ার পাশাপাশি রাজধানীতে চলছে ভাড়ায় স্বামী বাণিজ্য। বিশেষ করে তিন
ধরনের কাজের জন্য এসব স্বামী পরিচয়ে পুরুষ ভাড়া করা হয় বলে জানা গেছে।
এমনকি স্বামী হিসেবে ভাড়ায় খেটে নিজের সংসার চালাচ্ছেন এমনও পাওয়া গেছে।
দিনে ১শ’ টাকা থেকে মাসে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকায় ভাড়ায় স্বামী পাওয়া
যায়। আবার একই পুরুষ ভাড়ায় খাটেন একাধিক নারীর স্বামী পরিচয়ে এমন তথ্যও
পাওয়া গেছে।
রাজধানীর জুরাইন এলাকার সড়ক পাশের খুদে দোকানি আলো বেগমের স্বামী নেই। আরেক বিয়ে করে স্বামী চলে গেছে, কোথায় গিয়েছে সেটাও জানা নেই আলো বেগমের। তিনটি সন্তান নিয়ে সড়ক পাশের কখনও পিঠা, কখনও মওসুমি ফল, সঙ্গে চা-পানের দোকান করে জীবন চালান তিনি। এখন ছেলেকে চা পানের দোকান আলাদা করে দিতে পাঁচ হাজার টাকার ঋণ দরকার তার। একটি এনজিও থেকে ঋণ পেতে স্বামী দরকার। এনজিও’র লোকেরা বলেছে ঋণ পেতে হলে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের ছবি লাগবে, এক সঙ্গে না হলে ঋণ পাওয়া যাবে না। মাস কয়েক আগে এনজিও’র ঋণ পেতে একজন স্বামী ভাড়া করেছিলেন তিনি। ঋণের টাকা থেকে ৫শ’ টাকা দিয়েছেন তাকে। মাত্র ৫শ’ টাকাতেই আলো বেগমের সঙ্গে স্বামী পরিচয়ে এনজিও অফিসে গিয়ে ছবি তুলে ঋণ পেতে সহায়তা করেছে বিশু নামের এক লোক।
ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে যৌনকর্মীদের আনাগোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ওই সব যৌনকর্মী এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা শুরু করেছে। বাড়ি ভাড়া নিতে গেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বামী ছাড়া বাড়ির মালিক বাসা ভাড়া দিতে চায় না। বাড়ি ভাড়া নেয়ার ওই প্রতিবন্ধকতার কথা চিন্তা করে যৌন কর্মীরা তাদের পূর্ব পরিচিত কোন পুরুষকে স্বামী হিসেবে ভাড়া করে। বাড়ি ভাড়া করার সময় সঙ্গে থাকে ভাড়াটে স্বামী। দেখা গেছে, বাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় বাড়ির মালিককে বলা হয় স্বামী নিয়মিত ঢাকায় থাকে না, বাইরের কোন জেলায় চাকরি বা ব্যবসা করে। একই সঙ্গে বলা হয় বাসায় নিয়মিত থাকবে তার স্ত্রী ও দুই বা তিন বোন। ওই বোনদের থাকার কথা বলে জায়েজ করে নেয়া হয় আরও দু’-তিনজন যৌন কর্মীকে। এভাবেই রাজধানী শহর জুড়ে ফ্ল্যাট বাড়িগুলোতে চলছে যৌন বাণিজ্য।
শনির আখড়ার সোহান (ছদ্মনাম)। গ্রামের বাড়ি বরিশাল থেকে অভাবের তাড়নায় আসে ঢাকা। এসএসসি পাসও করেনি তাই কোন চাকরী দিতে চাচ্ছে না কেউ। এরই মধ্যে দেখা মিলে কাজলের সাথে। নিরূপায় হয়ে তার সাথে সংসদ ভবন এলাকায় যোগ দেয় ছিনতাইয়ে। পরিবর্তন করে ফেলে নিজের বংশ পরিচয়ও। এরই মধ্যে পরিচয় হয় স্বামী পরিত্যাক্তা রূপার (ছদ্মনাম) সাথে। তখন সে একটি প্রাইভেট চাকরীর পাশাপাশি যৌন ব্যাবসায় লিপ্ত। সিদ্ধান্ত হয় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দু’জন রাজধানীর শনির আখড়ায় বসবাস করবে। এরপরই বিউটি পার্লার ব্যবসার আড়ালে রূপা শুরু করে জোড়ালো যৌন ব্যবসা। বিধি বাম, এলাকার দুষ্ট ছেলেরা জেনে যায় সোহান-রুপা আসলে স্বামী-স্ত্রী নয়। তারপর দুজনকেই বাধ্য করে সত্যি সত্যি বিয়ে করতে। যদিও এছাড়া সোহান রাজধানীর শান্তিনগর, বাড্ডা, ফার্মগেট এলাকা সহ ৮/৯টি স্থানে যৌন কর্মীদের স্বামী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে যৌন ব্যবসা।
