ফেবারিট ট্যাগ নিতে প্রস্তুত ব্রাজিল
গত বিশ্বকাপের জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালের সেই দুঃস্বপ্ন মনে করে আজও আঁতকে ওঠেন বহু ব্রাজিল-ভক্ত। খোদ জার্মান দলও কি সেদিন ভেবেছিল যে ব্রাজিলের মাটিতেই ব্রাজিলের জালে গুনে গুনে সাতবার বল ফেলা যাবে! এরপর দুই বছর কেটে গেছে। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে সাত গোল হজমের ক্ষত আজও সারিয়ে উঠতে পারেনি ব্রাজিল। গত বছর কোপা আামেরিকাতেও তারা ব্যর্থ। একটা সময় ছিল ব্রাজিল মানেই যেকোনো টুর্নামেন্টের অবিসংবাদিতভাবে ফেবারিট। কিন্তু এখন কি আর সেই দিন আছে? বিশ্বকাপ ও কোপার ধাক্কা যে ব্রাজিল এখনো সামলে উঠতে পারেনি, তার বড় প্রমাণ বোধ হয় বিশ্বকাপের চলমান বাছাইপর্ব। লাতিন অঞ্চলে ১০ দলের মধ্যে ৬ নম্বর স্থানটাতে ঠিক ব্রাজিলের সুনামের সঙ্গে যায় না। আগামী জুনে শতবর্ষ পূর্তির বিশেষ কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতায় আবারও খেলবে ব্রাজিল। এই প্রতিযোগিতায় ব্রাজিল ফেবারিট কি না, এই আলোচনাটা কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। খুব উচ্চকিত হয়তো নয়, কিন্তু দলটা ব্রাজিল বলেই বিশ্লেষকেরা একে ফেবারিটই মানতে চান। অনেকেই একমত হবেন না। কিন্তু ব্যাপারটা যে ব্রাজিলীয় ফুটবলের ‘নিয়তি’, সেটা স্বীকার করেছেন ভ্যালেন্সিয়ার ব্রাজিলীয় গোলরক্ষক ডিয়েগো আলভেজ। আলভেজের মতে, ‘এটা হবেই। ব্রাজিল ফেবারিট হিসেবেই খেলতে নামবে। যেকোনো প্রতিযোগিতাতেই ব্রাজিলের ব্যাপারে বড় ধরনের প্রত্যাশা লুকিয়ে থাকে দেশের মানুষের মনে। সবাই চায় দল যেন ভালো করে, দল যেন সাফল্য ছিনিয়ে নিয়ে আসে।’ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ছয় ম্যাচে মাত্র দুটিতে জয়ী দলকেও ‘ফেবারিট’ মনে করা হচ্ছে! আলভেজ বলেছেন, ‘যেকোনো বড় প্রতিযোগিতাতেই ব্রাজিল ফেবারিট হিসেবে খেলে। এটা ব্রাজিলীয় ফুটবলের সুনাম ও ফুটবলীয় ইতিহাসকে ধর্তব্যের মধ্যে নিয়েই।’ ব্রাজিলীয় ফুটবলের এই সুনামের রক্ষাকবচ খেলোয়াড়েরাই। কিন্তু ব্রাজিলের বর্তমান খেলোয়াড়েরা কি প্রস্তুত এই সুনামের গুরুভার বহন করতে? আলভেজের মতে, ব্রাজিলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ই মানসিকভাবে প্রস্তুত। তাঁরা জানেন ব্রাজিলীয় ফুটবলের ইতিহাসের গুরুত্ব কতটা। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই পেশাদার এবং তাঁরা বড় পর্যায়ে খেলেন। ইউরোপের নামীদামি ক্লাবে খেলে প্রত্যাশার চাপ ধারণ করার বিষয়টি তাঁরা সবাই শিখে ফেলেছেন। সূত্র: গোল ডটকম।
No comments