জনগণ কত দামে বিদ্যুৎ কেনে? by অরুণ কর্মকার
বিদ্যুৎ
ও গ্যাসের দাম আরও বাড়ানো উচিত বলে মত দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ
সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির সদস্যরা সবাই
জনপ্রতিনিধি। জনগণের ভালো-মন্দ নিয়েই তাঁদের যত ভাবনা। তাই ধরে নেওয়া যায়,
আখেরে জনগণের ভালোর জন্যই তাঁরা আরও দাম বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে
তাঁদের ওই মতের কিছু ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দরকার। সংসদীয় কমিটি বিদ্যুতের
উৎপাদন মূল্য ও বিক্রয় মূল্যের মধ্যে ব্যবধানের তথ্য দিয়ে দেখিয়েছে, সরকার
উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করে। ফলে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
কিন্তু দীর্ঘকাল ভর্তুকি অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। তাতে একসময় অর্থনীতি ভেঙে
পড়তে পারে। তাই দাম আরও বাড়ানো উচিত।
সরকার উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে বলে যে কথাটি সংসদীয় কমিটি বলেছে, তা আংশিক সত্য। প্রকৃত সত্য হলো, সরকার কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে। আর জনগণ সরকারের উৎপাদন খরচের চেয়েও বেশি দামে কিনছে। এখানে একটি তথ্যবিভ্রাটের উল্লেখ করা দরকার। সংসদীয় কমিটির সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ৬ টাকা ৬৮ পয়সা। আর সরকার (বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে) বিক্রি করছে ৪ টাকা ৭১ পয়সা। এই তথ্যে বিভ্রাট আছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন মূল্য ৬ টাকা ২৪ পয়সা। বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করা হচ্ছিল প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৬৭ পয়সা করে। গত বৃহস্পতিবার দাম বাড়ানোর পর এই বিক্রয় মূল্য হয়েছে প্রায় ৪ টাকা ৯০ পয়সা।
এই হিসাবে সরকার উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করছে ঠিকই। কিন্তু জনগণ কত দামে বিদ্যুৎ কিনছে? গত বৃহস্পতিবারের দাম বাড়ানোর আগে সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় দাম ছিল ৬ টাকা ১৫ পয়সা। প্রতি ইউনিট ১৮ পয়সা হারে দাম বাড়িয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফলে চলতি সেপ্টেম্বর থেকে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় দাম পড়বে ৬ টাকা ৩৩ পয়সা, যা বর্তমান উৎপাদন খরচের (৬ টাকা ২৪ পয়সা) তুলনায় বেশি। এই যে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম, তাঁরা যে সরকারের উৎপাদন খরচের চেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনেন, তা সংসদীয় কমিটির ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়নি।
সরকার উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে। কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে জনগণ কিনছে সরকারের উৎপাদন খরচের চেয়ে বেশি দামে। অর্থাৎ জনগণ বিদ্যুতের উচ্চ দামই দিচ্ছে। কিন্তু সরকার পাচ্ছে না। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় কি শুধুই দাম বাড়িয়ে যাওয়া, যেমনটি বলেছে সংসদীয় কমিটি? মোটেই তা নয়।
সরকার ২০০৯-১০ সাল থেকে বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের যে পরিকল্পনা করে এগোচ্ছে, তাতে ২০১৩-১৪ সাল থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন মূল্য ও ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমে আসার কথা ছিল। তা হয়নি। কারণ, সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী কম দামের বিদ্যুৎ (বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক) উৎপাদনে সফল হতে পারেনি। এই ব্যর্থতার যেমন একাধিক কারণ আছে, তেমনি সরকারের সামনে নতুন সুযোগও আছে।
সবচেয়ে বড় সুযোগ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অব্যাহত মূল্যহ্রাস। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার শুধু ফার্নেস তেলের দাম বাজারদর অনুযায়ী নির্ধারণ করলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় সাড়ে ৫ টাকার কাছাকাছি চলে আসবে। সরকার তেলের দাম বেশি রেখে মুনাফা করবে। আবার বিদ্যুতের দামও বাড়াবে, এটা ন্যায্য কোনো ব্যবস্থা হতে পারে না। এক মুরগি দুবার জবাই করা যায় না। করা উচিতও নয়।