জানা গেছে, রাজধানীতে তিন ধরনের কাজের জন্য মহিলাদের স্বামী পরিচয়ে পুরুষ ভাড়া করার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা গেছে। বিশেষ করে যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারীরা বাসা ভাড়া নেয়ার সময় স্বামী হিসেবে লোক ভাড়া করে বাড়ির মালিককে দেখিয়ে থাকে। এনজিও সহ বেশকিছু মাল্টি পারপাস কোম্পানি থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নেয়ার শর্ত হিসেবে স্বামীর পরিচয় ও তার ছবি ব্যবহার করতে স্বামী ভাড়া করে। এছাড়া, সাম্প্রতিক কালে পাসপোর্ট অফিসে কোন মহিলা স্বামী ছাড়া একা গেলে তাকে স্বামীর উপস্থিতি দেখানোর প্রয়োজনে স্বামী ভাড়া করে দেখিয়ে আবার স্বামী নিয়ে আসার ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে হয়।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে একই ব্যক্তির তিন-চারটে ফ্ল্যাট বাড়িতে স্বামীর পরিচয়ে ভাড়া খাটার বিষয়টি। সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে সালাউদ্দিন নামের এক লোককে। ৬ নারীর স্বামী হিসেবে ভাড়া খাটে। ভাড়া খাটার শর্ত হচ্ছে সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন স্বামী পরিচয়ে বাসায় অবস্থান করতে হবে, আর বাসার বাজারও করে দিতে হবে। বাসায় অবস্থান করা ও বাজার করার শর্ত দেয়ার মানে হচ্ছে যাতে আশপাশের লোকেরা কোন প্রকার সন্দেহ না করে। ওই সব যৌনকর্মীদের ক্ষেত্রে স্বামীর ভাড়া সবচেয়ে বেশি।
জামালপুরের মধ্যবয়সী পুরুষ সালাউদ্দিন। এক যুগ আগে ঢাকায় এসে মিরপুর এলাকায় পান-সিগারেটের ব্যবসা শুরু করে। ধীরে ধীরে জড়িয়ে যায় এক সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে। ধরা পড়ে জেলও খাটে দেড় বছর। জেল থেকে বেরুনোর পর পরিচয় হয় এক মহিলার সঙ্গে। সেই থেকে ভাড়ায় স্বামী বাণিজ্য শুরু সালাউদ্দিনের। এখন রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা ও গাবতলী এলাকায় ৬টি বাসায় ৬ নারীর ভাড়াটে স্বামী সে। ভাড়া পায় ৩০ হাজার টাকা। কোন মাসে বেশিও পায়। আবার কোন মাসে কিছুটা কমও পায় বলে জানায় সালাউদ্দিন। নিজের স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে ভাড়া থাকে মিরপুরের কালসী এলাকায়। ভাড়ায় স্বামী খাটাই এখন তার একমাত্র পেশা বলে জানায় সে।
