সন্ধ্যা থেকে উৎসবে মাতবে ছিটমহলবাসী by অমর সাহা
কোচবিহারের বাত্রিগাছ ছিটমহলবাসীর অপেক্ষা। -ভাস্কর মুখার্জি |
অপেক্ষার
পালা ফুরিয়ে এসেছে ছিটমহলবাসীর। পরিচয়হীনতার গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকার পালা
শেষ হচ্ছে অবশেষে। আজ শুক্রবার মধ্যরাতে ভারতের ভেতর থাকা ৫১টি বাংলাদেশি
ছিটমহল এবং বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল আনুষ্ঠানিকভাবে
হস্তান্তর করা হবে। এতে বাংলাদেশের ভেতর থাকা ছিটমহলবাসী পাবে বাংলাদেশের
নাগরিকত্ব আর ভারতের ভেতর থাকা ছিটমহলবাসীরা পাবে ভারতের নাগরিকত্ব।
আজ সন্ধ্যা থেকে ভারতের ভেতরে থাকা ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহলে শুরু হবে বিজয় উৎসব। সন্ধ্যায় ছিটমহলের প্রতিটি বাড়িতে জ্বালানো হবে ৬৮টি করে মোমবাতি। রাত ১২টায় ছিটমহলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের ঘোষণা দেওয়ার পর শুরু হবে বিজয় উৎসব। ঢাকঢোল পিটিয়ে, বাজি ফুটিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে, মিছিল করে, ভারতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিজয় উৎসবে মেতে উঠবে গোটা ছিটমহলবাসী। আলোক মালায় সাজবে বাড়িঘর। চলবে মশাল মিছিল। ওড়ানো হবে আকাশপ্রদীপ। মধ্য মশালডাঙ্গা ছিটমহলে দেখানো হবে ছিটমহলবাসীদের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও। ওই তথ্যচিত্রে থাকবে ছিটমহলবাসীদের সুদীর্ঘ ৬৮ বছরের বঞ্চনা, যন্ত্রণা ও ভিনদেশের ভেতর পরগাছা হয়ে থাকার দুঃসহ দিনগুলোর কথা।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহসম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, এখন ছিটমহলজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে। রাজ্য প্রশাসনও ছিটমহল বিনিময়ের লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ছিটমহলের পাড়ায় পাড়ায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য বিভিন্ন ছিটমহলে মঞ্চ বানিয়ে ইতিমধ্যে গানবাজনা শুরুও করেছে ছিটমহলের তরুণ-তরুণী আর শিশু-কিশোররা। শুরু করেছে মিষ্টি বিতরণও।
২০১১ সালের দুই দেশের ছিটমহলের যৌথ জনগণনা অনুযায়ী এই ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের জনসংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ২১৫ জন। সেই জনসংখ্যা ৬৪১ জন বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৬ জন। বাংলাদেশে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের জনসংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৩৬৯ জন। এ মাসের ৬ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত জনগণনায় সেই সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার হয়েছে বলে জানিয়েছেন দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তবে প্রকৃত সংখ্যা কত, তা তিনি জানাতে পারেননি। আজ মধ্য রাতের পর থেকে তাঁরা সবাই পাবেন নিজ নিজ দেশের নাগরিকত্ব।
আজ সন্ধ্যা থেকে ভারতের ভেতরে থাকা ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহলে শুরু হবে বিজয় উৎসব। সন্ধ্যায় ছিটমহলের প্রতিটি বাড়িতে জ্বালানো হবে ৬৮টি করে মোমবাতি। রাত ১২টায় ছিটমহলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের ঘোষণা দেওয়ার পর শুরু হবে বিজয় উৎসব। ঢাকঢোল পিটিয়ে, বাজি ফুটিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে, মিছিল করে, ভারতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিজয় উৎসবে মেতে উঠবে গোটা ছিটমহলবাসী। আলোক মালায় সাজবে বাড়িঘর। চলবে মশাল মিছিল। ওড়ানো হবে আকাশপ্রদীপ। মধ্য মশালডাঙ্গা ছিটমহলে দেখানো হবে ছিটমহলবাসীদের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও। ওই তথ্যচিত্রে থাকবে ছিটমহলবাসীদের সুদীর্ঘ ৬৮ বছরের বঞ্চনা, যন্ত্রণা ও ভিনদেশের ভেতর পরগাছা হয়ে থাকার দুঃসহ দিনগুলোর কথা।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহসম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, এখন ছিটমহলজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে। রাজ্য প্রশাসনও ছিটমহল বিনিময়ের লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ছিটমহলের পাড়ায় পাড়ায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য বিভিন্ন ছিটমহলে মঞ্চ বানিয়ে ইতিমধ্যে গানবাজনা শুরুও করেছে ছিটমহলের তরুণ-তরুণী আর শিশু-কিশোররা। শুরু করেছে মিষ্টি বিতরণও।
২০১১ সালের দুই দেশের ছিটমহলের যৌথ জনগণনা অনুযায়ী এই ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের জনসংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ২১৫ জন। সেই জনসংখ্যা ৬৪১ জন বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৬ জন। বাংলাদেশে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের জনসংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৩৬৯ জন। এ মাসের ৬ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত জনগণনায় সেই সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার হয়েছে বলে জানিয়েছেন দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তবে প্রকৃত সংখ্যা কত, তা তিনি জানাতে পারেননি। আজ মধ্য রাতের পর থেকে তাঁরা সবাই পাবেন নিজ নিজ দেশের নাগরিকত্ব।
No comments