শোক পালন, মাথা না নোয়াবার প্রত্যয়
পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলায় আহত এক শিক্ষার্থীকে ২০১৪ সালে পেশোয়ারের স্কুলে তালেবান হানায় নিহত সন্তানের ছবি দেখিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন এক মা। গতকাল চার সাদার হাসপাতাল থেকে তোলা ছবি। এএফপি |
পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলায় শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহতের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার এক দিনের শোক পালন করা হয়েছে। দেশটির সহিংসতাপ্রবণ খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের চারসাদা শহরের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বুধবার ওই রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার নেপথ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। খবর এএফপির। বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন উঁচু ভবনের ছাদে গতকালও সশস্ত্র পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকায় গতকাল সকালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারের কাছে একটি জনবহুল বাসস্টেশনে বোমা হামলার পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। বোমা পেতে রাখার সময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। বুধবারের হামলার ঘটনাস্থল চারসাদা শহর পেশোয়ারের মাত্র তিরিশ কিলোমিটার দূরে। বুধবারের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের একজন ছিলেন বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক ফখর-ই আলম।
গতকাল তাঁর জানাজায় প্রায় এক হাজার মানুষ অংশ নেন। তাঁর বাবা শাহ হুসেইন বলেন, ‘আমি সন্ত্রাসীদের বলতে চাই, তারা কোনো দিন জিততে পারবে না। আমরা শান্তি চাই, সন্ত্রাস নয়।’ আহত শিক্ষার্থীদের একজন গতকাল মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগের দাফন বুধবারই হয়েছে। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী আরিফ খান বলেন, ‘জঙ্গিরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু আমরা তাদের কাছে এই বার্তা দিতে চাই যে শিক্ষা কার্যক্রম চলবেই।’ শোক পালন উপলক্ষে গতকাল রাজধানী ইসলামাবাদের সরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মোনাজাত অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ক্রীড়া বোর্ডের (পিএসবি) দুই শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পিএসবির পরিচালক আখতার নওয়াজ বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত, পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না।’
No comments