আন্দোলনে যাচ্ছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা! ক্যারি অন’ ব্যবস্থা চালুর দাবি
‘ক্যারি অন’ প্রথা চালু রাখার দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছেন মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা। আগামী শনিবার দুপুর ১২টায় সারা দেশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শুরু হবে তাঁদের এই আন্দোলন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত মেডিকেল শিক্ষার্থী-বৃন্দের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এতে বলা হয়, কোনো পেশাগত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী বর্ষের ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারার প্রথাকে মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘ক্যারি অন’ বলা হয়। ২০০২ সালে প্রণীত কারিকুলাম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করার পরপরই দ্বিতীয় পেশাগত পরীক্ষার যাবতীয় ক্লাসে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত হতো। এই কারিকুলামে পেশাগত পরীক্ষা ছিল তিনটি এবং একজন শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও প্রথম পেশাগত পরীক্ষার সাপ্লিমেন্টারিতে (৬ মাস পর অকৃতকার্য হওয়া বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ) কৃতকার্য হলে তার শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে পড়ত না।
কিন্তু ২০১২ সালে প্রণীত নতুন কারিকুলামে এই প্রথা বাতিল করা হয়েছে। এতে একজন শিক্ষার্থী প্রথম সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে সে তার শিক্ষাবর্ষ থেকে ৬ মাস পিছিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবগঠিত ব্যাচের একাডেমিক কার্যক্রম সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নতুন কারিকুলামে নেই।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এই প্রথা চালু হলে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। কারণ দুটি চলমান ব্যাচের মাঝে নতুন একটি ব্যাচের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা দুরূহ হয়ে দাঁড়াবে। এর পেছনে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোগত অপ্রতুলতা ও পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব। অন্য দিকে এই নতুন পদ্ধতির কারণে সরকারি মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসগুলোতে তীব্র আবাসন সংকট দেখা দেবে এবং সরকারের ব্যয়ও বাড়বে। অন্যদিকে বেসরকারি মেডিকেলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটি বিশাল অংশ আর্থিক বাধার সম্মুখীন হবে। কারণ এ অতিরিক্ত সময়ের শিক্ষা ব্যয় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এতে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হারও বাড়বে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর মূল চালিকাশক্তি হলো শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। প্রবর্তিত নতুন এ পদ্ধতির ফলে প্রতি বছর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে প্রায় দুই হাজার শিক্ষানবিশ চিকিৎসক সংকট দেখা দেবে। অন্যদিকে সময়মতো বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় চিকিৎসক সংকটে পড়বে দেশের মফস্বল এলাকা ও গ্রামাঞ্চল। তাই তাঁরা নতুন কারিকুলামে ‘ক্যারি অন’ সিস্টেম পুনর্বহাল চান!
বাংলাদেশ সম্মিলিত মেডিকেল শিক্ষার্থী-বৃন্দের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এতে বলা হয়, কোনো পেশাগত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী বর্ষের ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারার প্রথাকে মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘ক্যারি অন’ বলা হয়। ২০০২ সালে প্রণীত কারিকুলাম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করার পরপরই দ্বিতীয় পেশাগত পরীক্ষার যাবতীয় ক্লাসে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত হতো। এই কারিকুলামে পেশাগত পরীক্ষা ছিল তিনটি এবং একজন শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও প্রথম পেশাগত পরীক্ষার সাপ্লিমেন্টারিতে (৬ মাস পর অকৃতকার্য হওয়া বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ) কৃতকার্য হলে তার শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে পড়ত না।
কিন্তু ২০১২ সালে প্রণীত নতুন কারিকুলামে এই প্রথা বাতিল করা হয়েছে। এতে একজন শিক্ষার্থী প্রথম সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে সে তার শিক্ষাবর্ষ থেকে ৬ মাস পিছিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবগঠিত ব্যাচের একাডেমিক কার্যক্রম সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নতুন কারিকুলামে নেই।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এই প্রথা চালু হলে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। কারণ দুটি চলমান ব্যাচের মাঝে নতুন একটি ব্যাচের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা দুরূহ হয়ে দাঁড়াবে। এর পেছনে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোগত অপ্রতুলতা ও পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব। অন্য দিকে এই নতুন পদ্ধতির কারণে সরকারি মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসগুলোতে তীব্র আবাসন সংকট দেখা দেবে এবং সরকারের ব্যয়ও বাড়বে। অন্যদিকে বেসরকারি মেডিকেলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটি বিশাল অংশ আর্থিক বাধার সম্মুখীন হবে। কারণ এ অতিরিক্ত সময়ের শিক্ষা ব্যয় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এতে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হারও বাড়বে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর মূল চালিকাশক্তি হলো শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। প্রবর্তিত নতুন এ পদ্ধতির ফলে প্রতি বছর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে প্রায় দুই হাজার শিক্ষানবিশ চিকিৎসক সংকট দেখা দেবে। অন্যদিকে সময়মতো বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় চিকিৎসক সংকটে পড়বে দেশের মফস্বল এলাকা ও গ্রামাঞ্চল। তাই তাঁরা নতুন কারিকুলামে ‘ক্যারি অন’ সিস্টেম পুনর্বহাল চান!
No comments