সরকারের মধ্যে একটা দুর্ভাবনা আছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তখন তো আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। এ নিয়ে সরকারের দুর্ভাবনার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। কেননা, সরকার যখন দেশের সংকটজনক বিদ্যুৎ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তেলচালিত ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে, তখন জনগণ বিদ্যুতের বাড়তি দামও দিয়েছে। এখনো দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতিতে সরকারের কার্যক্রমে জনগণ খুশি। এত দিনে তাদের মধ্যে এই বিশ্বাসও জন্মেছে যে, বর্তমান সরকার আরও অনেক বিষয়ের মতোই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। কাজেই সরকারের উচিত জনগণকে আস্থায় নেওয়া।
সংসদীয় কমিটিও বলেছে, মানুষের দাবি অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমানো যেতে পারে। এখানে মানুষের দাবির যৌক্তিকতা হচ্ছে তেলের দাম অব্যাহতভাবে কমে আসা। দেশে-বিদেশে যাঁরা জ্বালানি তেলের দরদাম, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের সবারই পূর্বাভাস হচ্ছেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত তেলের দাম সাময়িক ওঠানামার মধ্যে নিম্নমুখীই থাকবে। কাজেই হঠাৎ করে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও অমূলক। আর যদি তেমন পরিস্থিতি হয়-ও, তখন জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সরকারের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সংসদীয় কমিটির মতের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়েই সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ঐকমত্য আছে। গ্যাস আমাদের নিজস্ব সম্পদ বলে তা পানিতে ফেলে দিতে হবে, এমন ধারণা অগ্রহণযোগ্য। গ্যাস যখন ফুরিয়ে যাবে তখন যেন বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করা যায়, সেই হিসাবও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে করা উচিত। এ ছাড়া, বর্তমানে জনগণের যে অংশ গ্যাস পাচ্ছে না, তাদের ব্যবহৃত বিকল্প জ্বালানির ব্যয়ও একটি বিবেচ্য বিষয়।
আবাসিক খাতে যাঁরা এলপি গ্যাস ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রতি মাসে ব্যয় ২ হাজার টাকার ওপরে। সরকার একবার ভেবেছিল পাইপলাইন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে এলপি গ্যাস ব্যবহারকারীদের কিছু ভর্তুকি দেওয়ার কথা। ভাবনাটি অত্যন্ত শুভবুদ্ধিপ্রসূত এবং ভাবনাটি এখনো সরকারের মধ্যে রয়েছে। এই ভাবনা কার্যকর হলে জ্বালানি ব্যবহারে জনগণের মধ্যে যে বৈষম্য বিরাজ করছে, তা কমবে।
সরকার উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে বলে যে কথাটি সংসদীয় কমিটি বলেছে, তা আংশিক সত্য। প্রকৃত সত্য হলো, সরকার কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে। আর জনগণ সরকারের উৎপাদন খরচের চেয়েও বেশি দামে কিনছে। এখানে একটি তথ্যবিভ্রাটের উল্লেখ করা দরকার। সংসদীয় কমিটির সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ৬ টাকা ৬৮ পয়সা। আর সরকার (বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে) বিক্রি করছে ৪ টাকা ৭১ পয়সা। এই তথ্যে বিভ্রাট আছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন মূল্য ৬ টাকা ২৪ পয়সা। বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করা হচ্ছিল প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৬৭ পয়সা করে। গত বৃহস্পতিবার দাম বাড়ানোর পর এই বিক্রয় মূল্য হয়েছে প্রায় ৪ টাকা ৯০ পয়সা।
এই হিসাবে সরকার উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করছে ঠিকই। কিন্তু জনগণ কত দামে বিদ্যুৎ কিনছে? গত বৃহস্পতিবারের দাম বাড়ানোর আগে সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় দাম ছিল ৬ টাকা ১৫ পয়সা। প্রতি ইউনিট ১৮ পয়সা হারে দাম বাড়িয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফলে চলতি সেপ্টেম্বর থেকে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় দাম পড়বে ৬ টাকা ৩৩ পয়সা, যা বর্তমান উৎপাদন খরচের (৬ টাকা ২৪ পয়সা) তুলনায় বেশি। এই যে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম, তাঁরা যে সরকারের উৎপাদন খরচের চেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনেন, তা সংসদীয় কমিটির ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়নি।
