ইরানে পরিবর্তনের হাওয়া
হাসান রুহানি |
ইরানের
‘একঘরে’ অবস্থার হয়তো পরিবর্তন হতে চলেছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপে
অর্থনৈতিকভাবে দীর্ঘদিন কোণঠাসা ছিল দেশটি। সম্প্রতি মূলত পশ্চিমা
শক্তিগুলোর সঙ্গে করা পরমাণুবিষয়ক চুক্তির আওতায় দেশটি বেশির ভাগ
নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, এই ‘মুক্তি’র কতটুকু সুফল ইরান ঘরে তুলতে পারবে তার অনেকখানি নির্ভর করছে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলের ওপর। এই ফলের ওপর নির্ভর করছে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির সম্পর্কোন্নয়ন এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিজের ভাবমূর্তি শক্তপোক্ত করা।
নির্বাচন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ যে তথ্য দিয়েছে, তাতে এটা মোটামুটি স্পষ্ট যে দেশটিতে রক্ষণশীলদের চেয়ে সংস্কারপন্থী ও উদার-রক্ষণশীলদের জোট বেশি আসন পাবে। তবে কোনো পক্ষই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। বর্তমানে পার্লামেন্টে রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ক্ষমতাসীন উদারপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি স্বাধীনভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। পার্লামেন্টে সংস্কারপন্থীদের হাতে বেশি আসন এসে গেলেই তিনি অনেক স্বচ্ছন্দ হবেন।
সরাসরি কিছু না বললেও রুহানি গতকালই বলেছেন, জনগণ তাঁদের শক্তিমত্তা দেখিয়েছে এবং এই সরকারের নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা ইরানের এই নির্বাচনকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এই কারণে যে এবার ৬০ শতাংশের বেশি ভোটারের বয়স ৩০ বছরের নিচে। সংস্কারপন্থীদের জয়ের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হবে যে তরুণেরা পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চান। বিশ্ব থেকে তাঁরা আর বিচ্ছিন্ন থাকতে চান না।
তেহরান থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক জোনাহ হাল অবশ্য বলেছেন, তেহরানে সংস্কারপন্থীদের বড় বিজয় হলেও সারা দেশে একই চিত্র দেখা যাবে এমন কথা কেউ ভাবছে না। তিনি মনে করেন, গ্রামাঞ্চলে রক্ষণশীলেরাই প্রাধান্য বজায় রাখবে।
মূলত কট্টর রক্ষণশীলতার জোরালো ভিত্তি গড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রুহানির পূর্বসূরি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। তাঁর ক্ষমতার দুই মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। আহমাদিনেজাদের সরকার দেশেও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়।
ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিলের গবেষণা পরিচালক রেজা মারাশি বলেছেন, নির্বাচনের এই ফল স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে, ভোটাররা পরিবর্তন চান। তিনি বলেন, ইরানিরা রাজনৈতিক অভিজাত গোষ্ঠীর কাছে জোরালোভাবে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষ যে রাজনৈতিক ও সামাজিক আশা-আকাঙ্ক্ষা লালন করে এসেছে তা তারা পূরণ করতে পারেনি। এ কারণেই তারা পরিবর্তন চায়।
তবে ইরানের রক্ষণশীল ঘরানার কৈহান পত্রিকার সাংবাদিক ঘানবার নাদেরি নির্বাচনের আগে আল-জাজিরাকে বলেছিলেন, যদি সংস্কারপন্থীদের জয় হয়, তাহলেও ইরানের অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে তাঁর মনে হয় না। সব দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিষয়ে ঘানবার নাদেরি বলেন, সময় এসেছে তরুণদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার। কিন্তু রাজনীতিকেরা পদ আঁকড়ে থাকছেন। তরুণদের জায়গা দিতে চাচ্ছেন না। যত দিন এটা না হবে তত দিন ইরানের রাজনৈতিক অবস্থা বদলাবে না।
প্রেসিডেন্ট রুহানি একই সঙ্গে একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেম ও সমঝোতাপন্থী বিদগ্ধ কূটনীতিক। এ কারণে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘ডিপ্লোম্যাট শেখ’ হিসেবে পরিচিত। রক্ষণশীলদের তীব্র বিরোধিতার মুখেও রুহানি পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেন।
