জলকপাট বন্ধ, খাল দখল
রাজশাহীর
বাগমারার শ্রীপুর ইউনিয়নের খয়রা বিল ও ষষ্ঠিখালী খাল দখল করে প্রভাবশালী
ব্যক্তিরা মাছ ধরছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জেলেরা। এ ছাড়া খালের
মুখের জলকপাট বন্ধ রেখে মাছ ধরায় রবিশস্য চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন
চাষিরা।
খালটি দখলমুক্ত করার দাবিতে সম্প্রতি স্থানীয় সাড়ে তিন শ চাষি ও জেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসন, বাগমারা উপজেলার ইউএনও) কৃষি কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে খয়রা বিলের ষষ্ঠিখালী খালে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জেলেদের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ হয়। ওই সময় সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন জেলে নিহত হন। পরে জেলা প্রশাসন বিলসহ খালটি উন্মুক্ত ঘোষণা করে। এরপর থেকে বিলটিতে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরে আসছিলেন। তবে এ বছর আবার স্থানীয় আবদুল লতিফ, হাবিবুর রহমান, শংকরসহ ১০-১২ জন খালের মুখের জলকপাট বন্ধ রেখে তা দখলে নেন এবং নিজেরাই মাছ ধরছেন।
গত শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, জলকপাটের সামনে খালের মুখে খেয়াজাল ও তোড়া জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। জলকপাট বন্ধ থাকায় বিল থেকে পানিও বের হতে পারছে না।
স্থানীয় জেলে নিমাই হালদার, সাধনা হালদার ও আবদুল বারিক অভিযোগ করেন, বিলটি উন্মুক্ত ঘোষণার পর তাঁরা গত বছর মাছ ধরেছেন। এ ছাড়া খালের মুখের জলকপাটও খোলা ছিল। তবে এ বছর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তা আবার দখলে নিয়ে নিজেরাই মাছ ধরছেন। তাঁদের (জেলেদের) মাছ ধরতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ মাছ ধরার জন্য নামলে জাল ও দড়ি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
রামগুইয়া, বাঙ্গালপাড়া, দাউদপুর, নুরপুর, শ্রীপুর ও খয়রা গ্রামের ৪৬ জন চাষি অভিযোগ করেন, খালের মুখের জলকপাট বন্ধ রাখায় বিল থেকে পানি বের হতে পারছে না। দখলকারীরা মাছ ধরার সুবিধার জন্য জলকপাট বন্ধ রেখেছেন। বিল থেকে সময়মতো পানি বের না হলে এ বছর রবিশস্য চাষাবাদও বিলম্বিত হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান বলেন, জলকপাট বন্ধের বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে আলু চাষ করলে পানি এখনই নিষ্কাশন করতে হবে।
খাল দখলের অভিযোগের ব্যাপারে ওই এলাকার প্রভাবশালী আবদুল লতিফ দাবি করেন, খালটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ এলাকার জনগণের দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবিকা নির্বাহ নিশ্চিতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় দক্ষিণ বাগমারা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট প্রথমবারের মতো ইজারা দেওয়া হয়। পরে তা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধীরেন্দ্রনাথ এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করলে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এ অবস্থায় ২০১৩ সালে বিলসহ খালটি উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ১০ আগস্ট আগের স্থগিত আদেশের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর কারণে তিনিসহ সমিতির লোকজন নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
তবে এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজ তাঁরা এ প্রতিবেদককে দেখাতে পারেননি। তিনি দাবি করেন, স্থগিতাদেশের কপি ইউএনও এবং মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, আদালত থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি বা নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে সমিতির লোকজন ইউএনওকে একটি লিখিত চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠি মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।
খালটি দখলমুক্ত করার দাবিতে সম্প্রতি স্থানীয় সাড়ে তিন শ চাষি ও জেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসন, বাগমারা উপজেলার ইউএনও) কৃষি কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে খয়রা বিলের ষষ্ঠিখালী খালে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জেলেদের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ হয়। ওই সময় সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন জেলে নিহত হন। পরে জেলা প্রশাসন বিলসহ খালটি উন্মুক্ত ঘোষণা করে। এরপর থেকে বিলটিতে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরে আসছিলেন। তবে এ বছর আবার স্থানীয় আবদুল লতিফ, হাবিবুর রহমান, শংকরসহ ১০-১২ জন খালের মুখের জলকপাট বন্ধ রেখে তা দখলে নেন এবং নিজেরাই মাছ ধরছেন।
গত শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, জলকপাটের সামনে খালের মুখে খেয়াজাল ও তোড়া জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। জলকপাট বন্ধ থাকায় বিল থেকে পানিও বের হতে পারছে না।
স্থানীয় জেলে নিমাই হালদার, সাধনা হালদার ও আবদুল বারিক অভিযোগ করেন, বিলটি উন্মুক্ত ঘোষণার পর তাঁরা গত বছর মাছ ধরেছেন। এ ছাড়া খালের মুখের জলকপাটও খোলা ছিল। তবে এ বছর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তা আবার দখলে নিয়ে নিজেরাই মাছ ধরছেন। তাঁদের (জেলেদের) মাছ ধরতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ মাছ ধরার জন্য নামলে জাল ও দড়ি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
রামগুইয়া, বাঙ্গালপাড়া, দাউদপুর, নুরপুর, শ্রীপুর ও খয়রা গ্রামের ৪৬ জন চাষি অভিযোগ করেন, খালের মুখের জলকপাট বন্ধ রাখায় বিল থেকে পানি বের হতে পারছে না। দখলকারীরা মাছ ধরার সুবিধার জন্য জলকপাট বন্ধ রেখেছেন। বিল থেকে সময়মতো পানি বের না হলে এ বছর রবিশস্য চাষাবাদও বিলম্বিত হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান বলেন, জলকপাট বন্ধের বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে আলু চাষ করলে পানি এখনই নিষ্কাশন করতে হবে।
খাল দখলের অভিযোগের ব্যাপারে ওই এলাকার প্রভাবশালী আবদুল লতিফ দাবি করেন, খালটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ এলাকার জনগণের দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবিকা নির্বাহ নিশ্চিতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় দক্ষিণ বাগমারা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট প্রথমবারের মতো ইজারা দেওয়া হয়। পরে তা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধীরেন্দ্রনাথ এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করলে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এ অবস্থায় ২০১৩ সালে বিলসহ খালটি উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ১০ আগস্ট আগের স্থগিত আদেশের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর কারণে তিনিসহ সমিতির লোকজন নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
তবে এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজ তাঁরা এ প্রতিবেদককে দেখাতে পারেননি। তিনি দাবি করেন, স্থগিতাদেশের কপি ইউএনও এবং মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, আদালত থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি বা নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে সমিতির লোকজন ইউএনওকে একটি লিখিত চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠি মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ষষ্ঠিখালী খালের মুখের জলকপাটটি এভাবে বন্ধ রেখে মাছের চাষ করেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। গত শনিবার তোলা ছবি l প্রথম আলো |
No comments