জানা গেছে, রাজধানীতে বিভিন্ন ক্ষুদে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ বস্তিবাসী বা ভাসমান নারীরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সন্তানদের নিয়ে জীবন ধারণ করছে। তাদের বেশির ভাগই স্বামী পরিত্যক্তা। ব্যবসা পরিচালনা বা সম্প্রসারণের কারণে কখনও কখনও এদের ক্ষুদ্র ঋণের প্রয়োজন হয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এনজিওগুলো বা নগরীতে সুদের ব্যবসা করে এমন সংস্থাগুলো ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের ছবি ও নাম ব্যবহার করে, দু’জনকেই ঋণের দায়বদ্ধ করে। এনজিও গুলোর ওই নিয়মের কারণে স্বামী পরিত্যক্তদের ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়ার সুযোগ থাকে না। সে ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে পরিচিত এবং ভাল সম্পর্ক আছে এমন কাউকে স্বামী হিসেবে ভাড়া করে সংস্থাগুলো থেকে ব্যবসার ঋণ পায় মহিলারা। বিনিময়ে ভাড়াটে স্বামীকে ধরিয়ে দিতে হয় নগদ কিছু। আবার জানা গেছে, অনেকে কেবলমাত্র ভাল সম্পর্কের কারণে বিনা টাকায় মহিলাদের ঋণ পেতে সহায়তা করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য ছবি তুলতে অফিসে যেতে হয়। অজ্ঞতাপ্রসূত কোন নারী একা পাসপোর্টের ছবি তুলতে গেলে তাকে স্বামী সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়, সে ক্ষেত্রে মহিলা পাসপোর্ট প্রত্যাশীকে সময় ব্যয় করে আরেক দিন আসতে হয়, অনেকে ফিরে যান। মহিলারা ফিরে যাওয়ার সময় এখানকার কিছু দালাল সুকৌশলে মহিলাদের প্রস্তাব দেন, টাকা-পয়সা খরচ করে আবার আসবেন তার চেয়ে মাত্র ১শ’ টাকা খরচ করুন- আমি একজন লোক দিচ্ছি উনি আপনার সঙ্গে যাবেন, মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য উনাকে স্বামী পরিচয় দেবেন, ছবিটা তোলা হলে চলে যাবেন। নানা বয়সী নারীদের জন্য কয়েক মিনিট ভাড়ায় খাটতে নানা বয়সী পুরুষ পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে জড়ো করা আছে এখানকার কুদ্দুস নামের এক দালালের।
রাজধানীর জুরাইন এলাকার সড়ক পাশের খুদে দোকানি আলো বেগমের স্বামী নেই। আরেক বিয়ে করে স্বামী চলে গেছে, কোথায় গিয়েছে সেটাও জানা নেই আলো বেগমের। তিনটি সন্তান নিয়ে সড়ক পাশের কখনও পিঠা, কখনও মওসুমি ফল, সঙ্গে চা-পানের দোকান করে জীবন চালান তিনি। এখন ছেলেকে চা পানের দোকান আলাদা করে দিতে পাঁচ হাজার টাকার ঋণ দরকার তার। একটি এনজিও থেকে ঋণ পেতে স্বামী দরকার। এনজিও’র লোকেরা বলেছে ঋণ পেতে হলে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের ছবি লাগবে, এক সঙ্গে না হলে ঋণ পাওয়া যাবে না। মাস কয়েক আগে এনজিও’র ঋণ পেতে একজন স্বামী ভাড়া করেছিলেন তিনি। ঋণের টাকা থেকে ৫শ’ টাকা দিয়েছেন তাকে। মাত্র ৫শ’ টাকাতেই আলো বেগমের সঙ্গে স্বামী পরিচয়ে এনজিও অফিসে গিয়ে ছবি তুলে ঋণ পেতে সহায়তা করেছে বিশু নামের এক লোক।
ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে যৌনকর্মীদের আনাগোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ওই সব যৌনকর্মী এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা শুরু করেছে। বাড়ি ভাড়া নিতে গেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বামী ছাড়া বাড়ির মালিক বাসা ভাড়া দিতে চায় না। বাড়ি ভাড়া নেয়ার ওই প্রতিবন্ধকতার কথা চিন্তা করে যৌন কর্মীরা তাদের পূর্ব পরিচিত কোন পুরুষকে স্বামী হিসেবে ভাড়া করে। বাড়ি ভাড়া করার সময় সঙ্গে থাকে ভাড়াটে স্বামী। দেখা গেছে, বাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় বাড়ির মালিককে বলা হয় স্বামী নিয়মিত ঢাকায় থাকে না, বাইরের কোন জেলায় চাকরি বা ব্যবসা করে। একই সঙ্গে বলা হয় বাসায় নিয়মিত থাকবে তার স্ত্রী ও দুই বা তিন বোন। ওই বোনদের থাকার কথা বলে জায়েজ করে নেয়া হয় আরও দু’-তিনজন যৌন কর্মীকে। এভাবেই রাজধানী শহর জুড়ে ফ্ল্যাট বাড়িগুলোতে চলছে যৌন বাণিজ্য।
শনির আখড়ার সোহান (ছদ্মনাম)। গ্রামের বাড়ি বরিশাল থেকে অভাবের তাড়নায় আসে ঢাকা। এসএসসি পাসও করেনি তাই কোন চাকরী দিতে চাচ্ছে না কেউ। এরই মধ্যে দেখা মিলে কাজলের সাথে। নিরূপায় হয়ে তার সাথে সংসদ ভবন এলাকায় যোগ দেয় ছিনতাইয়ে। পরিবর্তন করে ফেলে নিজের বংশ পরিচয়ও। এরই মধ্যে পরিচয় হয় স্বামী পরিত্যাক্তা রূপার (ছদ্মনাম) সাথে। তখন সে একটি প্রাইভেট চাকরীর পাশাপাশি যৌন ব্যাবসায় লিপ্ত। সিদ্ধান্ত হয় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দু’জন রাজধানীর শনির আখড়ায় বসবাস করবে। এরপরই বিউটি পার্লার ব্যবসার আড়ালে রূপা শুরু করে জোড়ালো যৌন ব্যবসা। বিধি বাম, এলাকার দুষ্ট ছেলেরা জেনে যায় সোহান-রুপা আসলে স্বামী-স্ত্রী নয়। তারপর দুজনকেই বাধ্য করে সত্যি সত্যি বিয়ে করতে। যদিও এছাড়া সোহান রাজধানীর শান্তিনগর, বাড্ডা, ফার্মগেট এলাকা সহ ৮/৯টি স্থানে যৌন কর্মীদের স্বামী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে যৌন ব্যবসা।
জানা গেছে, রাজধানীতে তিন ধরনের কাজের জন্য মহিলাদের স্বামী পরিচয়ে পুরুষ ভাড়া করার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা গেছে। বিশেষ করে যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারীরা বাসা ভাড়া নেয়ার সময় স্বামী হিসেবে লোক ভাড়া করে বাড়ির মালিককে দেখিয়ে থাকে। এনজিও সহ বেশকিছু মাল্টি পারপাস কোম্পানি থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নেয়ার শর্ত হিসেবে স্বামীর পরিচয় ও তার ছবি ব্যবহার করতে স্বামী ভাড়া করে। এছাড়া, সাম্প্রতিক কালে পাসপোর্ট অফিসে কোন মহিলা স্বামী ছাড়া একা গেলে তাকে স্বামীর উপস্থিতি দেখানোর প্রয়োজনে স্বামী ভাড়া করে দেখিয়ে আবার স্বামী নিয়ে আসার ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে হয়।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে একই ব্যক্তির তিন-চারটে ফ্ল্যাট বাড়িতে স্বামীর পরিচয়ে ভাড়া খাটার বিষয়টি। সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে সালাউদ্দিন নামের এক লোককে। ৬ নারীর স্বামী হিসেবে ভাড়া খাটে। ভাড়া খাটার শর্ত হচ্ছে সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন স্বামী পরিচয়ে বাসায় অবস্থান করতে হবে, আর বাসার বাজারও করে দিতে হবে। বাসায় অবস্থান করা ও বাজার করার শর্ত দেয়ার মানে হচ্ছে যাতে আশপাশের লোকেরা কোন প্রকার সন্দেহ না করে। ওই সব যৌনকর্মীদের ক্ষেত্রে স্বামীর ভাড়া সবচেয়ে বেশি।
