স্বৈরাচার বাংলাদেশে টিকতে পারেনি : ড. কামাল
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ঈশা খাঁতে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চা-চক্র আয়োজন করে : এ ওয়ান ফটো -নয়া দিগন্ত |
কোনো
স্বৈরাচার বাংলাদেশে টিকতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সভাপতি ড.
কামাল হোসেন। রুগ্ণ রাজনীতি মানুষকে অমানুষ বানাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলের একটি হোটেলে বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিদের চা-চক্রে ডাক দেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল। সেখানে এসব কথা বলেন তিনি। ওই চা-চক্রে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলন জাতীয় কমিটি’ নামে একটি কমিটির প্রস্তাবও দেওয়া হয়। ড. কামাল হোসেন তাঁর বক্তব্য বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন-আপনি এসে দেখে যান বাঙালি এখন মানুষ হয়েছে। সেই মানুষকে এখন অমানুষ বানাচ্ছে রুগ্ণ রাজনীতি। তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচার বাংলাদেশে টিকতে পারেনি। এটা আমাদের বেঁচে থাকার মধ্যেই হবে। বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ২৪টি পেশাজীবী সংগঠন অংশ নিয়েছিল। সুতরাং এই অভিজ্ঞতা আমাদের মধ্যে আছে।
চা-চক্রে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘কম্পিউটারের মতো হিসেব করে রাজনীতি করা উচিত না। যারা লাভের জন্য রাজনীতি করে তাঁরা ধ্বংস হয়। আমরা যেন বেশি বুদ্ধিমান না হওয়ার চেষ্টা করি।’
ড. কামাল বলেন, এক ব্যক্তি, এক ব্যক্তির শাসন সারা জীবন প্রত্যাখ্যান করেছি। এটা কোনো দিন মানেনি, মানতে পারি না। আজকে ভ্যাট দিয়ে শিক্ষা নিতে হবে। যা আমাদের স্বপ্নের মধ্যেও ছিল না।
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি অনুপস্থিত। আস্থাহীনতার কারণে জনগণ ও রাজনীতি আজ বিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশের সমাজ আজ পশ্চাতমুখি। তাই বাংলাদেশের রাজনীতিও পশ্চাতমুখি। দেশের মালিক জনগণ অথচ সেই সম্পদ তাঁদের জন্য ব্যবহার হচ্ছে না। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যে প্ল্যাটফর্ম শুরু হয়েছে, সেটা কন্টিনিউ করতে হবে। ইনশা আল্লাহ পাশে থাকব।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘মিলিটারি এবং সিভিল সোসাইটির দ্বারা রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান হবে না। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক উপস্থিতি থাকতে হবে। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে-বাংলাদেশ নাকি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। আয় যদি ভালো হবে তাহলে থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের গণকবর পাওয়া যায় না। এখন চর দখলের মতো ক্ষমতা দখল করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে একটি সামগ্রিক জাগরণ দরকার। মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকটি চেতনা প্রয়োজন।
আলোচনা সভায় বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নান বলেন, ‘অনেক রাজনীতিক মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনীতিকদের করার কিছু নেই। কিন্তু আমি মনে করি আছে। আজকের মতো আলোচনা সব বিভাগ ও জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।’
শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের মা সেলিনা আখতার বলেন, ‘গণতন্ত্র যে অবস্থায় এসেছে তা দেখে আমরা আশাহত হই, হতাশায় ভুগি। কারণ গণতন্ত্র না থাকলে সুশাসন থাকবে না।
চা-চক্রে প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক উপস্থিত সবার মাঝে একটি কাগজে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলন জাতীয় কমিটি’ নামে একটি কাগজ সরবরাহ করেন। সেখানে তিনি ওই কমিটির ২১টি দফার উল্লেখ করেছেন। ওই কাগজে প্রচারপত্র, আলোচনাসভা, সমাবেশ, অর্ধদিবস হরতালের মতো কর্মসূচির রূপরেখা দেন। পরে তাঁর বক্তৃতায় এ বিষয়ে সবার মতামত চান। গত ৯ জুলাই ফরওয়ার্ড পার্টির কার্যালয়ে এ প্রস্তাবগুলোর খসড়া হয় বলে কাগজটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চা-চক্রে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, আইটি বিশেষজ্ঞ মুহিবুল্লাহ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, আইনজীবী শাহ খসরুজ্জামান, জাহিদুল কবির, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি