গণতন্ত্র এখানে তামাশা
অসহিষ্ণুতা
বিতর্কের আঁচে আগের বছরটা পুড়তে হয়েছিল মোদী সরকারকে। নতুন বছর শুরু হতে
না হতেই দলিত ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় ফের উত্তাল গোটা দেশ। এখানে মত
প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলে অভিযোগ করে সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিলেন
চিত্রপরিচালক করণ জোহর এবং ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ।
বলিউডের করণ মুখ খুলেছেন জয়পুর সাহিত্য উৎসবে আর রামচন্দ্র কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছেন মুম্বইয়ে।
জয়পুরে করণ বলেছেন, ‘‘আমরা এমন একটা দেশে থাকি, যেখানে নিজের মনের কথা বললে মানুষের জেল হতে পারে। আর অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলে সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে চাই না আমি।’’ রামচন্দ্র তো আরও তীক্ষ্ণ ভাবে বলেছেন, এ দেশে মনন-চর্চায় মোদী সরকারের চেয়ে বেশি বিরোধিতা সম্ভবত আর কেউ করেনি। বর্তমান সরকারকে সবচেয়ে ‘অ্যান্টি-ইন্টেলেকচুয়াল’ সরকার বলে দাবি করেন তিনি।
গত বছরের শেষ দিকে অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খুলেই কেন্দ্রীয় সরকারের রোষের মুখে পড়েছিলেন শাহরুখ ও আমির খান। শাহরুখ এক সময় ‘দেশে চরম অসহিষ্ণুতা বিরাজ করছে’ জাতীয় মন্তব্য করেও শেষমেশ পিছিয়ে আসতে বাধ্য হন। আমিরকেও তাঁর মন্তব্যের জন্য কৈফিয়ৎ দিতে হয়েছে। বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী বলিউডের এই দুই তারকাকে দেশদ্রোহী তকমা দিতেও পিছপা হননি। এই প্রেক্ষাপটে জয়পুর সাহিত্য উৎসবে আজ লেখিকা শোভা দে এবং পুনম সাক্সেনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন করণ। আলোচনার ফাঁকে উঠে এসেছিল অসহিষ্ণুতার প্রসঙ্গ।
সোজাসাপ্টা ভাষায় করণ জানিয়ে দেন, এ দেশে বাক্স্বাধীনতার কোনও জায়গা নেই। বলেছেন, ‘‘আমার ভাবতে অবাক লাগে, আমরা কি গণতান্ত্রিক? বাক্স্বাধীনতা কোথায় এখানে? আমার তো মনে হয়, গণতন্ত্র একটা তামাশা।’’
গত বছর একটি টিভি শো-য়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে করণ-সহ বলিউডের এক ঝাঁক তারকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। করণ এ দিন বলেছেন, ‘‘নিজেকে সব সময় বেঁধে রাখতে হয়। যা-ই করি না কেন, একটা করে এফআইআর দায়ের হয়। এই যে এই মঞ্চে এত কিছু বলছি। জানি না বাড়ি ফিরে কী অপেক্ষা করছে আমার জন্য।’’ করণ জানান, অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে মুখ খুলে শাহরুখ-আমিরের মতো তাঁর বন্ধু-সহকর্মীদের যে ভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে, সেই রাস্তা তিনি মাড়াতে চান না।
রামচন্দ্র গুহর বক্তব্যও ছিল অনেকটা একই সুরে। তিনি বলেছেন, ‘‘নিজেদের মত প্রকাশ করার জন্যই নরেন্দ্র দাভোলকর, গোবিন্দ পানসারে আর কালবুর্গীর মতো ব্যক্তিত্বকে খুন হতে হয়েছে দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের হাতে।’’ তবে তাঁর বক্তব্য, শুধু বিজেপি নয়, কংগ্রেসও চাইলে এই খুনগুলো আটকাতে পারত। মনে করিয়েছেন, এই একই প্রবণতা বশবর্তী হয়ে এক সময় সলমন রুশদির ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিষিদ্ধ করেছিলেন রাজীব গাঁধী।
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
বলিউডের করণ মুখ খুলেছেন জয়পুর সাহিত্য উৎসবে আর রামচন্দ্র কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছেন মুম্বইয়ে।
জয়পুরে করণ বলেছেন, ‘‘আমরা এমন একটা দেশে থাকি, যেখানে নিজের মনের কথা বললে মানুষের জেল হতে পারে। আর অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলে সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে চাই না আমি।’’ রামচন্দ্র তো আরও তীক্ষ্ণ ভাবে বলেছেন, এ দেশে মনন-চর্চায় মোদী সরকারের চেয়ে বেশি বিরোধিতা সম্ভবত আর কেউ করেনি। বর্তমান সরকারকে সবচেয়ে ‘অ্যান্টি-ইন্টেলেকচুয়াল’ সরকার বলে দাবি করেন তিনি।
গত বছরের শেষ দিকে অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খুলেই কেন্দ্রীয় সরকারের রোষের মুখে পড়েছিলেন শাহরুখ ও আমির খান। শাহরুখ এক সময় ‘দেশে চরম অসহিষ্ণুতা বিরাজ করছে’ জাতীয় মন্তব্য করেও শেষমেশ পিছিয়ে আসতে বাধ্য হন। আমিরকেও তাঁর মন্তব্যের জন্য কৈফিয়ৎ দিতে হয়েছে। বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী বলিউডের এই দুই তারকাকে দেশদ্রোহী তকমা দিতেও পিছপা হননি। এই প্রেক্ষাপটে জয়পুর সাহিত্য উৎসবে আজ লেখিকা শোভা দে এবং পুনম সাক্সেনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন করণ। আলোচনার ফাঁকে উঠে এসেছিল অসহিষ্ণুতার প্রসঙ্গ।
সোজাসাপ্টা ভাষায় করণ জানিয়ে দেন, এ দেশে বাক্স্বাধীনতার কোনও জায়গা নেই। বলেছেন, ‘‘আমার ভাবতে অবাক লাগে, আমরা কি গণতান্ত্রিক? বাক্স্বাধীনতা কোথায় এখানে? আমার তো মনে হয়, গণতন্ত্র একটা তামাশা।’’
গত বছর একটি টিভি শো-য়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে করণ-সহ বলিউডের এক ঝাঁক তারকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। করণ এ দিন বলেছেন, ‘‘নিজেকে সব সময় বেঁধে রাখতে হয়। যা-ই করি না কেন, একটা করে এফআইআর দায়ের হয়। এই যে এই মঞ্চে এত কিছু বলছি। জানি না বাড়ি ফিরে কী অপেক্ষা করছে আমার জন্য।’’ করণ জানান, অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে মুখ খুলে শাহরুখ-আমিরের মতো তাঁর বন্ধু-সহকর্মীদের যে ভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে, সেই রাস্তা তিনি মাড়াতে চান না।
রামচন্দ্র গুহর বক্তব্যও ছিল অনেকটা একই সুরে। তিনি বলেছেন, ‘‘নিজেদের মত প্রকাশ করার জন্যই নরেন্দ্র দাভোলকর, গোবিন্দ পানসারে আর কালবুর্গীর মতো ব্যক্তিত্বকে খুন হতে হয়েছে দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের হাতে।’’ তবে তাঁর বক্তব্য, শুধু বিজেপি নয়, কংগ্রেসও চাইলে এই খুনগুলো আটকাতে পারত। মনে করিয়েছেন, এই একই প্রবণতা বশবর্তী হয়ে এক সময় সলমন রুশদির ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিষিদ্ধ করেছিলেন রাজীব গাঁধী।
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
No comments