ক্ষমতার বাহন মিডিয়া by সাইফুল ইসলাম
এককালে
জনতাকে বশে রাখার জন্য শক্তি প্রয়োগই ছিল একমাত্র উপায়। কিন্তু যুগ
পাল্টেছে। এখন শুধু শক্তিতে কাজ হয় না। জনতাকে বশে রাখার জন্য
রাষ্ট্রযন্ত্রের অনেক অভিনব উপায় অন্বেষণ করতে হয়। দেশের সেরা বুদ্ধিজীবীরা
একের পর এক নতুন তত্ত্ব এবং কৌশল উদ্ভাবন করে নানাবিধ স্বার্থের বিনিময়ে
তা হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রের হাতে। রাষ্ট্র নব নব উদ্ভাবিত সেসব কৌশল
প্রয়োগ করে পাবলিককে বশে রাখে।
অনেকে মনে করেন, যেসব দেশে সরকারবিরোধী আন্দোলন হয় না সেসব দেশে বোধহয় সমস্যা কম। প্রকৃত সত্য হলো, সেসব দেশেও প্রচুর সমস্যা। যে যতটা সুবিধাপ্রাপ্ত তার চাহিদা ততটা উন্নত। ফলে সমস্যাহীন কোনো জনপদ নেই পৃথিবীতে। কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানে সরকার পতন আন্দোলন করে না? সেটা জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে পাবলিককে নিয়ন্ত্রণ করার অধুনা বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে। আর এ কৌশলগুলো প্রয়োগের পুরোভাগে রয়েছে গণমাধ্যম। মূলত পাবলিককে অন্ধকারে রেখে রাষ্ট্রের অনৈতিক কাজগুলোকে দিনের পর দিন করার সুযোগ করে দেয় গণমাধ্যম। গণমাধ্যম তাই বর্তমান যুগে রাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ।
গণমাধ্যমকে শত্রু বানিয়ে কোনো সরকার টিকতে পারে না। তাই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই বিরোধী গণমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল বা ভয় দেখিয়ে দন্ত নখরহীন করে রেখেছে। একই সাথে প্রয়োগ করেছিল পাবলিককে বশে রাখার আধুনিক কৌশলগুলো। আমাদের দেশের সাম্প্রতিক বাস্তবতা এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত তত্ত্বগুলো (মূলত নোয়াম চমস্কির লেখা) পড়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক বশে রাখার রাষ্ট্রীয় কৌশল এবং সম্ভাব্য কৌশলগুলো নিয়েই আমার বর্তমান লেখা। বর্তমান সরকার যে উপায়ে পাবলিক বশে রেখেছে বা ভবিষ্যতে যে উপায়গুলো ব্যবহার করতে পারে-
প্রকৃত সমস্যা থেকে পাবলিকের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে রাখার জন্য ক্রমাগতভাবে অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে যাওয়া, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নিয়ে ক্রমাগত রিপোর্ট করে যাওয়া। মানুষকে একের পর এক গুরুত্বহীন ইস্যুতে ব্যস্ত রাখা। তাদের এতই ব্যস্ত রাখা যাতে তারা চিন্তা করার সময় না পায়। সরকার যখন কোনো প্রবলেমে পড়ে তখন মিডিয়াগুলো এক সুরে কথা বলে ওঠে। প্রকৃত সমস্যা থেকে পাবলিকের চোখ অন্য দিকে সরিয়ে নেয়।
সরকার প্রথমে একটা সমস্যা সৃষ্টি করবে। সে সমস্যা সমাধানের জন্য পাবলিক আন্দোলন সৃষ্টি করবে। যখন ব্যাপক পাবলিক সেই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবে তখন সে সমস্যার সমাধান দেবে। উদাহরণ : কোথাও বিনা কারণেই পুলিশ গুলি করবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বা গড়ে তোলার সুযোগ দেয়া হবে। আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবে বা চূড়ান্ত পর্যায়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের সহনীয় মাত্রার দমন-পীড়ন চালানো হবে, এরপর চূড়ান্তপর্যায়ের আন্দোলনে দোষীদের একটা শাস্তি দেয়া হবে। মানুষও বিরাট যুদ্ধজয় করার তৃপ্তিতে আবার খোঁয়াড়ে ফিরে যাবে। ফলে মূল সমস্যার কথাও মানুষ ভুলে যাবে। সাম্প্রতিক ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনকেও এমন আন্দোলন বলা যায়।