লিটন নন্দী প্রমুখ। প্রত্যেক বক্তাই তাঁদের বক্তব্যে রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য একটি আলাদা প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলের একটি হোটেলে বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিদের চা-চক্রে ডাক দেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল। সেখানে এসব কথা বলেন তিনি। ওই চা-চক্রে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলন জাতীয় কমিটি’ নামে একটি কমিটির প্রস্তাবও দেওয়া হয়। ড. কামাল হোসেন তাঁর বক্তব্য বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন-আপনি এসে দেখে যান বাঙালি এখন মানুষ হয়েছে। সেই মানুষকে এখন অমানুষ বানাচ্ছে রুগ্ণ রাজনীতি। তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচার বাংলাদেশে টিকতে পারেনি। এটা আমাদের বেঁচে থাকার মধ্যেই হবে। বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ২৪টি পেশাজীবী সংগঠন অংশ নিয়েছিল। সুতরাং এই অভিজ্ঞতা আমাদের মধ্যে আছে।
চা-চক্রে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘কম্পিউটারের মতো হিসেব করে রাজনীতি করা উচিত না। যারা লাভের জন্য রাজনীতি করে তাঁরা ধ্বংস হয়। আমরা যেন বেশি বুদ্ধিমান না হওয়ার চেষ্টা করি।’
ড. কামাল বলেন, এক ব্যক্তি, এক ব্যক্তির শাসন সারা জীবন প্রত্যাখ্যান করেছি। এটা কোনো দিন মানেনি, মানতে পারি না। আজকে ভ্যাট দিয়ে শিক্ষা নিতে হবে। যা আমাদের স্বপ্নের মধ্যেও ছিল না।
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি অনুপস্থিত। আস্থাহীনতার কারণে জনগণ ও রাজনীতি আজ বিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশের সমাজ আজ পশ্চাতমুখি। তাই বাংলাদেশের রাজনীতিও পশ্চাতমুখি। দেশের মালিক জনগণ অথচ সেই সম্পদ তাঁদের জন্য ব্যবহার হচ্ছে না। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যে প্ল্যাটফর্ম শুরু হয়েছে, সেটা কন্টিনিউ করতে হবে। ইনশা আল্লাহ পাশে থাকব।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘মিলিটারি এবং সিভিল সোসাইটির দ্বারা রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান হবে না। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক উপস্থিতি থাকতে হবে। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে-বাংলাদেশ নাকি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। আয় যদি ভালো হবে তাহলে থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের গণকবর পাওয়া যায় না। এখন চর দখলের মতো ক্ষমতা দখল করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে একটি সামগ্রিক জাগরণ দরকার। মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকটি চেতনা প্রয়োজন।
আলোচনা সভায় বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নান বলেন, ‘অনেক রাজনীতিক মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনীতিকদের করার কিছু নেই। কিন্তু আমি মনে করি আছে। আজকের মতো আলোচনা সব বিভাগ ও জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।’
শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের মা সেলিনা আখতার বলেন, ‘গণতন্ত্র যে অবস্থায় এসেছে তা দেখে আমরা আশাহত হই, হতাশায় ভুগি। কারণ গণতন্ত্র না থাকলে সুশাসন থাকবে না।
চা-চক্রে প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক উপস্থিত সবার মাঝে একটি কাগজে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলন জাতীয় কমিটি’ নামে একটি কাগজ সরবরাহ করেন। সেখানে তিনি ওই কমিটির ২১টি দফার উল্লেখ করেছেন। ওই কাগজে প্রচারপত্র, আলোচনাসভা, সমাবেশ, অর্ধদিবস হরতালের মতো কর্মসূচির রূপরেখা দেন। পরে তাঁর বক্তৃতায় এ বিষয়ে সবার মতামত চান। গত ৯ জুলাই ফরওয়ার্ড পার্টির কার্যালয়ে এ প্রস্তাবগুলোর খসড়া হয় বলে কাগজটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চা-চক্রে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, আইটি বিশেষজ্ঞ মুহিবুল্লাহ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, আইনজীবী শাহ খসরুজ্জামান, জাহিদুল কবির, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি লিটন নন্দী প্রমুখ। প্রত্যেক বক্তাই তাঁদের বক্তব্যে রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য একটি আলাদা প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
No comments