অনেকেই মনে করছেন, এই ‘মুক্তি’র কতটুকু সুফল ইরান ঘরে তুলতে পারবে তার অনেকখানি নির্ভর করছে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলের ওপর। এই ফলের ওপর নির্ভর করছে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির সম্পর্কোন্নয়ন এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিজের ভাবমূর্তি শক্তপোক্ত করা।
নির্বাচন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ যে তথ্য দিয়েছে, তাতে এটা মোটামুটি স্পষ্ট যে দেশটিতে রক্ষণশীলদের চেয়ে সংস্কারপন্থী ও উদার-রক্ষণশীলদের জোট বেশি আসন পাবে। তবে কোনো পক্ষই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। বর্তমানে পার্লামেন্টে রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ক্ষমতাসীন উদারপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি স্বাধীনভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। পার্লামেন্টে সংস্কারপন্থীদের হাতে বেশি আসন এসে গেলেই তিনি অনেক স্বচ্ছন্দ হবেন।
সরাসরি কিছু না বললেও রুহানি গতকালই বলেছেন, জনগণ তাঁদের শক্তিমত্তা দেখিয়েছে এবং এই সরকারের নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা ইরানের এই নির্বাচনকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এই কারণে যে এবার ৬০ শতাংশের বেশি ভোটারের বয়স ৩০ বছরের নিচে। সংস্কারপন্থীদের জয়ের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হবে যে তরুণেরা পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চান। বিশ্ব থেকে তাঁরা আর বিচ্ছিন্ন থাকতে চান না।
তেহরান থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক জোনাহ হাল অবশ্য বলেছেন, তেহরানে সংস্কারপন্থীদের বড় বিজয় হলেও সারা দেশে একই চিত্র দেখা যাবে এমন কথা কেউ ভাবছে না। তিনি মনে করেন, গ্রামাঞ্চলে রক্ষণশীলেরাই প্রাধান্য বজায় রাখবে।
মূলত কট্টর রক্ষণশীলতার জোরালো ভিত্তি গড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রুহানির পূর্বসূরি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। তাঁর ক্ষমতার দুই মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। আহমাদিনেজাদের সরকার দেশেও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়।
ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিলের গবেষণা পরিচালক রেজা মারাশি বলেছেন, নির্বাচনের এই ফল স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে, ভোটাররা পরিবর্তন চান। তিনি বলেন, ইরানিরা রাজনৈতিক অভিজাত গোষ্ঠীর কাছে জোরালোভাবে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষ যে রাজনৈতিক ও সামাজিক আশা-আকাঙ্ক্ষা লালন করে এসেছে তা তারা পূরণ করতে পারেনি। এ কারণেই তারা পরিবর্তন চায়।
তবে ইরানের রক্ষণশীল ঘরানার কৈহান পত্রিকার সাংবাদিক ঘানবার নাদেরি নির্বাচনের আগে আল-জাজিরাকে বলেছিলেন, যদি সংস্কারপন্থীদের জয় হয়, তাহলেও ইরানের অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে তাঁর মনে হয় না। সব দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিষয়ে ঘানবার নাদেরি বলেন, সময় এসেছে তরুণদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার। কিন্তু রাজনীতিকেরা পদ আঁকড়ে থাকছেন। তরুণদের জায়গা দিতে চাচ্ছেন না। যত দিন এটা না হবে তত দিন ইরানের রাজনৈতিক অবস্থা বদলাবে না।
প্রেসিডেন্ট রুহানি একই সঙ্গে একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেম ও সমঝোতাপন্থী বিদগ্ধ কূটনীতিক। এ কারণে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘ডিপ্লোম্যাট শেখ’ হিসেবে পরিচিত। রক্ষণশীলদের তীব্র বিরোধিতার মুখেও রুহানি পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেন।
No comments