ধরা যাক, সরকার কোনো ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করতে চায়। সে তখন মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে সেটাকে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে বলে ফলাও করে প্রচার করল। মানুষ স্বভাবতই ক্ষিপ্ত হবে। সরকারের লোকজন ব্যাপারটা ভেবে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেবে। টকশোতে পক্ষ-বিপক্ষ মতামত দেবে। প্রতিষ্ঠিত করা হবে, ওই বিষয়ে ভ্যাট দেয়া দরকার। তবে এত বেশি নয়। তারপর সরকার যখন বলবে যে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলো, তখন সবাই খুশি মনে ব্যাপারটা মেনে নেবে।
কোনো একটি ঘটনা ঘটানো হলে তার বাস্তব ক্ষেত্রে কী কী ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে, তা উল্লেখ না করে ওই ঘটনা ঘটানো কেন দরকার সে সম্পর্কে আবেগী বক্তৃতা মিডিয়ায় প্রচার করা হবে, যাতে মানুষ ঘটনার প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে উদাসীন থাকে এবং আবেগ নিয়ে পড়ে থাকে। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের শুরু থেকে যদি এ পর্যন্ত কেউ ভালো করে খেয়াল করেন তাহলে বুঝবেন, এটাতে জনসমর্থন সৃষ্টি করা হয়েছে এ প্রক্রিয়ায়।
মানুষকে এমন ধারণা দেয়া যে, দেশে যত অন্যায় হচ্ছে সে জন্য নাগরিকেরাই দায়ী। নাগরিকেরা সঠিক হলে এমন ঘটনা ঘটত না। ফলে মানুষ সরকারকে দায়ী না করে নিজেকে দায়ী করতে থাকবে। মিডিয়াও সেই পালে হাওয়া দিয়ে সরকারকে আরো অন্যায় কাজে সমর্থন দিয়ে যাবে।
হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি একটি পরিণতিহীন চরিত্র হলো হিমু। হিমু হলে সুবিধা হলো রাষ্ট্রীয় অনাচার নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। তরুণ প্রজন্মকে এসবে উৎসাহিত করে তুললে রাষ্ট্রের লাভ হলো, রাষ্ট্রের অনাচার নিয়ে তরুণেরা মাথা ঘামাবে না। একই সাথে বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত হওয়া, অবৈধ যৌনাচারে আসক্ত, হালকা কামনা-বাসনার রোগে আক্রান্ত হলে সরকারের জন্য সুবিধা হবে।
নানা ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা জিইয়ে রেখে কিংবা অর্থনীতির মধ্যে নানা ধরনের অনুষঙ্গের প্রয়োগ ঘটিয়ে সমাজের নানা শ্রেণীর মধ্যে দূরত্ব, হিংসা, দ্বেষ বাড়িয়ে তোলা, যাতে মানুষ রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ে তাদের কাছে দৃশ্যমান তুলনামূলক সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণীগুলোকে নিজেদের শত্রু মনে করে। একই সাথে মিডিয়ার মাধ্যমে এই তত্ত্বকে জনপ্রিয় করে তোলা, যাতে আসল শত্রুর দেখা এরা কখনোই না পায়। এই শ্রেণী শুধু যে অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে গড়ে ওঠে তা কিন্তু নয়। ধর্মীয়, আদর্শিক, আঞ্চলিক ভাবে বিভিন্ন ধরনের শ্রেণী গড়ে তোলা হয়। শাহবাগ ও শাপলার মধ্যকার দূরত্বকে কাজে লাগিয়ে সরকার দুই পক্ষ থেকেই কিভাবে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছিল তা এখনো সবার মনে থাকার কথা।
হয়তো আরো অনেক কৌশল বর্তমান সরকার প্রয়োগ করছে। কিন্তু মোটা দাগে মিডিয়া ব্যবহার করে এগুলাই তারা প্রয়োগ করেছে বা করতে যাচ্ছে। অন্য যেকোনো সরকারের আমলের চেয়ে বর্তমান সরকারকে অনেক শক্তিশালী মনে হওয়ার কারণ কিন্তু এটাই যে, তারা খুব সফলভাবে মিডিয়া ব্যবহার করে নাগরিকদের বশে রাখতে পেরেছে। যেহেতু মিডিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণে, তাই ডোর টু ডোর কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা এবং মিডিয়ার চালবাজিগুলো জনগণকে জানিয়ে দেয়ার কোনো বিকল্প আপাতত নেই।
