ঠিক এই সময় জামায়াত নতুন এক রাজনৈতিক দাবি নিয়ে মাঠে হাজির হয়
১৯৮৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এরশাদ ঘোষণা করেন যে পরবর্তী ২৬ মার্চ থেকে অবাধ রাজনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে এবং ২৭ মে একই দিনে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৭ ও ১৫ দলীয় জোট সবার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করে। তারা জোটভুক্ত দলের নেতা-কর্মীদের উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানায়। তাদের দাবির মুখে এরশাদ ১৮ মার্চ (১৯৮৪) উপজেলা নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। এ সময় বিএনপিতে একটি পরিবর্তন আসে। ১ এপ্রিল (১৯৮৪) দলের বর্ধিত সভায় বেগম খালেদা জিয়া ভাষণ দেন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ঠিক এই সময় জামায়াতে ইসলামী নতুন এক রাজনৈতিক দাবি নিয়ে মাঠে হাজির হয়। ১০ এপ্রিল (১৯৮৪) জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের এবং তাদের নেতা গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ ‘বিএনপি: সময়-অসময়’ শীর্ষক বইতে এসব তথ্য লিখেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, দুই জোটের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা চলছিল। তবে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক ছিল ঠুনকো। মনে হচ্ছিল এরশাদ সরকার নানা ছুতোনায় এ সম্পর্কে চিড় ধরাতে এবং কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে জোটভুক্ত নেতাদের কিংবা কোনো একটি জোটকে বগলদাবা করে ফেলতে পারবে।
এরশাদ ১৯৮৪ সালের নভেম্বরে ‘জনদল’ তৈরি করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে দলের আহবায়ক বানান। রাষ্ট্রপতির চাকরি হারানোর পর আহসানউদ্দিনের এটাই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্ম বা অপকর্ম। বিএনপি, মুসলীম লীগ, জাসদ, ন্যাপ (ভাসানী) এবং আওয়ামী লীগেরও কয়েকজন নেতা অবলীলায় জনদলে যোগ দেন।
সাত দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া আগাগোড়াই নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিপক্ষে ছিলেন। তার ধারণা, এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নিলে এরশাদের পতন হবে। অবশ্য তার জোটের দুটি দলের নেতা- কাজী জাফর ও সিরাজুল হোসেন খান নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন। বিএনপির একটি অংশ শাহ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে গোপনে এরশাদকে সমর্থন করেছিল ও নির্বাচনের পক্ষে ছিল। এরা নির্বাচনের পক্ষে বিবৃতিও দিয়েছিল। এরা সবাই মন্ত্রিত্বের লোভে নির্বাচনের পক্ষে ছিল, আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার কৌশল হিসেবে নয়। মানুষ তাদের দালাল ভাবতে থাকে। বেগম জিয়ার নির্বাচনবিরোধী অনড় ভূমিকার জন্য ১৫ দলীয় জোটের বাম দলগুলোর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরশাদ সরকারের বদলে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েম এবং সামরিক শাসন প্রত্যাহার- এই দুটি দাবি মেনে না নিলে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না- এই ছিল নির্বাচনবিরোধীদের মূল কথা।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ ‘বিএনপি: সময়-অসময়’ শীর্ষক বইতে এসব তথ্য লিখেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, দুই জোটের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা চলছিল। তবে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক ছিল ঠুনকো। মনে হচ্ছিল এরশাদ সরকার নানা ছুতোনায় এ সম্পর্কে চিড় ধরাতে এবং কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে জোটভুক্ত নেতাদের কিংবা কোনো একটি জোটকে বগলদাবা করে ফেলতে পারবে।
এরশাদ ১৯৮৪ সালের নভেম্বরে ‘জনদল’ তৈরি করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে দলের আহবায়ক বানান। রাষ্ট্রপতির চাকরি হারানোর পর আহসানউদ্দিনের এটাই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্ম বা অপকর্ম। বিএনপি, মুসলীম লীগ, জাসদ, ন্যাপ (ভাসানী) এবং আওয়ামী লীগেরও কয়েকজন নেতা অবলীলায় জনদলে যোগ দেন।
সাত দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া আগাগোড়াই নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিপক্ষে ছিলেন। তার ধারণা, এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নিলে এরশাদের পতন হবে। অবশ্য তার জোটের দুটি দলের নেতা- কাজী জাফর ও সিরাজুল হোসেন খান নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন। বিএনপির একটি অংশ শাহ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে গোপনে এরশাদকে সমর্থন করেছিল ও নির্বাচনের পক্ষে ছিল। এরা নির্বাচনের পক্ষে বিবৃতিও দিয়েছিল। এরা সবাই মন্ত্রিত্বের লোভে নির্বাচনের পক্ষে ছিল, আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার কৌশল হিসেবে নয়। মানুষ তাদের দালাল ভাবতে থাকে। বেগম জিয়ার নির্বাচনবিরোধী অনড় ভূমিকার জন্য ১৫ দলীয় জোটের বাম দলগুলোর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরশাদ সরকারের বদলে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েম এবং সামরিক শাসন প্রত্যাহার- এই দুটি দাবি মেনে না নিলে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না- এই ছিল নির্বাচনবিরোধীদের মূল কথা।
No comments