শেষ বিকালে হঠাৎ আঁধার by ইশতিয়াক পারভেজ
তামিম
ইকবালকে দিয়ে দিন শুরু। মোহাম্মদ শহীদকে বোল্ড করে দিন শেষ করলেন ডেল
স্টেইন। এর মাঝে খেলা হয়েছে প্রথম দিনের ৮৮.১ ওভার। টাইগার ব্যাটসম্যানদের
আসা-যাওয়ার মিছিলে রান ওঠে মাত্র ২৪৬ রান ৮ উইকেট হারিয়ে। ৩ উইকেটে ১৮০ রান
থেকে হঠাৎ ছন্দপতন। ৬৬ রানে ৫ উইকেটের পতন। সারাদিন উজ্জল থাকার পর হঠাৎ
যেন আঁধারে ছেয়ে যায় সব। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে
ঢাকা টেস্টকে সুযোগ হিসেবে দেখছিলেন। টসে জিতে সেই সুযোগটাও এসেছিল। কিন্তু
ব্যাট করতে নেমে তার সদব্যবহারটা শুধু অধিনায়কই করেছেন। টাইগারদের ইনিংসে
একমাত্র ফিফটি এসেছে তার ব্যাট থেকেই। কিন্তু ইনিংস লম্বা করার সুযোগ পেয়েও
তা হাতছাড়া করেন তিনি। মুশফিক বাহিনীর হতাশ করা ব্যাটিংয়ের দিনে ডেল
স্টেইন প্রবেশ করেছেন নতুন এক জগতে। সবচেয়ে কম বলে ৪০০ উইকেট তুলে নিয়েছেন
তিনি।
আজ দ্বিতীয় দিন যখন ১৩ রানে অপরাজিত থাকা নাসির হোসেন ব্যাট করতে নামবেন। তখন তার সঙ্গী দুই বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেন লিখন। তাই ডেলের জন্য আরও দুই সহজ শিকার অপেক্ষায়। চট্টগ্রাম টেস্টেও এই দু’জনকে আউট করেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে তার একমাত্র বড় শিকার ছিল দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। কিন্তু গতকাল তামিম ইকবালের পর মাহমুদল্লাহকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখান তিনি। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে দিনের পঞ্চম ওভারে ডেল স্টেইনের বলটি ক্রিজে পড়ে অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাচ্ছিল। ওপেনার তামিম ইকবাল সেটি খেলতে গিয়ে স্লিপে হাশিম আমলার তালুবন্দি হন। তখন তামিমের নামের পাশে ৬ ও দলের স্কোর ১২ রান। এরপর আশার আলো হয়ে এসেছিলেন মুমিনুল হক। শুরুতেই দপ করে নিভার শঙ্কায় পড়া আলোটাকে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন ইমরুল কায়েসকে নিয়ে। জুটিতে সংগ্রহ করেন ৬৯ রান। কিন্তু তখনই ডুমিনি বলেন অতিআত্মবিশ্বাসী একটি শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন অভিষিক্ত উইকেট কিপার ডেন ভিলাসের হাতে। মুমিনুলের ভুলে অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়া প্রথম ক্যাচটি ভাগ্যে জুটে ভিলাসের।
এবার ইমরুল আর মাহমুদুল্লাহর পালা। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও রণে ভঙ্গ দিলেন ইমরুল। ৯৩ বলে ৩০ রান করে এলবিডব্লিউ’র শিকার হয়ে ডুমিনিকে উপহার দিলেন দ্বিতীয় উইকেট। কিন্তু এবার দুই ভায়রার মিশন। যখন দলের সেরা ব্যাটসম্যানরা একেএক সুযোগ হাতছাড়া করছিলেন তখন মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৭৫ রানে ১ উইকেট হারান। কিন্তু চা-পানের বিরতি পর্যন্ত আরও ২টি উইকেট হারালেও স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ১৫৪ রান। মাহমুদুল্লাহ ২৫ ও মুশফিকুর রহীম ৪২ রান করে দিনের তৃতীয় সেশন শুরু করেন। যখন মাঠে আসা হাচার চারেক দর্শক ও বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীরা এই জুটিতে দিন পার করার আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তখনই