সরকারকে সন্ত্রাসের চক্র ভাঙতে বলেছে ইইউ- গণতান্ত্রিক জবাবদিহি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের তাগিদ
ঢাকায়
নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দেশের বর্তমান
পরিস্থিতি অবহিত করতে কূটনৈতিক ব্রিফিং করেছে সরকার। রোববার রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন পদ্মায় এ ব্রিফিং হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী,
ভারপ্রাপ্ত সচিব ও মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত
ইইউভুক্ত দেশগুলোর মিশন প্রধানরা ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। কূটনৈতিক
সূত্রগুলোর দাবি, বিকাল ৪টা থেকে পৌনে ৬টা- প্রায় দু’ঘণ্টার এ আলোচনায়
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ওঠে আসে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও
হাইকমিশনাররা বাংলাদেশে একের পর এক সহিংস আক্রমণের ঘটনায় সম্মিলিতভাবে
উদ্বেগ জানান। সন্ত্রাসের ওই চক্র ভাঙতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই
সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেন তারা। একই সঙ্গে সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের
হাতে সামপ্রতিক সময়ে দেশি-বিদেশি উন্নয়ন কর্মী, ব্লগার, ধর্মীয় ও বিভিন্ন
বিশ্বাসের লোকজনের হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে
জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করা এবং বিচারের আওতায় নিয়ে আসার তাগিদ দেন।
সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থা ইইউসহ পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি উল্লেখ করে এদের
নির্মূলে পাল্টা এবং শক্তিশালী আঘাতে জাতীয়ভাবে দল মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক ও
সামাজিক শক্তিগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস কামনা করেন তারা। এদের বিরুদ্ধে চলমান
লড়াইয়ে এবং নিরাপত্তা নিয়ে সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসাও করেন
ইইউ দূতরা। তারা নিরাপত্তা অগ্রগতি আরও দৃশ্যমান করার ওপর জোর দেন।
ঘটনাগুলো একই কায়দায় পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে এবং এসবের পেছনে
দেশি-বিদেশি সংগঠিত শক্তির সম্পৃক্ততার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঘটনায় দায় স্বীকারের
বিষয়টিও তাদের আলোচনায় স্থান পায়। তবে সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী
বরাবরের মতো এবারও হত্যাকাণ্ড ও দায় স্বীকারের ঘটনাগুলোর সঙ্গে আইএসের
সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সরাসরি নাকচ করেন। সরকারের তরফে ঘটনাগুলোর সঙ্গে এবার
জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের মতাদর্শের অনুসারীদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা
জানানো হয়। একই সঙ্গে তাদের শেল্টার বা আশ্রয় দেয়ার জন্য বিএনপিকে দায়ী করা
হয়। ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়ার একাধিক সূত্রের দাবি, বিদেশি দূতরা তাদের উদ্বেগ,
আতঙ্ক এবং অনিশ্চয়তার কথা তুলে ধরে পরিস্থিতির উত্তরণে সম্মিলিত প্রয়াস
চেয়েছেন। তারা এ উদ্যোগে সহযোগিতার প্রস্তাব করেছেন। এক সরকারি কর্মকর্তার
ভাষ্য, সেখানে দূতদের সাবলীল উপস্থাপনা ছিল। যা আলোচনাকে প্রাণবন্ত করেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশিদের উদ্বেগ নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে
ধরা হয়েছে। চলাফেরায় তাদের পর্যাপ্ত এবং কয়েক স্তরের নিরাপত্তার বিষয়ে
অবহিত করা হয়। ব্রিফিং শেষে অপেক্ষমাণ মিডিয়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো
পক্ষ কথা বলতে রাজি না হলেও উভয়ের তরফে রোববার রাতেই পৃথক বিবৃতি দেয়া হয়।
সহিংসতার চক্র ভাঙুন-ইইউ: সামপ্রতিক সময়ে দেশে চরমপন্থিদের আক্রমণে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ইইউ। রোবরাত রাতে ইইউ ঢাকা অফিসের এক যুক্ত বিবৃতিতে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ জোটভুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতরা এ আহ্বান জানান। সেখানে ‘ঝুঁকিতে’ থাকা সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ‘সহিংসতার চক্র’ ভাঙার আহ্বান জানান তারা। সরকারের উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় মিশনগুলোর প্রধানরা বলেন, এই ধরনের হামলা চলতে থাকলে তা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়- রোববার ইউরোপীয় কূটনীতিকরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে বাংলাদেশে সামপ্রতিক সময়ে ব্লগার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, মানবাধিকার কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও বিদেশিদের ওপর একের পর এক বর্বর হামলার বিষয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরেন। মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপে ইইউ দূতরা বলেন, সহিংস এসব হামলা মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও বিশ্বাসের প্রতি ‘নজিরবিহীন হুমকি’ তৈরি করেছে। এটি মুক্ত, সহনশীল এবং স্থিতিশীল ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে রয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা চলাকালে ঢাকায় মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার পর ধারাবাহিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও কয়েকজন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রকাশক, খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ ধর্মগুরু, সমকামী অধিকারকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও ভিন্ন মতের ইসলামী ভাবধারা অনুসারী। দুজন বিদেশিকে প্রাণ দিতে হয়েছে বাংলাদেশে। এসব হামলার অনেকগুলোতে দায় স্বীকার করে আইএস ও আল-কায়েদার নামে বার্তা এলেও সরকার বলছে, অভ্যন্তরীণ জঙ্গিরাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। সহিংস চরমপন্থা দমনে বৃহত্তর কর্মসূচির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের প্রয়োজনীয়তার তাগিদ দেয় ইইউ। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গণতান্ত্রিক জবাবদিহি, বাক স্বাধীনতা, শক্তিশালী গণমাধ্যম, সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং সুশীল সমাজের ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব দেন ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতরা অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথাও মন্ত্রীর সামনে পুনর্ব্যক্ত করেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