জামালপুরের মধ্যবয়সী পুরুষ সালাউদ্দিন। এক যুগ আগে ঢাকায় এসে মিরপুর এলাকায় পান-সিগারেটের ব্যবসা শুরু করে। ধীরে ধীরে জড়িয়ে যায় এক সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে। ধরা পড়ে জেলও খাটে দেড় বছর। জেল থেকে বেরুনোর পর পরিচয় হয় এক মহিলার সঙ্গে। সেই থেকে ভাড়ায় স্বামী বাণিজ্য শুরু সালাউদ্দিনের। এখন রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা ও গাবতলী এলাকায় ৬টি বাসায় ৬ নারীর ভাড়াটে স্বামী সে। ভাড়া পায় ৩০ হাজার টাকা। কোন মাসে বেশিও পায়। আবার কোন মাসে কিছুটা কমও পায় বলে জানায় সালাউদ্দিন। নিজের স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে ভাড়া থাকে মিরপুরের কালসী এলাকায়। ভাড়ায় স্বামী খাটাই এখন তার একমাত্র পেশা বলে জানায় সে।
জানা গেছে, রাজধানীতে বিভিন্ন ক্ষুদে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ বস্তিবাসী বা ভাসমান নারীরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সন্তানদের নিয়ে জীবন ধারণ করছে। তাদের বেশির ভাগই স্বামী পরিত্যক্তা। ব্যবসা পরিচালনা বা সম্প্রসারণের কারণে কখনও কখনও এদের ক্ষুদ্র ঋণের প্রয়োজন হয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এনজিওগুলো বা নগরীতে সুদের ব্যবসা করে এমন সংস্থাগুলো ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের ছবি ও নাম ব্যবহার করে, দু’জনকেই ঋণের দায়বদ্ধ করে। এনজিও গুলোর ওই নিয়মের কারণে স্বামী পরিত্যক্তদের ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়ার সুযোগ থাকে না। সে ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে পরিচিত এবং ভাল সম্পর্ক আছে এমন কাউকে স্বামী হিসেবে ভাড়া করে সংস্থাগুলো থেকে ব্যবসার ঋণ পায় মহিলারা। বিনিময়ে ভাড়াটে স্বামীকে ধরিয়ে দিতে হয় নগদ কিছু। আবার জানা গেছে, অনেকে কেবলমাত্র ভাল সম্পর্কের কারণে বিনা টাকায় মহিলাদের ঋণ পেতে সহায়তা করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য ছবি তুলতে অফিসে যেতে হয়। অজ্ঞতাপ্রসূত কোন নারী একা পাসপোর্টের ছবি তুলতে গেলে তাকে স্বামী সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়, সে ক্ষেত্রে মহিলা পাসপোর্ট প্রত্যাশীকে সময় ব্যয় করে আরেক দিন আসতে হয়, অনেকে ফিরে যান। মহিলারা ফিরে যাওয়ার সময় এখানকার কিছু দালাল সুকৌশলে মহিলাদের প্রস্তাব দেন, টাকা-পয়সা খরচ করে আবার আসবেন তার চেয়ে মাত্র ১শ’ টাকা খরচ করুন- আমি একজন লোক দিচ্ছি উনি আপনার সঙ্গে যাবেন, মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য উনাকে স্বামী পরিচয় দেবেন, ছবিটা তোলা হলে চলে যাবেন। নানা বয়সী নারীদের জন্য কয়েক মিনিট ভাড়ায় খাটতে নানা বয়সী পুরুষ পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে জড়ো করা আছে এখানকার কুদ্দুস নামের এক দালালের।
No comments