চামড়ার বর্জ্য আর ময়লা পানিতে সয়লাব ঢাকা দক্ষিণের হাজারীবাগ এলাকা by মোছাব্বের হোসেন
চামড়ার বর্জ্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে রাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারি সড়কে। এর ভেতর জমেছে বৃষ্টির পানি। এই পথেই প্রচণ্ড দুর্ভোগ সহ্য করে চলাচল করছে এলাকাবাসী। -সাহাদাত পারভেজ |
রাস্তার
দুই পাশে ট্যানারির বর্জ্যের স্তূপ। সুয়ারেজের ময়লা পানিতে সয়লাব।
ডাস্টবিন থেকে উপচে পড়া ময়লার দুর্গন্ধ। রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে ট্রাক।
এসব সামলেই পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। দুর্ভোগের এই চিত্র রাজধানীর
হাজারীবাগ এলাকার ঢাকা ট্যানারির সড়কের। শুধু এই এলাকা নয়, হাজারীবাগ
এলাকার বেশির ভাগ সড়কের অবস্থাই এমন। চামড়াশিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত এই
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্যানারিগুলো দীর্ঘদিন ধরে সাভারে
স্থানান্তরের কথা বলা হলেও তা হয়নি। ট্যানারির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে নানা
ধরনের ভোগান্তি। এই এলাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের
অন্তর্গত। ওয়ার্ডের অন্য এলাকা হচ্ছে জিগাতলা, গজমহল, শিকারিটোলা,
সোনাতনগড়, চরকঘাটা, মনেশ্বর, তল্লাবাগ, বাংলা সড়ক, সুলতানগঞ্জ ও
মধুবাজারের কিছু অংশ। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ।
সরেজমিনে গত সোমবার সকালে হাজারীবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা ট্যানারি মোড় সড়কের ওপর চারটি ডাস্টবিন। রাস্তার এক পাশে খোলা ডাস্টবিনের ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে সুয়ারেজের পানিতে সয়লাব। ময়লার গন্ধে নাক চেপে চলছে পথচারীরা। হাঁটার রাস্তা বলতে তেমন কোনো জায়গাও অবশিষ্ট নেই। আর পুরো রাস্তার পাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট টং দোকান। এর ওপরেই রাস্তা দখল করে বড় বড় ট্রাক সারি করে রাখা হয়েছে। এক পাশে রাস্তা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ঠেলাগাড়ির স্ট্যান্ড, পাশেই ফুটপাতের ওপর হাজারীবাগ ঠেলাগাড়ি বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। সাইনবোর্ডে বলা হচ্ছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অনুমোদিত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির সভাপতি মজিবর রহমান দাবি করেন, তাঁদের কার্যালয় বৈধ। ডিএমপি অনুমোদিত। কিন্তু হাজারীবাগ থানার ডিউটি অফিসার আশরাফ আলী বলেন, এমন কোনো অনুমোদনের বিষয়ে তাঁর জানা নেই।
এলাকার ট্যানারি মোড় ও হাজারীবাগ থানা সড়ক, শেরেবাংলা রোডের ওপর ময়লা স্তূপ করে রাখা। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে ধুয়ে আবার সেই ময়লা সুয়ারেজে গিয়ে মিশছে।
এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান কাজী বলেন, ময়লা পানিতে হাঁটতে হয়, আর ডাস্টবিনের ময়লার দুর্গন্ধে বমি আসার উপক্রম হয়। এখানে চামড়ার বর্জ্য আর ময়লা পানিতে টেকা দায়। আরেক বাসিন্দা লালন মিয়া অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশনের সুইপাররা সুয়ারেজের ময়লা তুলে রাস্তায়ই রাখে। সঠিক সময় তুলে না নেওয়ার কারণে আবার সেই ময়লা আগের জায়গায় চলে যায়। এ ছাড়া ময়লার দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
মিলন ট্যানারির সামনে কথা হয় চা দোকানদার মো. হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওই গলিতে বৃষ্টি হলে তো পানি ওঠেই। এ ছাড়া সুয়ারেজের পানিতেও রাস্তা ডুবে যায়। তিনি জানান, দুপুরের দিকে সব ট্যানারির বর্জ্য একসঙ্গে ছেড়ে দেয়। তাই দুপুরে এখানের বেশির ভাগ রাস্তায় সুয়ারেজের ময়লা পানি রাস্তায় এসে পড়ে। তখন ওই পানি মাড়িয়েই পথচারীদের চলতে হয়। চর্মরোগসহ নানা ধরনের রোগে ভুগছে অনেকেই।
এই এলাকার আরও কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, হাজারীবাগের মূল সমস্যা হচ্ছে, ট্যানারির বর্জ্য আর জলাবদ্ধতা। তাঁরা অভিযোগ করেন, অনেক দিন ধরে তাঁরা এসব সমস্যার সম্মুখীন হলেও এসব সমাধানে সিটি করপোরেশনের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। এলাকার বাসিন্দা মো. মইনুল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘শুধু শুইনাই গেলাম ট্যানারি সরবো, বাস্তবে আর সরে না।’
ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়টি সরকারের হাতে। আমাদের কিছু দাবি এখনো পূরণ হয়নি। সে জন্য অনেক ট্যানারি স্থানান্তর হচ্ছে না।’
