নজরুলের স্বজনদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের ভাই, শ্বশুরসহ স্বজনদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া। নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পরে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংঘটিত এক ঘটনার দায়ে এ মামলা করা হয়েছে।
ইয়াছিন সাত খুনের মামলায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের করা মামলার আসামি ছিলেন। তবে সম্প্রতি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে তাঁর নাম নেই।
গত ২৮ জুলাই ইয়াছিন মিয়া নারায়ণগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দুটি করেন। তবে গণমাধ্যম কর্মীরা মামলা দায়েরের খবর জানতে পারেন আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে।
দুটি মামলার একটিতে ইয়াছিন মিয়া অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল বিকেল ৫টায় আসামিরা বাদীর অংশীদারত্বে পরিচালিত মেসার্স শামস ফিলিং স্টেশনে গিয়ে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় আসামিরা ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এই মামলায় ইয়াছিন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম, ভাই আবদুস সালাম, দুই শ্যালক সাইদুল ও মামুন, ভাগ্নে রনি ও শহীদুল ইসলামের স্বজন রফিকুল ইসলাম মিন্টুকে আসামি করেছেন।
অপর মামলায় ইয়াছিন মিয়া অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালের ১ মে রাত ৮টায় আসামিরা বাদীর মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার বাসায় হামলা চালিয়ে লুটপাট করেন। এই মামলায় নিহত নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম, ছোট ভাই আবদুস সালাম, দুই শ্যালক মামুন ও সাইদুল, ভাগনে রনি, নজরুলের সমর্থক কবির হোসেন, বাবুল মিয়া, মো. আলী, রফিকুল ইসলাম মিন্টুকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মহসিন আলী সাংবাদিকদের জানান, আদালত মামলা দুটি গ্রহণ করেছেন। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ এপ্রিল নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হন। এর পরে সাতজনকে খুন করা হয়। খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েক দফা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ও অভিযুক্তদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন। অপহরণের পরদিন নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়াকেও আসামি করা হয়। তবে সম্প্রতি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে তার নাম ছিল না।
ইয়াছিন মিয়ার মামলা দায়ের প্রসঙ্গে নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, ইয়াছিনের সহযোগিতা পেয়েই নুর হোসেন ৭ জনকে অপহরণ, খুন ও লাশ গুমের দুঃসাহস দেখিয়েছে। ৭ জনকে অপহরণ, খুনের পর নুর হোসেন, ইয়াছিনের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ নানা অপকর্মের শিকার বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাদের যাত্রা প্যান্ডেল, জুয়া-মাদকের আস্তানায় হামলা চালিয়েছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যম সরাসরি সম্প্রচার করেছে। তাঁকে সাত খুনের মামলার আসামিও করা হয়। কিন্তু পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে নূর হোসেন ছাড়া ইয়াছিনসহ পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর পর ইয়াছিন এলাকায় ফিরে তাঁদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
ইয়াছিন সাত খুনের মামলায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের করা মামলার আসামি ছিলেন। তবে সম্প্রতি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে তাঁর নাম নেই।
গত ২৮ জুলাই ইয়াছিন মিয়া নারায়ণগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দুটি করেন। তবে গণমাধ্যম কর্মীরা মামলা দায়েরের খবর জানতে পারেন আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে।
দুটি মামলার একটিতে ইয়াছিন মিয়া অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল বিকেল ৫টায় আসামিরা বাদীর অংশীদারত্বে পরিচালিত মেসার্স শামস ফিলিং স্টেশনে গিয়ে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় আসামিরা ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এই মামলায় ইয়াছিন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম, ভাই আবদুস সালাম, দুই শ্যালক সাইদুল ও মামুন, ভাগ্নে রনি ও শহীদুল ইসলামের স্বজন রফিকুল ইসলাম মিন্টুকে আসামি করেছেন।
অপর মামলায় ইয়াছিন মিয়া অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালের ১ মে রাত ৮টায় আসামিরা বাদীর মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার বাসায় হামলা চালিয়ে লুটপাট করেন। এই মামলায় নিহত নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম, ছোট ভাই আবদুস সালাম, দুই শ্যালক মামুন ও সাইদুল, ভাগনে রনি, নজরুলের সমর্থক কবির হোসেন, বাবুল মিয়া, মো. আলী, রফিকুল ইসলাম মিন্টুকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মহসিন আলী সাংবাদিকদের জানান, আদালত মামলা দুটি গ্রহণ করেছেন। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ এপ্রিল নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হন। এর পরে সাতজনকে খুন করা হয়। খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েক দফা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ও অভিযুক্তদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন। অপহরণের পরদিন নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়াকেও আসামি করা হয়। তবে সম্প্রতি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে তার নাম ছিল না।
ইয়াছিন মিয়ার মামলা দায়ের প্রসঙ্গে নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, ইয়াছিনের সহযোগিতা পেয়েই নুর হোসেন ৭ জনকে অপহরণ, খুন ও লাশ গুমের দুঃসাহস দেখিয়েছে। ৭ জনকে অপহরণ, খুনের পর নুর হোসেন, ইয়াছিনের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ নানা অপকর্মের শিকার বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাদের যাত্রা প্যান্ডেল, জুয়া-মাদকের আস্তানায় হামলা চালিয়েছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যম সরাসরি সম্প্রচার করেছে। তাঁকে সাত খুনের মামলার আসামিও করা হয়। কিন্তু পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে নূর হোসেন ছাড়া ইয়াছিনসহ পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর পর ইয়াছিন এলাকায় ফিরে তাঁদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
No comments