অনেকে মনে করেন, যেসব দেশে সরকারবিরোধী আন্দোলন হয় না সেসব দেশে বোধহয় সমস্যা কম। প্রকৃত সত্য হলো, সেসব দেশেও প্রচুর সমস্যা। যে যতটা সুবিধাপ্রাপ্ত তার চাহিদা ততটা উন্নত। ফলে সমস্যাহীন কোনো জনপদ নেই পৃথিবীতে। কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানে সরকার পতন আন্দোলন করে না? সেটা জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে পাবলিককে নিয়ন্ত্রণ করার অধুনা বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে। আর এ কৌশলগুলো প্রয়োগের পুরোভাগে রয়েছে গণমাধ্যম। মূলত পাবলিককে অন্ধকারে রেখে রাষ্ট্রের অনৈতিক কাজগুলোকে দিনের পর দিন করার সুযোগ করে দেয় গণমাধ্যম। গণমাধ্যম তাই বর্তমান যুগে রাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ।
গণমাধ্যমকে শত্রু বানিয়ে কোনো সরকার টিকতে পারে না। তাই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই বিরোধী গণমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল বা ভয় দেখিয়ে দন্ত নখরহীন করে রেখেছে। একই সাথে প্রয়োগ করেছিল পাবলিককে বশে রাখার আধুনিক কৌশলগুলো। আমাদের দেশের সাম্প্রতিক বাস্তবতা এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত তত্ত্বগুলো (মূলত নোয়াম চমস্কির লেখা) পড়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক বশে রাখার রাষ্ট্রীয় কৌশল এবং সম্ভাব্য কৌশলগুলো নিয়েই আমার বর্তমান লেখা। বর্তমান সরকার যে উপায়ে পাবলিক বশে রেখেছে বা ভবিষ্যতে যে উপায়গুলো ব্যবহার করতে পারে-
প্রকৃত সমস্যা থেকে পাবলিকের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে রাখার জন্য ক্রমাগতভাবে অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে যাওয়া, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নিয়ে ক্রমাগত রিপোর্ট করে যাওয়া। মানুষকে একের পর এক গুরুত্বহীন ইস্যুতে ব্যস্ত রাখা। তাদের এতই ব্যস্ত রাখা যাতে তারা চিন্তা করার সময় না পায়। সরকার যখন কোনো প্রবলেমে পড়ে তখন মিডিয়াগুলো এক সুরে কথা বলে ওঠে। প্রকৃত সমস্যা থেকে পাবলিকের চোখ অন্য দিকে সরিয়ে নেয়।
সরকার প্রথমে একটা সমস্যা সৃষ্টি করবে। সে সমস্যা সমাধানের জন্য পাবলিক আন্দোলন সৃষ্টি করবে। যখন ব্যাপক পাবলিক সেই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবে তখন সে সমস্যার সমাধান দেবে। উদাহরণ : কোথাও বিনা কারণেই পুলিশ গুলি করবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বা গড়ে তোলার সুযোগ দেয়া হবে। আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবে বা চূড়ান্ত পর্যায়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের সহনীয় মাত্রার দমন-পীড়ন চালানো হবে, এরপর চূড়ান্তপর্যায়ের আন্দোলনে দোষীদের একটা শাস্তি দেয়া হবে। মানুষও বিরাট যুদ্ধজয় করার তৃপ্তিতে আবার খোঁয়াড়ে ফিরে যাবে। ফলে মূল সমস্যার কথাও মানুষ ভুলে যাবে। সাম্প্রতিক ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনকেও এমন আন্দোলন বলা যায়।
