পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য চেয়েছিলেন রাজীব গান্ধী
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী হয়ে রাজীব গান্ধী মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন উপমহাদেশে ঠান্ডা
যুদ্ধের টেনশন কমাতে৷এমনকী ক্রেমলিন যদি পাকিস্তানে জিয়া-উল হক জমানার
অবসান ঘটায়, তাহলে ভারত প্রতিবেশী দেশের গণতান্ত্রিক শক্তির পাশে
দাঁড়াবে, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি৷ তাতে সেই গণতান্ত্রিক শক্তি যদি
আমেরিকার তল্পিবাহকও হয়, তাতেও ভারত যে তাদের অচ্ছুৎ বলে গণ্য করবে না,
এমনটাই ছিল তার দৃষ্টিভঙ্গি৷সত্য-মিথ্যা প্রমাণের অবকাশ নেই, তবে সদ্য
প্রকাশিত মার্কিন গোপন নথির পর্যবেক্ষণ এটাই বলছে৷
বাস্তবিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জেনারেল জিয়া-উল হক৷ নিন্দুকেরা বলে, তার বিমানে বিস্ফোরণ ঘটানোয় হাত ছিল কেজিবি-র৷ এর পর পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসেন বেনজির ভুট্টো৷ বলা বাহুল্য, ইসলামাবাদের অন্যান্য শাসকের মতো তারও মাথার উপর ছিল মার্কিন প্রশাসনের আশীর্বাদহস্ত৷ কিন্তু, রাজীব গান্ধী তার কথা রেখেছিলেন৷ বেনজির ভুট্টোকে পাশে নিয়েই শুরু করেছিলেন ‘সার্কে’র (SAARC) পথ-চলা৷
মার্কিন নথিতে বলা হয়েছে, ‘ রাজীব গান্ধী চাইতেন, আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন, দু’দেশই দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের প্রভাব বিস্তার কমাক’৷পাশাপাশি, মার্কিন নথির পর্যবেক্ষণ, রাজীব গান্ধী না কি ভেবেছিলেন, যদি আফগানিস্তান ছাড়িয়ে উপমহাদেশের প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়ন অতি আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে মস্কোর উপর নির্ভরতা কমানোরও চেষ্টা করা হবে৷ নথিতে আরো বলা হয়েছে, ‘যদি জিয়া-উল হকের সরকার পড়ে যায়, তবে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করে সেখানে মস্কোর আধিপত্য বিস্তারে বাধা দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছিল ভারত৷’ একইসঙ্গে ওই মার্কিন নথি বলছে, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র বাড়ানোর কর্মসূচি ঠেকানো নিয়ে রাজীব গান্ধীর প্রশাসনে মতবিরোধ থাকলেও এই ব্যাপারে জেনারেল জিয়ার উপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করতে চাননি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং৷ মার্কিন নথিতে আরো দাবি করা হয়েছে, পক্ষান্তরে ভারতের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভালো করার ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপের প্রস্তাব নিয়ে নাকি তোলপাড় করছিলেন জেনারেল জিয়াও৷
পাশাপাশি, ওই মার্কিন নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজীব গান্ধীর মতোই নিয়মিত দু’দেশের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের ব্যাপারেও নাকি নমনীয় হচ্ছিলেন দাপুটে ওই পাকিস্তানি সেনানায়ক৷
বাস্তবিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জেনারেল জিয়া-উল হক৷ নিন্দুকেরা বলে, তার বিমানে বিস্ফোরণ ঘটানোয় হাত ছিল কেজিবি-র৷ এর পর পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসেন বেনজির ভুট্টো৷ বলা বাহুল্য, ইসলামাবাদের অন্যান্য শাসকের মতো তারও মাথার উপর ছিল মার্কিন প্রশাসনের আশীর্বাদহস্ত৷ কিন্তু, রাজীব গান্ধী তার কথা রেখেছিলেন৷ বেনজির ভুট্টোকে পাশে নিয়েই শুরু করেছিলেন ‘সার্কে’র (SAARC) পথ-চলা৷
মার্কিন নথিতে বলা হয়েছে, ‘ রাজীব গান্ধী চাইতেন, আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন, দু’দেশই দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের প্রভাব বিস্তার কমাক’৷পাশাপাশি, মার্কিন নথির পর্যবেক্ষণ, রাজীব গান্ধী না কি ভেবেছিলেন, যদি আফগানিস্তান ছাড়িয়ে উপমহাদেশের প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়ন অতি আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে মস্কোর উপর নির্ভরতা কমানোরও চেষ্টা করা হবে৷ নথিতে আরো বলা হয়েছে, ‘যদি জিয়া-উল হকের সরকার পড়ে যায়, তবে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করে সেখানে মস্কোর আধিপত্য বিস্তারে বাধা দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছিল ভারত৷’ একইসঙ্গে ওই মার্কিন নথি বলছে, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র বাড়ানোর কর্মসূচি ঠেকানো নিয়ে রাজীব গান্ধীর প্রশাসনে মতবিরোধ থাকলেও এই ব্যাপারে জেনারেল জিয়ার উপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করতে চাননি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং৷ মার্কিন নথিতে আরো দাবি করা হয়েছে, পক্ষান্তরে ভারতের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভালো করার ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপের প্রস্তাব নিয়ে নাকি তোলপাড় করছিলেন জেনারেল জিয়াও৷
পাশাপাশি, ওই মার্কিন নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজীব গান্ধীর মতোই নিয়মিত দু’দেশের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের ব্যাপারেও নাকি নমনীয় হচ্ছিলেন দাপুটে ওই পাকিস্তানি সেনানায়ক৷
No comments