চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভারতের নতুন পারমাণবিক ডুবোজাহাজ অরিহন্ত
নিজ
দেশে তৈরি পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত প্রথম ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন) আইএনএস
অরিহন্তের চূড়ান্ত পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এর মধ্য দিয়ে পানির
নিচ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম জাহাজের অধিকারী ষষ্ঠ দেশে পরিণত
হলো ভারত।
ডুবোজাহাজটি মোতায়েন করা হলে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের সক্ষমতার ষোলোকলা পূর্ণ হবে। তখন স্থল, জল ও আকাশ—তিন অবস্থান থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপের সক্ষমতা অর্জন করবে দেশটি।
আইএনএস অরিহন্ত কী?
১১০ মিটার লম্বা ছয় হাজার টনের আইএনএস ‘অরিহন্ত’ (সংস্কৃত নামটির অর্থ শত্রু হত্যাকারী) সরকারের একটি গোপন কর্মসূচির আওতায় গত তিন দশক ধরে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের যাত্রা শুরু সত্তরের দশকে। অনুমোদন পায় ১৯৮৪ সালে। এরপর কাজ শুরু হয় ১৯৯৮ সালে।
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে ডুবোজাহাজটির। একজন কর্মকর্তা দ্য ইকোনমিক টাইমসকে বলেছেন, গত পাঁচ মাসে গভীর সাগরে বেশ কয়েকটি মহড়া ও অস্ত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এটি।
পারমাণবিক শক্তিচালিত এই ডুবোজাহাজটিকে ১২টি স্বল্পপাল্লার কে-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র বা চারটি কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত করা যাবে। একই ধরনের আরও দুটি ডুবোজাহাজ তৈরির কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আর ২০১০ সালের মধ্যে এমন চারটি ডুবোজাহাজ বানাতে চায় ভারত।
বিশ্বে এই ডুবোজাহাজ কী প্রভাব ফেলতে পারে?
ভারত পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত এই ডুবোজাহাজ মোতায়েন করলে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে নৌ অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। বিশেষ করে পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়াকে একই ধরনের প্রযুক্তি গড়ে তুলতে চীন সহায়তা করতে পারে। এ বিশ্লেষণ ব্লুমবার্গের।
ভারত ও চীন উভয়ই পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে ‘প্রথম ব্যবহার নয়’ নীতি মেনে চলে। তারা পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত ডুবোজাহাজগুলোকে দেখে থাকে মূলত প্রতিরোধক হিসেবে, যার লক্ষ্য যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো।
ভারতের কাছে স্থল ও আকাশে ব্যবহারযোগ্য যেসব পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তার তুলনায় অরিহন্তকে শনাক্ত করা শত্রুর জন্য অনেক কঠিন হবে। ফলে এর ‘দ্বিতীয় দফায় আঘাত’ হানার সক্ষমতা রয়েছে। সুতরাং শত্রুপক্ষের কেউ প্রথম আঘাতে ভারতের অন্যান্য পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হলে, দেশটি অরিহন্ত দিয়ে পাল্টা আঘাত হানতে পারবে।
অবশ্য ভারত ও চীন উভয়ের বর্তমান পারমাণবিক ডুবোজাহাজগুলোই শব্দ করে চলাচল করে এবং তা শনাক্ত করা সহজ। ফলে এগুলোকে ‘দ্বিতীয় দফায় আঘাত’ হানার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা কঠিন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান লোয়ারি ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসি তাদের এক প্রতিবেদনে তেমনটিই বলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও ভারত তাদের ডুবোজাহাজগুলোতে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করায় অস্থিরতার একটা দীর্ঘ পর্যায় শুরু হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে সামুদ্রিক উত্তেজনা বাড়তে পারে।
এমন ডুবোজাহাজ আর কার কার আছে?
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন এরই মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত ডুবোজাহাজ তৈরি করেছে। এর মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় স্থল, জল ও আকাশ—তিন স্থান থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপের সক্ষমতা আছে বলে মনে করা হয়।
ডুবোজাহাজটি মোতায়েন করা হলে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের সক্ষমতার ষোলোকলা পূর্ণ হবে। তখন স্থল, জল ও আকাশ—তিন অবস্থান থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপের সক্ষমতা অর্জন করবে দেশটি।
আইএনএস অরিহন্ত কী?
১১০ মিটার লম্বা ছয় হাজার টনের আইএনএস ‘অরিহন্ত’ (সংস্কৃত নামটির অর্থ শত্রু হত্যাকারী) সরকারের একটি গোপন কর্মসূচির আওতায় গত তিন দশক ধরে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের যাত্রা শুরু সত্তরের দশকে। অনুমোদন পায় ১৯৮৪ সালে। এরপর কাজ শুরু হয় ১৯৯৮ সালে।
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে ডুবোজাহাজটির। একজন কর্মকর্তা দ্য ইকোনমিক টাইমসকে বলেছেন, গত পাঁচ মাসে গভীর সাগরে বেশ কয়েকটি মহড়া ও অস্ত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এটি।
পারমাণবিক শক্তিচালিত এই ডুবোজাহাজটিকে ১২টি স্বল্পপাল্লার কে-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র বা চারটি কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত করা যাবে। একই ধরনের আরও দুটি ডুবোজাহাজ তৈরির কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আর ২০১০ সালের মধ্যে এমন চারটি ডুবোজাহাজ বানাতে চায় ভারত।
বিশ্বে এই ডুবোজাহাজ কী প্রভাব ফেলতে পারে?
ভারত পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত এই ডুবোজাহাজ মোতায়েন করলে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে নৌ অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। বিশেষ করে পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়াকে একই ধরনের প্রযুক্তি গড়ে তুলতে চীন সহায়তা করতে পারে। এ বিশ্লেষণ ব্লুমবার্গের।
ভারত ও চীন উভয়ই পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে ‘প্রথম ব্যবহার নয়’ নীতি মেনে চলে। তারা পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত ডুবোজাহাজগুলোকে দেখে থাকে মূলত প্রতিরোধক হিসেবে, যার লক্ষ্য যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো।
ভারতের কাছে স্থল ও আকাশে ব্যবহারযোগ্য যেসব পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তার তুলনায় অরিহন্তকে শনাক্ত করা শত্রুর জন্য অনেক কঠিন হবে। ফলে এর ‘দ্বিতীয় দফায় আঘাত’ হানার সক্ষমতা রয়েছে। সুতরাং শত্রুপক্ষের কেউ প্রথম আঘাতে ভারতের অন্যান্য পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হলে, দেশটি অরিহন্ত দিয়ে পাল্টা আঘাত হানতে পারবে।
অবশ্য ভারত ও চীন উভয়ের বর্তমান পারমাণবিক ডুবোজাহাজগুলোই শব্দ করে চলাচল করে এবং তা শনাক্ত করা সহজ। ফলে এগুলোকে ‘দ্বিতীয় দফায় আঘাত’ হানার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা কঠিন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান লোয়ারি ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসি তাদের এক প্রতিবেদনে তেমনটিই বলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও ভারত তাদের ডুবোজাহাজগুলোতে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করায় অস্থিরতার একটা দীর্ঘ পর্যায় শুরু হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে সামুদ্রিক উত্তেজনা বাড়তে পারে।
এমন ডুবোজাহাজ আর কার কার আছে?
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন এরই মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত ডুবোজাহাজ তৈরি করেছে। এর মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় স্থল, জল ও আকাশ—তিন স্থান থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপের সক্ষমতা আছে বলে মনে করা হয়।
No comments