‘আমি নত মস্তকে ক্ষমা চাচ্ছি’ -লতিফ সিদ্দিকী
আওয়ামী
লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী জাতির কাছে ‘নত মস্তকে’
ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার জাতীয়
সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে লতিফ সিদ্দিকী তাঁর সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ
করার ঘোষণা দেন। পরে তিনি পদত্যাগপত্র স্পিকারের কাছে জমা দেন। লতিফ
সিদ্দিকী বলেন, ‘আজ আমার সমাপ্তির দিন। কারও বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, অভিযোগ আনছি
না। দেশবাসী আমার কোনো আচরণে দুঃখ পেয়ে থাকলে দেশবাসীর কাছে নতমস্তকে
ক্ষমা চাচ্ছি।’
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি ধর্মবিরোধী নই, আমি ধর্ম অনুরাগী। আমি অমানুষ নই, প্রথমত আমি মানুষ। মানুষ ও মনুষ্যত্বের অনুশীলন করি।’ তিনি নিজেকে একজন ‘সাচ্চা মুসলমান’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তিনি পবিত্র হজ পালন করেছেন এবং ধর্মীয় জীবন একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।
লতিফ সিদ্দিকী জানান, দল থেকে অতীতেও দুই বার তিনি বহিষ্কার হয়েছেন। দুর্নীতি বা অন্য কোনো কারণে নয়, দলের দুর্বল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এবার তাঁকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’, ‘ধর্মদ্রোহী’, ‘শয়তানের রিপ্রেজেনটেটিভ’ আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়। যে প্রক্রিয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা কতখানি যৌক্তিক তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক, ঘাত-প্রতিঘাত যতই আসুক তা তিনি মোকাবিলা করবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি কোনো ভাবেই ‘পথভ্রষ্ট’ হবেন না বলেও উল্লেখ করেন।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিদায় বেলায় বলতে চাই, আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। মানুষকে ভালোবেসেছি। মানুষের ভালোবাসাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মূলধন।’
লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
স্পিকার বরাবর লেখা পদত্যাগ পত্রটি লতিফ সিদ্দিকী পড়ে শোনানোর অনুমতি চান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সেটি পড়ে শোনানোর প্রয়োজন নেই। তারপর লতিফ সিদ্দিকী তাঁকে সময় দেওয়ার জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি ধর্মবিরোধী নই, আমি ধর্ম অনুরাগী। আমি অমানুষ নই, প্রথমত আমি মানুষ। মানুষ ও মনুষ্যত্বের অনুশীলন করি।’ তিনি নিজেকে একজন ‘সাচ্চা মুসলমান’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তিনি পবিত্র হজ পালন করেছেন এবং ধর্মীয় জীবন একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।
লতিফ সিদ্দিকী জানান, দল থেকে অতীতেও দুই বার তিনি বহিষ্কার হয়েছেন। দুর্নীতি বা অন্য কোনো কারণে নয়, দলের দুর্বল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এবার তাঁকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’, ‘ধর্মদ্রোহী’, ‘শয়তানের রিপ্রেজেনটেটিভ’ আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়। যে প্রক্রিয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা কতখানি যৌক্তিক তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক, ঘাত-প্রতিঘাত যতই আসুক তা তিনি মোকাবিলা করবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি কোনো ভাবেই ‘পথভ্রষ্ট’ হবেন না বলেও উল্লেখ করেন।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিদায় বেলায় বলতে চাই, আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। মানুষকে ভালোবেসেছি। মানুষের ভালোবাসাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মূলধন।’
লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
স্পিকার বরাবর লেখা পদত্যাগ পত্রটি লতিফ সিদ্দিকী পড়ে শোনানোর অনুমতি চান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সেটি পড়ে শোনানোর প্রয়োজন নেই। তারপর লতিফ সিদ্দিকী তাঁকে সময় দেওয়ার জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান।
No comments