হত্যার পিছনে জামায়াত- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: এদিকে কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের বিষয়ে রোববার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রচার করে। সেখানে বলা হয়েছে, সামপ্রতিক হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও তার অগ্রগতি সম্পর্কে ইউরোপীয় মিশনগুলোর প্রধানদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। এসব হত্যাকাণ্ডে জামায়াতে ইসলামী ও এর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী জড়িত বলে দূতদের জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্ন’ এবং সরকারকে সমস্যায় ফেলতে তারা এসব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে জামায়াতে ইসলামী এবং এর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী যেমন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি), আনসার আল-ইসলাম, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হরকাতুল-জিহাদ-আল-ইসলাম (হুজি-বি), হিজবুত তাহরির বাংলাদেশ এবং নতুন আবির্ভূত আল মুজাহিদ প্রভৃতি এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত। বিএনপি ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ ওই দলগুলোকে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এ-ও বলেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হওয়া প্রস্তাবে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার যে আহ্বান জানানো হয় তাতে কর্ণপাত করেনি দলটি। ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন ‘স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ’। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সেখানে মন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ওই চুক্তি ছিল শুধু ১৯৫ জন যুদ্ধবন্দিকে নিয়ে, যাদেরকে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ জঘন্য অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সহিংসতার চক্র ভাঙুন-ইইউ: সামপ্রতিক সময়ে দেশে চরমপন্থিদের আক্রমণে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ইইউ। রোবরাত রাতে ইইউ ঢাকা অফিসের এক যুক্ত বিবৃতিতে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ জোটভুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতরা এ আহ্বান জানান। সেখানে ‘ঝুঁকিতে’ থাকা সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ‘সহিংসতার চক্র’ ভাঙার আহ্বান জানান তারা। সরকারের উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় মিশনগুলোর প্রধানরা বলেন, এই ধরনের হামলা চলতে থাকলে তা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়- রোববার ইউরোপীয় কূটনীতিকরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে বাংলাদেশে সামপ্রতিক সময়ে ব্লগার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, মানবাধিকার কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও বিদেশিদের ওপর একের পর এক বর্বর হামলার বিষয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরেন। মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপে ইইউ দূতরা বলেন, সহিংস এসব হামলা মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও বিশ্বাসের প্রতি ‘নজিরবিহীন হুমকি’ তৈরি করেছে। এটি মুক্ত, সহনশীল এবং স্থিতিশীল ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে রয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা চলাকালে ঢাকায় মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার পর ধারাবাহিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও কয়েকজন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রকাশক, খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ ধর্মগুরু, সমকামী অধিকারকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও ভিন্ন মতের ইসলামী ভাবধারা অনুসারী। দুজন বিদেশিকে প্রাণ দিতে হয়েছে বাংলাদেশে। এসব হামলার অনেকগুলোতে দায় স্বীকার করে আইএস ও আল-কায়েদার নামে বার্তা এলেও সরকার বলছে, অভ্যন্তরীণ জঙ্গিরাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। সহিংস চরমপন্থা দমনে বৃহত্তর কর্মসূচির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের প্রয়োজনীয়তার তাগিদ দেয় ইইউ। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গণতান্ত্রিক জবাবদিহি, বাক স্বাধীনতা, শক্তিশালী গণমাধ্যম, সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং সুশীল সমাজের ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব দেন ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতরা অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথাও মন্ত্রীর সামনে পুনর্ব্যক্ত করেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
হত্যার পিছনে জামায়াত- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: এদিকে কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের বিষয়ে রোববার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রচার করে। সেখানে বলা হয়েছে, সামপ্রতিক হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও তার অগ্রগতি সম্পর্কে ইউরোপীয় মিশনগুলোর প্রধানদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। এসব হত্যাকাণ্ডে জামায়াতে ইসলামী ও এর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী জড়িত বলে দূতদের জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্ন’ এবং সরকারকে সমস্যায় ফেলতে তারা এসব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে জামায়াতে ইসলামী এবং এর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী যেমন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি), আনসার আল-ইসলাম, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হরকাতুল-জিহাদ-আল-ইসলাম (হুজি-বি), হিজবুত তাহরির বাংলাদেশ এবং নতুন আবির্ভূত আল মুজাহিদ প্রভৃতি এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত। বিএনপি ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ ওই দলগুলোকে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এ-ও বলেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হওয়া প্রস্তাবে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার যে আহ্বান জানানো হয় তাতে কর্ণপাত করেনি দলটি। ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন ‘স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ’। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সেখানে মন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ওই চুক্তি ছিল শুধু ১৯৫ জন যুদ্ধবন্দিকে নিয়ে, যাদেরকে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ জঘন্য অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
No comments