বুম বুমে ক্যারিয়ার শেষ করতে চান আফ্রিদি
বিশ্বকাপে
সফল সমাপ্তির মাধ্যমে ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটাকে আরো সমৃদ্ধ করে
রাখতে চাচ্ছেন পাকিস্তানের সুপারস্টার অল রাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি।
বিশ্বকাপের পরে সীমিত ওভারের ম্যাচকে বিদায় জানানোর ঘোষনা আগেই দিয়েই রেখেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা অল রাউন্ডার। আর পঞ্চমবারের মতো বিশ্ব আসরে খেলতে আসা আফ্রিদীর এখন একটাই চাওয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই আসরে পাকিস্তানের হয়ে একটি শিরোপা জয়। শুক্রবার এ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচকে সামনে রেখে আফ্রিদী বলেছেন, ‘দলের চাহিদা অনুযায়ী আমি পারফর্ম করতে চাই। সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরন করেই আমি ক্রিকেট থেকে চলে যেতে চাই। ক্যারিয়ারের একটি সফল সমাপ্তির অপেক্ষায় এখন মুখিয়ে আছি। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান সেরাটাই খেলবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
আফ্রিদি বলেছেন পাকিস্তানের গায়ে যে অনিশ্চিত দল হিসেবে ট্রেডমার্ক আছে সেটাই গোপন অস্ত্র হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাজে আসবে। এই অনিশ্চিয়তা তকমা গায়ে নিয়েই তো প্রথম দুটি ম্যাচে বাজেভাবে হারার পরেও টানা চারটি ম্যাচে জয় দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে মিসবাহ-উল-হকের দল। আর সে কারনেই আফ্রিদী বলতে সাহস পেয়েছেন পাকিস্তান এমন একটি দল যারা বিশ্বের যেকোন দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। আবার যেকোন দলের বিপক্ষে হারতেও পারে। এই ধারা বেশ কয়েক বছর যাবত হয়ে আসছে। কিন্তু সবাই জানে আমাদের দিনে আমরা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে আর মাত্র পাঁচটি উইকেট দখল করতে পারলেই ৪০০ উইকেটের মালিক হবেন আফ্রিদী। আর এই মাইলফলক অতিক্রম করতে পারলে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি একইসাথে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান ও ৪০০ উইকেটের গর্বিত দাবীদার হবেন। কিন্তু তার বর্তমান বোলিং ফর্ম খুবই হতাশাজনক। এবারের বিশ্ব আসরে ছয় ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র দুটি উইকেট।
বিশ্বকাপে দলের সকলের মধ্যে বেশ সমঝোতা আছে এবং টুর্নামেন্টের গুরুত্ব বুঝেই সবাই এক হয়ে খেলার চেষ্টা করছেন বলে আফ্রিদী মন্তব্য করেছেন। ক্যারিয়ার শেষে তার স্থান পূরনে দলের তরুনরা এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদী আফ্রিদী, ‘বিশ্বকাপের পরে অবসরের বিকল্প আমি অন্য কোন কিছুই চিন্তা করিনি। কারন আমার কাছে মনে হয়েছে এখন নতুনদের এগিয়ে আসার পালা। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভাল খেলছে তাদের হাতেই তো পাকিস্তানের ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। তাই সময় হয়েছে নতুনদের সুযোগ দেবার।’
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বিশ্বব্যপী ঝড় তুলেছিলেন এই অল রাউন্ডার। ১৯৯৬ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে কেনিয়ার নাইরোবিতে নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যে রেকর্ড গড়েছিলেন তা অনেকদিন পর্যন্ত কেউ ভাঙ্গতে পারেনি। ২০১৪ সালে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে সেই রেকর্ড ভাঙ্গেন নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কোরি এ্যান্ডারসন। আর তার সেই রেকর্ড চলতি বছরের জানুয়ারিতে মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরি করে অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স।
আফ্রিদি স্বীকার করেছেন ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করলেও পুরো সময়টা তিনি দারুণ উপভোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের হয়ে ১৯ বছর খেলা চালিয়ে যাওয়া যথেষ্ট। অন্যদের তুলনায় এই সময়ে আমার অনেক ভালো কিংবা মন্দ সময় কাটলেও পাকিস্তানের হয়ে এত দীর্ঘ সময় খেলা চালিয়ে যাবার বিষয়টি আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি। পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলাও অনেক বড় ব্যাপার। ফর্মে থাকা বা না থাকা এখানে বড় বিষয় ছিল না, গুরুত্বপূর্ণ ছিল সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ। এটাই আমার ক্যারিয়ারের অনেক বড় একটি বিষয় ছিল এবং আমি এটা দারুন উপভোগ করেছি।
