প্রাণঘাতী বায়ুদূষণ- পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও তৎপর হতে হবে
বিশ্বজুড়ে ধূমপান, সড়ক দুর্ঘটনা ও ডায়াবেটিস—এই তিন কারণে প্রতিবছর যত মানুষ মারা যায়, বায়ুদূষণের কারণে মারা যায় তার চেয়ে বেশি। কিন্তু ওই তিনটি সমস্যা নিয়ে যত আলোচনা, প্রচারণা, আন্দোলন হয়, বায়ুদূষণ নিয়ে তা হয় না। বায়ুদূষণ যে একটা মারাত্মক ক্ষতিকর সমস্যা—এই সচেতনতা বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই বললেই চলে।
কিন্তু উদ্বেগজনক বাস্তবতা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকাসহ এ দেশে আটটি শহরের বায়ু অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এসব শহরের কয়েক কোটি মানুষ নিজেদের অজান্তে প্রাণঘাতী স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। বায়ুদূষণের কারণে ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বা শ্বাসপ্রণালির স্থায়ী রোগে কত মানুষ ভুগছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ এই রোগ; ২০১২ সালে এই রোগে বিশ্বের যে পাঁচটি দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ মারা গেছে, বাংলাদেশ তার একটি। হাঁপানির পেছনেও বায়ুদূষণ ব্যাপকভাবে দায়ী।
সমস্যা গুরুতর—এটা অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে। এ ব্যাপারে গণসচেতনতা প্রাথমিক প্রয়োজন। তারপর যেসব কারণে বায়ুদূষণ ঘটছে, সেগুলো দূর বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই কাজটা সরকারের। কতকগুলো ক্ষেত্রে বায়ুদূষণ সহজেই এড়ানো বা ব্যাপক মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব। যেমন রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়িসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের সময় ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণের জন্য পানি ছিটানো, ধূলি-নিয়ন্ত্রক আচ্ছাদন ব্যবহার করা। ইস্পাত কারখানা, রি-রোলিং মিল, সিমেন্ট কারখানাসহ এ ধরনের অন্যান্য কলকারখানায় বস্তুকণা নিয়ন্ত্রণমূলক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা। পুরোনো, জরাজীর্ণ ইঞ্জিনবিশিষ্ট যানবাহন ব্যাপক মাত্রায় বায়ুদূষণ ঘটায়—এগুলো যেন রাস্তাঘাটে চলতে না পারে, তা শতভাগ নিশ্চিত করা।
এসব করা হলে বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য কার্যকর সরকারি তৎপরতা প্রয়োজন। পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে, কিন্তু নির্দেশনাগুলো মানা হয় না। ফিটনেসহীন যানবাহন চলাচল আইনত নিষিদ্ধ, কিন্তু বাস্তবে রাস্তাঘাটে এগুলোর সংখ্যা প্রচুর।
তাই সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে তৎপর হতে হবে।
কিন্তু উদ্বেগজনক বাস্তবতা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকাসহ এ দেশে আটটি শহরের বায়ু অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এসব শহরের কয়েক কোটি মানুষ নিজেদের অজান্তে প্রাণঘাতী স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। বায়ুদূষণের কারণে ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বা শ্বাসপ্রণালির স্থায়ী রোগে কত মানুষ ভুগছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ এই রোগ; ২০১২ সালে এই রোগে বিশ্বের যে পাঁচটি দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ মারা গেছে, বাংলাদেশ তার একটি। হাঁপানির পেছনেও বায়ুদূষণ ব্যাপকভাবে দায়ী।
সমস্যা গুরুতর—এটা অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে। এ ব্যাপারে গণসচেতনতা প্রাথমিক প্রয়োজন। তারপর যেসব কারণে বায়ুদূষণ ঘটছে, সেগুলো দূর বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই কাজটা সরকারের। কতকগুলো ক্ষেত্রে বায়ুদূষণ সহজেই এড়ানো বা ব্যাপক মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব। যেমন রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়িসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের সময় ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণের জন্য পানি ছিটানো, ধূলি-নিয়ন্ত্রক আচ্ছাদন ব্যবহার করা। ইস্পাত কারখানা, রি-রোলিং মিল, সিমেন্ট কারখানাসহ এ ধরনের অন্যান্য কলকারখানায় বস্তুকণা নিয়ন্ত্রণমূলক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা। পুরোনো, জরাজীর্ণ ইঞ্জিনবিশিষ্ট যানবাহন ব্যাপক মাত্রায় বায়ুদূষণ ঘটায়—এগুলো যেন রাস্তাঘাটে চলতে না পারে, তা শতভাগ নিশ্চিত করা।
এসব করা হলে বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য কার্যকর সরকারি তৎপরতা প্রয়োজন। পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে, কিন্তু নির্দেশনাগুলো মানা হয় না। ফিটনেসহীন যানবাহন চলাচল আইনত নিষিদ্ধ, কিন্তু বাস্তবে রাস্তাঘাটে এগুলোর সংখ্যা প্রচুর।
তাই সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে তৎপর হতে হবে।
No comments