সিটি নির্বাচনের তফসিল রাজনৈতিক সঙ্কটকেই আরো জটিল করবে : জামায়াত
ভোটারবিহীন
প্রহসনের নির্বাচনে দখলদার ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবিতে ২০ দলীয় জোটের
ডাকে দেশব্যাপী চলমান অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি সফল করায় নগরবাসীকে অভিনন্দন
জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ
সদস্য ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। বিবৃতিতে
তিনি বলেন, যখন সরকারের অব্যাহত গুম-খুন আর গণগ্রেফতারের কারণে বিরোধীজোটের
নেতা-কর্মীরা বাসায় থাকতেই পারছে না, বিরোধীজোটের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক
মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে তখন প্লেয়িংলেভেল ফিল্ড তৈরী না
করেই ৫ জানুয়ারির সরকারি ফর্মুলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন
নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সরকারের নিয়ন্ত্রিত
নিপীড়কযন্ত্রের ভূমিকা রাখছে।
রাজশাহী ও সিলেটে নিবাচিত মেয়রদের বরখাস্ত করে সরকারদলীয় লোকদের মেয়রের চেয়ারে বসাচ্ছে আর ঢাকা, চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন ইলেকশনের তফসিল ঘোষণা শাসকদলের প্রতি নির্বাচন কমিশনের নির্লজ্জ আজ্ঞাবহের নিকৃষ্ট নমুনা। দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় বিরোধীজোট সমর্থিত বিজয়ী চেয়ারম্যান্যাদের রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত করে যখন জনগণের ভোটাধিকার বিলুপ্ত করা হচ্ছে এমন সময় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটকেই আরো জটিল করবে।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধীজোটের আন্দোলনকে কলুষিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বলেন, সন্ত্রাসীদের জনগণ ভোট দিবে নাকি? ঢাকা বার ও সুপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচনে ভোটাররা কাদের ভোট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কী তা লক্ষ করেননি? জনগণ কাদের ভোট দিবে সেটা দেখার জন্যই শাসকগোষ্ঠীর উচিত এখনি পদত্যাগ করে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া।
তিনি বলেন, গণমানুষের প্রতিবাদী কন্ঠ স্তব্ধ করে দিতে সারাদেশে বিরোধী নেতা-কর্মীদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও গুম করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বর্তমান নিষ্ঠুর শাসকগোষ্ঠী। ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে জোর করে রাষ্ট্রীয় মতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ভালোভাবেই বুঝতে পারছে যে, তাদের পক্ষে কোনো জনসমর্থন নেই, আর তাই তারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণের পাশাপাশি নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য হত্যা, গুম, খুন, অপহরণ, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ এবং গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশে দ্বিতীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। যেকোনো ধরণের অপকর্ম সংঘটন এখন বর্তমান অবৈধ সরকারের অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। অবৈধ মতাসীনদের দ্বারা পরিচালিত গুম খুনের পাশাপাশি চরম দাম্ভিকতা এবং রাষ্ট্র শাসনে জনগণের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন দেশবাসীকে গভীর আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। আর তাই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতেই ২০ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্যাতন উপো করে রাজপথে নেমে এসেছে গণতন্ত্রকামী জনতা। এই অবৈধ-ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারি সরকারের পতনের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্রকামী জনতা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সরকারের পদত্যাগই চলমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ উল্লেখ করে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কট রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। কিন্তু সংকট সমাধানের পথে না গিয়ে একগুয়েমি ও হঠকারিতার যে পথ তারা অবলম্বন করছে তা চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করে তুলেছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে রাস্ট্রিয় শক্তির ব্যবহার কারোই কাম্য নয়। রাজনৈতিক সংকট সমাধান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ নয়। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার অতি-উৎসাহী ভূমিকা এবং সরকারের তাবেদারী মনোভাব এসব বাহিনীর সম্মানকে প্রশ্নের সম্মূখীন করছে। সরকার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই পুলিশ বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। জনমানুষের মনের ভাষা বুঝে এ অবৈধ, অনির্বাচিত সরকারের গদি রক্ষার জন্য জনগণের বুকে গুলি চালানোর অসাংবিধানিক ও অমানবিক পথ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ যা বলে এবং প্রচার চালায় ঠিক তার উল্টোটাই জনগণ বিশ্বাস করে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতির দিকে না যাওয়া পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।