সরকার উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে। কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে জনগণ কিনছে সরকারের উৎপাদন খরচের চেয়ে বেশি দামে। অর্থাৎ জনগণ বিদ্যুতের উচ্চ দামই দিচ্ছে। কিন্তু সরকার পাচ্ছে না। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় কি শুধুই দাম বাড়িয়ে যাওয়া, যেমনটি বলেছে সংসদীয় কমিটি? মোটেই তা নয়।
সরকার ২০০৯-১০ সাল থেকে বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের যে পরিকল্পনা করে এগোচ্ছে, তাতে ২০১৩-১৪ সাল থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন মূল্য ও ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমে আসার কথা ছিল। তা হয়নি। কারণ, সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী কম দামের বিদ্যুৎ (বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক) উৎপাদনে সফল হতে পারেনি। এই ব্যর্থতার যেমন একাধিক কারণ আছে, তেমনি সরকারের সামনে নতুন সুযোগও আছে।
সবচেয়ে বড় সুযোগ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অব্যাহত মূল্যহ্রাস। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার শুধু ফার্নেস তেলের দাম বাজারদর অনুযায়ী নির্ধারণ করলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় সাড়ে ৫ টাকার কাছাকাছি চলে আসবে। সরকার তেলের দাম বেশি রেখে মুনাফা করবে। আবার বিদ্যুতের দামও বাড়াবে, এটা ন্যায্য কোনো ব্যবস্থা হতে পারে না। এক মুরগি দুবার জবাই করা যায় না। করা উচিতও নয়।
সরকারের মধ্যে একটা দুর্ভাবনা আছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তখন তো আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। এ নিয়ে সরকারের দুর্ভাবনার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। কেননা, সরকার যখন দেশের সংকটজনক বিদ্যুৎ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তেলচালিত ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে, তখন জনগণ বিদ্যুতের বাড়তি দামও দিয়েছে। এখনো দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতিতে সরকারের কার্যক্রমে জনগণ খুশি। এত দিনে তাদের মধ্যে এই বিশ্বাসও জন্মেছে যে, বর্তমান সরকার আরও অনেক বিষয়ের মতোই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। কাজেই সরকারের উচিত জনগণকে আস্থায় নেওয়া।
সংসদীয় কমিটিও বলেছে, মানুষের দাবি অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমানো যেতে পারে। এখানে মানুষের দাবির যৌক্তিকতা হচ্ছে তেলের দাম অব্যাহতভাবে কমে আসা। দেশে-বিদেশে যাঁরা জ্বালানি তেলের দরদাম, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের সবারই পূর্বাভাস হচ্ছেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত তেলের দাম সাময়িক ওঠানামার মধ্যে নিম্নমুখীই থাকবে। কাজেই হঠাৎ করে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও অমূলক। আর যদি তেমন পরিস্থিতি হয়-ও, তখন জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সরকারের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সংসদীয় কমিটির মতের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়েই সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ঐকমত্য আছে। গ্যাস আমাদের নিজস্ব সম্পদ বলে তা পানিতে ফেলে দিতে হবে, এমন ধারণা অগ্রহণযোগ্য। গ্যাস যখন ফুরিয়ে যাবে তখন যেন বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করা যায়, সেই হিসাবও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে করা উচিত। এ ছাড়া, বর্তমানে জনগণের যে অংশ গ্যাস পাচ্ছে না, তাদের ব্যবহৃত বিকল্প জ্বালানির ব্যয়ও একটি বিবেচ্য বিষয়।
আবাসিক খাতে যাঁরা এলপি গ্যাস ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রতি মাসে ব্যয় ২ হাজার টাকার ওপরে। সরকার একবার ভেবেছিল পাইপলাইন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে এলপি গ্যাস ব্যবহারকারীদের কিছু ভর্তুকি দেওয়ার কথা। ভাবনাটি অত্যন্ত শুভবুদ্ধিপ্রসূত এবং ভাবনাটি এখনো সরকারের মধ্যে রয়েছে। এই ভাবনা কার্যকর হলে জ্বালানি ব্যবহারে জনগণের মধ্যে যে বৈষম্য বিরাজ করছে, তা কমবে।
No comments