ধরা যাক, সরকার কোনো ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করতে চায়। সে তখন মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে সেটাকে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে বলে ফলাও করে প্রচার করল। মানুষ স্বভাবতই ক্ষিপ্ত হবে। সরকারের লোকজন ব্যাপারটা ভেবে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেবে। টকশোতে পক্ষ-বিপক্ষ মতামত দেবে। প্রতিষ্ঠিত করা হবে, ওই বিষয়ে ভ্যাট দেয়া দরকার। তবে এত বেশি নয়। তারপর সরকার যখন বলবে যে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলো, তখন সবাই খুশি মনে ব্যাপারটা মেনে নেবে।
কোনো একটি ঘটনা ঘটানো হলে তার বাস্তব ক্ষেত্রে কী কী ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে, তা উল্লেখ না করে ওই ঘটনা ঘটানো কেন দরকার সে সম্পর্কে আবেগী বক্তৃতা মিডিয়ায় প্রচার করা হবে, যাতে মানুষ ঘটনার প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে উদাসীন থাকে এবং আবেগ নিয়ে পড়ে থাকে। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের শুরু থেকে যদি এ পর্যন্ত কেউ ভালো করে খেয়াল করেন তাহলে বুঝবেন, এটাতে জনসমর্থন সৃষ্টি করা হয়েছে এ প্রক্রিয়ায়।
মানুষকে এমন ধারণা দেয়া যে, দেশে যত অন্যায় হচ্ছে সে জন্য নাগরিকেরাই দায়ী। নাগরিকেরা সঠিক হলে এমন ঘটনা ঘটত না। ফলে মানুষ সরকারকে দায়ী না করে নিজেকে দায়ী করতে থাকবে। মিডিয়াও সেই পালে হাওয়া দিয়ে সরকারকে আরো অন্যায় কাজে সমর্থন দিয়ে যাবে।
হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি একটি পরিণতিহীন চরিত্র হলো হিমু। হিমু হলে সুবিধা হলো রাষ্ট্রীয় অনাচার নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। তরুণ প্রজন্মকে এসবে উৎসাহিত করে তুললে রাষ্ট্রের লাভ হলো, রাষ্ট্রের অনাচার নিয়ে তরুণেরা মাথা ঘামাবে না। একই সাথে বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত হওয়া, অবৈধ যৌনাচারে আসক্ত, হালকা কামনা-বাসনার রোগে আক্রান্ত হলে সরকারের জন্য সুবিধা হবে।
নানা ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা জিইয়ে রেখে কিংবা অর্থনীতির মধ্যে নানা ধরনের অনুষঙ্গের প্রয়োগ ঘটিয়ে সমাজের নানা শ্রেণীর মধ্যে দূরত্ব, হিংসা, দ্বেষ বাড়িয়ে তোলা, যাতে মানুষ রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ে তাদের কাছে দৃশ্যমান তুলনামূলক সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণীগুলোকে নিজেদের শত্রু মনে করে। একই সাথে মিডিয়ার মাধ্যমে এই তত্ত্বকে জনপ্রিয় করে তোলা, যাতে আসল শত্রুর দেখা এরা কখনোই না পায়। এই শ্রেণী শুধু যে অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে গড়ে ওঠে তা কিন্তু নয়। ধর্মীয়, আদর্শিক, আঞ্চলিক ভাবে বিভিন্ন ধরনের শ্রেণী গড়ে তোলা হয়। শাহবাগ ও শাপলার মধ্যকার দূরত্বকে কাজে লাগিয়ে সরকার দুই পক্ষ থেকেই কিভাবে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছিল তা এখনো সবার মনে থাকার কথা।
হয়তো আরো অনেক কৌশল বর্তমান সরকার প্রয়োগ করছে। কিন্তু মোটা দাগে মিডিয়া ব্যবহার করে এগুলাই তারা প্রয়োগ করেছে বা করতে যাচ্ছে। অন্য যেকোনো সরকারের আমলের চেয়ে বর্তমান সরকারকে অনেক শক্তিশালী মনে হওয়ার কারণ কিন্তু এটাই যে, তারা খুব সফলভাবে মিডিয়া ব্যবহার করে নাগরিকদের বশে রাখতে পেরেছে। যেহেতু মিডিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণে, তাই ডোর টু ডোর কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা এবং মিডিয়ার চালবাজিগুলো জনগণকে জানিয়ে দেয়ার কোনো বিকল্প আপাতত নেই।
No comments