বিশ্বকাপের পরে সীমিত ওভারের ম্যাচকে বিদায় জানানোর ঘোষনা আগেই দিয়েই রেখেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা অল রাউন্ডার। আর পঞ্চমবারের মতো বিশ্ব আসরে খেলতে আসা আফ্রিদীর এখন একটাই চাওয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই আসরে পাকিস্তানের হয়ে একটি শিরোপা জয়। শুক্রবার এ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচকে সামনে রেখে আফ্রিদী বলেছেন, ‘দলের চাহিদা অনুযায়ী আমি পারফর্ম করতে চাই। সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরন করেই আমি ক্রিকেট থেকে চলে যেতে চাই। ক্যারিয়ারের একটি সফল সমাপ্তির অপেক্ষায় এখন মুখিয়ে আছি। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান সেরাটাই খেলবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
আফ্রিদি বলেছেন পাকিস্তানের গায়ে যে অনিশ্চিত দল হিসেবে ট্রেডমার্ক আছে সেটাই গোপন অস্ত্র হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাজে আসবে। এই অনিশ্চিয়তা তকমা গায়ে নিয়েই তো প্রথম দুটি ম্যাচে বাজেভাবে হারার পরেও টানা চারটি ম্যাচে জয় দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে মিসবাহ-উল-হকের দল। আর সে কারনেই আফ্রিদী বলতে সাহস পেয়েছেন পাকিস্তান এমন একটি দল যারা বিশ্বের যেকোন দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। আবার যেকোন দলের বিপক্ষে হারতেও পারে। এই ধারা বেশ কয়েক বছর যাবত হয়ে আসছে। কিন্তু সবাই জানে আমাদের দিনে আমরা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে আর মাত্র পাঁচটি উইকেট দখল করতে পারলেই ৪০০ উইকেটের মালিক হবেন আফ্রিদী। আর এই মাইলফলক অতিক্রম করতে পারলে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি একইসাথে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান ও ৪০০ উইকেটের গর্বিত দাবীদার হবেন। কিন্তু তার বর্তমান বোলিং ফর্ম খুবই হতাশাজনক। এবারের বিশ্ব আসরে ছয় ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র দুটি উইকেট।
বিশ্বকাপে দলের সকলের মধ্যে বেশ সমঝোতা আছে এবং টুর্নামেন্টের গুরুত্ব বুঝেই সবাই এক হয়ে খেলার চেষ্টা করছেন বলে আফ্রিদী মন্তব্য করেছেন। ক্যারিয়ার শেষে তার স্থান পূরনে দলের তরুনরা এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদী আফ্রিদী, ‘বিশ্বকাপের পরে অবসরের বিকল্প আমি অন্য কোন কিছুই চিন্তা করিনি। কারন আমার কাছে মনে হয়েছে এখন নতুনদের এগিয়ে আসার পালা। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভাল খেলছে তাদের হাতেই তো পাকিস্তানের ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। তাই সময় হয়েছে নতুনদের সুযোগ দেবার।’
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বিশ্বব্যপী ঝড় তুলেছিলেন এই অল রাউন্ডার। ১৯৯৬ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে কেনিয়ার নাইরোবিতে নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যে রেকর্ড গড়েছিলেন তা অনেকদিন পর্যন্ত কেউ ভাঙ্গতে পারেনি। ২০১৪ সালে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে সেই রেকর্ড ভাঙ্গেন নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কোরি এ্যান্ডারসন। আর তার সেই রেকর্ড চলতি বছরের জানুয়ারিতে মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরি করে অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স।
আফ্রিদি স্বীকার করেছেন ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করলেও পুরো সময়টা তিনি দারুণ উপভোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের হয়ে ১৯ বছর খেলা চালিয়ে যাওয়া যথেষ্ট। অন্যদের তুলনায় এই সময়ে আমার অনেক ভালো কিংবা মন্দ সময় কাটলেও পাকিস্তানের হয়ে এত দীর্ঘ সময় খেলা চালিয়ে যাবার বিষয়টি আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি। পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলাও অনেক বড় ব্যাপার। ফর্মে থাকা বা না থাকা এখানে বড় বিষয় ছিল না, গুরুত্বপূর্ণ ছিল সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ। এটাই আমার ক্যারিয়ারের অনেক বড় একটি বিষয় ছিল এবং আমি এটা দারুন উপভোগ করেছি।
No comments