সরকারের তীব্র বাধা, হুমকি-ধমকি, জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেফতার সত্ত্বেও লাগাতার অবরোধ ও হরতাল রাজধানীর মৌচাক, রমনা, পল্লবী, মতিঝিল, বাংলামোটর, মোহাম্মদপুর, শাহজাহানপুর, ডেমরা, কদমতলী, কোতয়ালী, লালবাগসহ বিভিন্ন থানা ও এলাকায় অবরোধ সমর্থনে জামায়াতের কর্মীরা মিছিল, পিকেটিং ও রাজপথ অবরোধ করে। গণতন্ত্র ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসাবে অবরোধ এবং রাজধানীসহ সারাদেশে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত হরতালসহ সব কর্মসূচী সফল করতে তিনি কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, সাংবাদিক, ব্যাংক-বীমার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-ছাত্র, চাকরিজীবি, সাংস্কৃতিকর্মী, আইনজীবীসহ সব পেশা ও শ্রেণীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এসে এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
রাজশাহী ও সিলেটে নিবাচিত মেয়রদের বরখাস্ত করে সরকারদলীয় লোকদের মেয়রের চেয়ারে বসাচ্ছে আর ঢাকা, চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন ইলেকশনের তফসিল ঘোষণা শাসকদলের প্রতি নির্বাচন কমিশনের নির্লজ্জ আজ্ঞাবহের নিকৃষ্ট নমুনা। দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় বিরোধীজোট সমর্থিত বিজয়ী চেয়ারম্যান্যাদের রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত করে যখন জনগণের ভোটাধিকার বিলুপ্ত করা হচ্ছে এমন সময় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটকেই আরো জটিল করবে।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধীজোটের আন্দোলনকে কলুষিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বলেন, সন্ত্রাসীদের জনগণ ভোট দিবে নাকি? ঢাকা বার ও সুপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচনে ভোটাররা কাদের ভোট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কী তা লক্ষ করেননি? জনগণ কাদের ভোট দিবে সেটা দেখার জন্যই শাসকগোষ্ঠীর উচিত এখনি পদত্যাগ করে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া।
তিনি বলেন, গণমানুষের প্রতিবাদী কন্ঠ স্তব্ধ করে দিতে সারাদেশে বিরোধী নেতা-কর্মীদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও গুম করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বর্তমান নিষ্ঠুর শাসকগোষ্ঠী। ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে জোর করে রাষ্ট্রীয় মতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ভালোভাবেই বুঝতে পারছে যে, তাদের পক্ষে কোনো জনসমর্থন নেই, আর তাই তারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণের পাশাপাশি নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য হত্যা, গুম, খুন, অপহরণ, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ এবং গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশে দ্বিতীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। যেকোনো ধরণের অপকর্ম সংঘটন এখন বর্তমান অবৈধ সরকারের অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। অবৈধ মতাসীনদের দ্বারা পরিচালিত গুম খুনের পাশাপাশি চরম দাম্ভিকতা এবং রাষ্ট্র শাসনে জনগণের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন দেশবাসীকে গভীর আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। আর তাই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতেই ২০ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্যাতন উপো করে রাজপথে নেমে এসেছে গণতন্ত্রকামী জনতা। এই অবৈধ-ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারি সরকারের পতনের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্রকামী জনতা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সরকারের পদত্যাগই চলমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ উল্লেখ করে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কট রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। কিন্তু সংকট সমাধানের পথে না গিয়ে একগুয়েমি ও হঠকারিতার যে পথ তারা অবলম্বন করছে তা চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করে তুলেছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে রাস্ট্রিয় শক্তির ব্যবহার কারোই কাম্য নয়। রাজনৈতিক সংকট সমাধান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ নয়। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার অতি-উৎসাহী ভূমিকা এবং সরকারের তাবেদারী মনোভাব এসব বাহিনীর সম্মানকে প্রশ্নের সম্মূখীন করছে। সরকার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই পুলিশ বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। জনমানুষের মনের ভাষা বুঝে এ অবৈধ, অনির্বাচিত সরকারের গদি রক্ষার জন্য জনগণের বুকে গুলি চালানোর অসাংবিধানিক ও অমানবিক পথ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ যা বলে এবং প্রচার চালায় ঠিক তার উল্টোটাই জনগণ বিশ্বাস করে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতির দিকে না যাওয়া পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।
সরকারের তীব্র বাধা, হুমকি-ধমকি, জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেফতার সত্ত্বেও লাগাতার অবরোধ ও হরতাল রাজধানীর মৌচাক, রমনা, পল্লবী, মতিঝিল, বাংলামোটর, মোহাম্মদপুর, শাহজাহানপুর, ডেমরা, কদমতলী, কোতয়ালী, লালবাগসহ বিভিন্ন থানা ও এলাকায় অবরোধ সমর্থনে জামায়াতের কর্মীরা মিছিল, পিকেটিং ও রাজপথ অবরোধ করে। গণতন্ত্র ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসাবে অবরোধ এবং রাজধানীসহ সারাদেশে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত হরতালসহ সব কর্মসূচী সফল করতে তিনি কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, সাংবাদিক, ব্যাংক-বীমার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-ছাত্র, চাকরিজীবি, সাংস্কৃতিকর্মী, আইনজীবীসহ সব পেশা ও শ্রেণীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এসে এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
No comments