এলাকার সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কমিশনার মো. সেলিম বলেন, ‘শিল্প এলাকা, তাই ট্রাক বা ঠেলাগাড়ি আসে। তবে তিনি দাবি করলেন, এসব মালামাল আনা-নেওয়া করেই চলে যায়, থাকে না। রাস্তার ওপরে বর্জ্য থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন রাতে ময়লা সিটি করপোরেশন থেকে পরিষ্কার করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু রাস্তায় সংস্কারের কাজ চলছে, তবে বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ আছে। সিটি করপোরেশনে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পাস হলেই আর সমস্যা থাকবে না।
সরেজমিনে গত সোমবার সকালে হাজারীবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা ট্যানারি মোড় সড়কের ওপর চারটি ডাস্টবিন। রাস্তার এক পাশে খোলা ডাস্টবিনের ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে সুয়ারেজের পানিতে সয়লাব। ময়লার গন্ধে নাক চেপে চলছে পথচারীরা। হাঁটার রাস্তা বলতে তেমন কোনো জায়গাও অবশিষ্ট নেই। আর পুরো রাস্তার পাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট টং দোকান। এর ওপরেই রাস্তা দখল করে বড় বড় ট্রাক সারি করে রাখা হয়েছে। এক পাশে রাস্তা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ঠেলাগাড়ির স্ট্যান্ড, পাশেই ফুটপাতের ওপর হাজারীবাগ ঠেলাগাড়ি বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। সাইনবোর্ডে বলা হচ্ছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অনুমোদিত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির সভাপতি মজিবর রহমান দাবি করেন, তাঁদের কার্যালয় বৈধ। ডিএমপি অনুমোদিত। কিন্তু হাজারীবাগ থানার ডিউটি অফিসার আশরাফ আলী বলেন, এমন কোনো অনুমোদনের বিষয়ে তাঁর জানা নেই।
এলাকার ট্যানারি মোড় ও হাজারীবাগ থানা সড়ক, শেরেবাংলা রোডের ওপর ময়লা স্তূপ করে রাখা। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে ধুয়ে আবার সেই ময়লা সুয়ারেজে গিয়ে মিশছে।
এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান কাজী বলেন, ময়লা পানিতে হাঁটতে হয়, আর ডাস্টবিনের ময়লার দুর্গন্ধে বমি আসার উপক্রম হয়। এখানে চামড়ার বর্জ্য আর ময়লা পানিতে টেকা দায়। আরেক বাসিন্দা লালন মিয়া অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশনের সুইপাররা সুয়ারেজের ময়লা তুলে রাস্তায়ই রাখে। সঠিক সময় তুলে না নেওয়ার কারণে আবার সেই ময়লা আগের জায়গায় চলে যায়। এ ছাড়া ময়লার দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
মিলন ট্যানারির সামনে কথা হয় চা দোকানদার মো. হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওই গলিতে বৃষ্টি হলে তো পানি ওঠেই। এ ছাড়া সুয়ারেজের পানিতেও রাস্তা ডুবে যায়। তিনি জানান, দুপুরের দিকে সব ট্যানারির বর্জ্য একসঙ্গে ছেড়ে দেয়। তাই দুপুরে এখানের বেশির ভাগ রাস্তায় সুয়ারেজের ময়লা পানি রাস্তায় এসে পড়ে। তখন ওই পানি মাড়িয়েই পথচারীদের চলতে হয়। চর্মরোগসহ নানা ধরনের রোগে ভুগছে অনেকেই।
এই এলাকার আরও কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, হাজারীবাগের মূল সমস্যা হচ্ছে, ট্যানারির বর্জ্য আর জলাবদ্ধতা। তাঁরা অভিযোগ করেন, অনেক দিন ধরে তাঁরা এসব সমস্যার সম্মুখীন হলেও এসব সমাধানে সিটি করপোরেশনের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। এলাকার বাসিন্দা মো. মইনুল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘শুধু শুইনাই গেলাম ট্যানারি সরবো, বাস্তবে আর সরে না।’
ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়টি সরকারের হাতে। আমাদের কিছু দাবি এখনো পূরণ হয়নি। সে জন্য অনেক ট্যানারি স্থানান্তর হচ্ছে না।’
এলাকার সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কমিশনার মো. সেলিম বলেন, ‘শিল্প এলাকা, তাই ট্রাক বা ঠেলাগাড়ি আসে। তবে তিনি দাবি করলেন, এসব মালামাল আনা-নেওয়া করেই চলে যায়, থাকে না। রাস্তার ওপরে বর্জ্য থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন রাতে ময়লা সিটি করপোরেশন থেকে পরিষ্কার করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু রাস্তায় সংস্কারের কাজ চলছে, তবে বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ আছে। সিটি করপোরেশনে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পাস হলেই আর সমস্যা থাকবে না।
No comments