শিশু সাঈদ হত্যায় ফের রিমান্ডে গেদা : আরো দুই ঘাতকের সন্ধানে পুলিশ by এনামুল হক জুবের
সিলেটে
শিশু আবু সাঈদ অপহরণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত কথিত র্যাবের সোর্স আতাউর
রহমান গেদাকে আরো তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাকে প্রথম দফায় রিমান্ডে
এনে জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করতে পারেনি পুলিশ। তবে,
সে যেসব তথ্য দিয়েছে তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ মোঃ ফজলে আজিম পাটোয়ারী। তিনি বৃহস্পতিবার
আতাউর রহমান গেদাকে রিমান্ড শেষে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ
জহিরুল গনি চৌধুরীর আদালতে হাজির করেন ও আরো ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান।
শুনানী শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, শিশু আবু সাঈদ অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত আরও দুইজনকে হণ্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ । তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এই দুই কিলারের মধ্যে একজন জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাছুম, অপরজনকে এখনো সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত ৩ জনের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান ও জেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব (আবদুর রাকিব) এর দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দি থেকে এ দুই ‘কিলারের’ তথ্য উঠে এসেছে। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এবাদুর ও রাকিব জানায়, তাদের সাথে অপহরণ ও কিলিং মিশনে অংশ নেয় জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাছুম ও আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক যুবক। ওই যুবকটি লম্বা ও শ্যামলা বলে জবানবন্দিতে উল্লে¬খ করেছে এবাদুর ও রাকিব। অপহরণের পরিকল্পনা বৈঠক থেকে শুরু করে অপহরণ, চাঁদাদাবি ও খুনের সাথে ওই যুবক জড়িত ছিল সরাসরি। তবে, জবানবন্দিতে যুবকটির নাম পরিচয় জানায়নি তারা। গ্রেফতার হওয়া আতাউর রহমান গেদা ওই যুবকটিকে নিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছে তারা। জবানবন্দিতে এবাদ ও রাকিব জানায়, শিশু সাঈদকে অপহরণ করে মোটর সাইকেলে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রায়নগর এলাকার গেদার বাসার পাশের একটি বাসায়। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সাঈদকে নিয়ে আসা হয় কুমারপাড়া ঝর্ণারপাড়ে এবাদুরের বাসায়। জবানবন্দিতে ওই অটোরিকশা চালকের পরিচয় জানাতে না পারলেও রাকিব তাকে হালকা-পাতলা গড়নের বলে উল্লেখ করেছে। পুলিশ ওই অটোরিকশা চালককেও খুঁজছে। তাকে পাওয়া গেলে অপহরণকারীদের সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
উল্লখ্য, নিহত শিশু আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর দর্জিবন্ধ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আবদুল মতিনের পুত্র ও শাহী ঈদগাহ এলাকাধীন হযরত শাহ মীর (রহ.) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে ১১ মার্চ বুধবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর রায়নগর এলাকা থেকে অপহৃত হয় আবু সাঈদ (৯)। এরপর শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর কুমারপাড়া ঝর্ণারপার এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের বাসা থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিশেষ কৌশলে এসএমপি’র বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর ছাড়াও আটক করা হয় জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও র্যাব-পুলিশের কথিত সোর্স গেদা মিয়াকে।
হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
সিলেট নগরীর হাজী শাহমীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সিলেট মহানগর শাখা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা সাঈদ হত্যারকারীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর যাতে কোন মায়ের বুক খালি না হয়।
সমিতির সভাপতি জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফছা আক্তারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মতি লাল গুপ্ত, নুরুল ইসলাম, নিকেতন দাস, সেলিনা বেগম, সালমা জাহান, কানিজ আয়েশা, হুছনা বেগম, সংকরী কর, শাহনারা বেগম, রোজিনা বেগম, অজিত পাল, আজাদ মিয়া, শামীম আহমদ প্রমুখ।
এদিকে, শিশু আবু সাঈদ অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত আরও দুইজনকে হণ্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ । তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এই দুই কিলারের মধ্যে একজন জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাছুম, অপরজনকে এখনো সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত ৩ জনের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান ও জেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব (আবদুর রাকিব) এর দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দি থেকে এ দুই ‘কিলারের’ তথ্য উঠে এসেছে। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এবাদুর ও রাকিব জানায়, তাদের সাথে অপহরণ ও কিলিং মিশনে অংশ নেয় জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাছুম ও আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক যুবক। ওই যুবকটি লম্বা ও শ্যামলা বলে জবানবন্দিতে উল্লে¬খ করেছে এবাদুর ও রাকিব। অপহরণের পরিকল্পনা বৈঠক থেকে শুরু করে অপহরণ, চাঁদাদাবি ও খুনের সাথে ওই যুবক জড়িত ছিল সরাসরি। তবে, জবানবন্দিতে যুবকটির নাম পরিচয় জানায়নি তারা। গ্রেফতার হওয়া আতাউর রহমান গেদা ওই যুবকটিকে নিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছে তারা। জবানবন্দিতে এবাদ ও রাকিব জানায়, শিশু সাঈদকে অপহরণ করে মোটর সাইকেলে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রায়নগর এলাকার গেদার বাসার পাশের একটি বাসায়। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সাঈদকে নিয়ে আসা হয় কুমারপাড়া ঝর্ণারপাড়ে এবাদুরের বাসায়। জবানবন্দিতে ওই অটোরিকশা চালকের পরিচয় জানাতে না পারলেও রাকিব তাকে হালকা-পাতলা গড়নের বলে উল্লেখ করেছে। পুলিশ ওই অটোরিকশা চালককেও খুঁজছে। তাকে পাওয়া গেলে অপহরণকারীদের সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
উল্লখ্য, নিহত শিশু আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর দর্জিবন্ধ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আবদুল মতিনের পুত্র ও শাহী ঈদগাহ এলাকাধীন হযরত শাহ মীর (রহ.) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে ১১ মার্চ বুধবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর রায়নগর এলাকা থেকে অপহৃত হয় আবু সাঈদ (৯)। এরপর শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর কুমারপাড়া ঝর্ণারপার এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের বাসা থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিশেষ কৌশলে এসএমপি’র বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর ছাড়াও আটক করা হয় জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও র্যাব-পুলিশের কথিত সোর্স গেদা মিয়াকে।
হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
সিলেট নগরীর হাজী শাহমীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সিলেট মহানগর শাখা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা সাঈদ হত্যারকারীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর যাতে কোন মায়ের বুক খালি না হয়।
সমিতির সভাপতি জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফছা আক্তারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মতি লাল গুপ্ত, নুরুল ইসলাম, নিকেতন দাস, সেলিনা বেগম, সালমা জাহান, কানিজ আয়েশা, হুছনা বেগম, সংকরী কর, শাহনারা বেগম, রোজিনা বেগম, অজিত পাল, আজাদ মিয়া, শামীম আহমদ প্রমুখ।
No comments