আউট মাহমুুদুল্লাহ। শুরু ও শেষের মত বাংলাদেশের ইনিংসের মাঝের সময়টাতে আঘাত হানেছিলেন স্টেইন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যে প্রতিরোধ গড়েছিলেন তাকেও ডিপ মিডউইকেটে বাভুমার ক্যাচ বানিয়ে ভাঙেন স্টেন। দলের জন্য ৯১ বলে অবদান ৩৫ রানের। চট্টগ্রাম টেস্টে তার ব্যাট থেকে অবশ্য ফিফটির মুখ দেখেছিল টাইগাররা। তাদের দু’জনের ৯৬ রানের জুটিটি অবশ্য প্রোটিয়াদের বিপক্ষে যে কোন উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এরপর মুশফিকের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের জুটি। এরই মধ্যে ১০ ইনিংস খরায় কাটানো মুশফিক ১০ ইনিংস পর দেখা পেয়েছেন ১৫তম টেস্ট ফিফটির। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন সুযোগ পেলে বড় ইনিংস খেলাল কিন্তু ১২৫ বলের ৬৫ রানেই থামলেন তিনি। এলগারের বলটি মুশফিকের গ্লাভ ছুঁয়ে উইকেটের পিছনে ভিলাসের দ্বিতীয় ক্যাচ। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এলগারের দাবি সত্যি হলো তৃতীয় আম্পয়ারের সিদ্ধান্তে। আউট হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭টি চারের মার হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক। এরপর দুঃস্বপ্নের নাম লিটন ও সাকিব। আগের ম্যাচে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি হাঁকিয়ে লিটন ছিলেন আশার আলো। কিন্তু মাত্র ৩ রানেই ডুমিনিকে উপহার দিলেন তৃতীয় উইকেট। চট্টগ্রাম টেস্টে ডুমিনির হাতে বল তুলে দেননি অধিনায়ক হাশিম আমলা। কিন্তু ঢাকা টেস্ট সুযোগ তা হাতছাড়া করেননি। অন্যদিকে মরকেল উইকেট শূন্য থাকেন কিভাবে। সাকিব ও নাসির হোসেনের ২৫ রানের জুটি ভাঙে তিনি। সাকিব বলটি বুঝে ওঠার আগেই ব্যাট ছুঁয়ে গালিতে তালুবন্দি হলে এলগারের। চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে চমক দেখানো পেসার শহীদকে কোন সুযোগ দিলেন স্টেইন। নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ দেখালেন সরাসরি বোল্ড করে। সেই সঙ্গে সাঙ্গ হলো ঢাকা টেস্টর প্রথম দিন।
আজ দ্বিতীয় দিন যখন ১৩ রানে অপরাজিত থাকা নাসির হোসেন ব্যাট করতে নামবেন। তখন তার সঙ্গী দুই বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেন লিখন। তাই ডেলের জন্য আরও দুই সহজ শিকার অপেক্ষায়। চট্টগ্রাম টেস্টেও এই দু’জনকে আউট করেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে তার একমাত্র বড় শিকার ছিল দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। কিন্তু গতকাল তামিম ইকবালের পর মাহমুদল্লাহকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখান তিনি। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে দিনের পঞ্চম ওভারে ডেল স্টেইনের বলটি ক্রিজে পড়ে অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাচ্ছিল। ওপেনার তামিম ইকবাল সেটি খেলতে গিয়ে স্লিপে হাশিম আমলার তালুবন্দি হন। তখন তামিমের নামের পাশে ৬ ও দলের স্কোর ১২ রান। এরপর আশার আলো হয়ে এসেছিলেন মুমিনুল হক। শুরুতেই দপ করে নিভার শঙ্কায় পড়া আলোটাকে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন ইমরুল কায়েসকে নিয়ে। জুটিতে সংগ্রহ করেন ৬৯ রান। কিন্তু তখনই ডুমিনি বলেন অতিআত্মবিশ্বাসী একটি শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন অভিষিক্ত উইকেট কিপার ডেন ভিলাসের হাতে। মুমিনুলের ভুলে অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়া প্রথম ক্যাচটি ভাগ্যে জুটে ভিলাসের।
এবার ইমরুল আর মাহমুদুল্লাহর পালা। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও রণে ভঙ্গ দিলেন ইমরুল। ৯৩ বলে ৩০ রান করে এলবিডব্লিউ’র শিকার হয়ে ডুমিনিকে উপহার দিলেন দ্বিতীয় উইকেট। কিন্তু এবার দুই ভায়রার মিশন। যখন দলের সেরা ব্যাটসম্যানরা একেএক সুযোগ হাতছাড়া করছিলেন তখন মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৭৫ রানে ১ উইকেট হারান। কিন্তু চা-পানের বিরতি পর্যন্ত আরও ২টি উইকেট হারালেও স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ১৫৪ রান। মাহমুদুল্লাহ ২৫ ও মুশফিকুর রহীম ৪২ রান করে দিনের তৃতীয় সেশন শুরু করেন। যখন মাঠে আসা হাচার চারেক দর্শক ও বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীরা এই জুটিতে দিন পার করার আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তখনই আউট মাহমুুদুল্লাহ। শুরু ও শেষের মত বাংলাদেশের ইনিংসের মাঝের সময়টাতে আঘাত হানেছিলেন স্টেইন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যে প্রতিরোধ গড়েছিলেন তাকেও ডিপ মিডউইকেটে বাভুমার ক্যাচ বানিয়ে ভাঙেন স্টেন। দলের জন্য ৯১ বলে অবদান ৩৫ রানের। চট্টগ্রাম টেস্টে তার ব্যাট থেকে অবশ্য ফিফটির মুখ দেখেছিল টাইগাররা। তাদের দু’জনের ৯৬ রানের জুটিটি অবশ্য প্রোটিয়াদের বিপক্ষে যে কোন উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এরপর মুশফিকের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের জুটি। এরই মধ্যে ১০ ইনিংস খরায় কাটানো মুশফিক ১০ ইনিংস পর দেখা পেয়েছেন ১৫তম টেস্ট ফিফটির। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন সুযোগ পেলে বড় ইনিংস খেলাল কিন্তু ১২৫ বলের ৬৫ রানেই থামলেন তিনি। এলগারের বলটি মুশফিকের গ্লাভ ছুঁয়ে উইকেটের পিছনে ভিলাসের দ্বিতীয় ক্যাচ। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এলগারের দাবি সত্যি হলো তৃতীয় আম্পয়ারের সিদ্ধান্তে। আউট হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭টি চারের মার হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক। এরপর দুঃস্বপ্নের নাম লিটন ও সাকিব। আগের ম্যাচে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি হাঁকিয়ে লিটন ছিলেন আশার আলো। কিন্তু মাত্র ৩ রানেই ডুমিনিকে উপহার দিলেন তৃতীয় উইকেট। চট্টগ্রাম টেস্টে ডুমিনির হাতে বল তুলে দেননি অধিনায়ক হাশিম আমলা। কিন্তু ঢাকা টেস্ট সুযোগ তা হাতছাড়া করেননি। অন্যদিকে মরকেল উইকেট শূন্য থাকেন কিভাবে। সাকিব ও নাসির হোসেনের ২৫ রানের জুটি ভাঙে তিনি। সাকিব বলটি বুঝে ওঠার আগেই ব্যাট ছুঁয়ে গালিতে তালুবন্দি হলে এলগারের। চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে চমক দেখানো পেসার শহীদকে কোন সুযোগ দিলেন স্টেইন। নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ দেখালেন সরাসরি বোল্ড করে। সেই সঙ্গে সাঙ্গ হলো ঢাকা টেস্টর প্রথম দিন।
No comments