মেয়েকে মোটর সাইকেলে বেঁধে স্কুলে নেয়ায় বাবা গ্রেফতার
স্কুলে না যাওয়ায় প্রথমে মেয়ের হাত-পা বাঁধেন বাবা। এরপর তাকে মোটরসাইকেলের সঙ্গে বেঁধে স্কুলে নিয়ে যান তিনি। ছবিটি এক পথচারী তুলেছেন। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে |
ভারতে এক ব্যক্তিকে তার ৮ বছরের মেয়েকে মোটর সাইকেলে বেঁধে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করেছে সেদেশের পুলিশ।
৪০ বছর বয়সী ঐ ব্যক্তি এ কাজ করার সময় পথচারীর তোলা ছবি উত্তর প্রদেশের স্থানীয় সংবাদপত্রে ছাপা হলে পুলিশ তাকে আটক করে। তবে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি।
নিজের মেয়ের সঙ্গে এমন নিষ্ঠুর আচরণ কেন?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানতে চাইলে ঐ ব্যক্তি বলছিলেন, মেয়ের পরীক্ষা আছে, কিন্তু সে স্কুলে যেতে চাইছে না। ভারতে নারী শিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ব্যাপক প্রচারণা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাঝে দেশটির উত্তর প্রদেশে মথুরার একটি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটল। অভিযুক্ত ব্যক্তির দুই ছেলে ও তিনটি মেয়ে রয়েছে। একটি স্বায়ত্তশাসিত স্কুলে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করেন তিনি।
পুলিশ বলছে, ছোট্ট মেয়েটিকে পরীক্ষা দিতে স্কুলে যেতে রাজী করতে চেষ্টা করেছিলেন তার বাবা।
এজন্য শিশুটিকে মিষ্টি এবং উপহারের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু মেয়েটি কোনোভাবেই রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে দড়ি দিয়ে তাকে মোটর সাইকেলের পেছনে বেঁধে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ঐ ব্যক্তি।
তার বিরুদ্ধে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান মথুরার পুলিশ সুপার শৈলেশ পান্ডে।
কৃতকর্মের জন্য একদিন জেলে কাটাতে হলেও ঐ ব্যক্তি মনে করেন, তিনি ঠিকই করেছেন।
‘আমার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে গেলে সে মরে যাবে না। কিন্তু লেখাপড়া না শিখলে সে অবশ্যই মারা যাবে,’ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলছিলেন শিশুটির বাবা।
ভারতে পুরুষ শিক্ষার হার ৮১ শতাংশ হলেও সে তুলনায় নারী শিক্ষার হার ৬৪ শতাংশ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি নারী শিক্ষার হার বাড়াতে অভিভাবকদের সচেতন করতে প্রচারণা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছেন।
তবে এসব প্রচারণায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনও স্কুলে যাওয়ার স্বপ্ন অনেক মেয়ে শিশুর জন্যই অনেক দুরে।
বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে অনেক অভিভাবকই মনে করে থাকেন, তাদের কন্যা সন্তানের শিক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই।
সূত্র : বিবিসি
৪০ বছর বয়সী ঐ ব্যক্তি এ কাজ করার সময় পথচারীর তোলা ছবি উত্তর প্রদেশের স্থানীয় সংবাদপত্রে ছাপা হলে পুলিশ তাকে আটক করে। তবে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি।
নিজের মেয়ের সঙ্গে এমন নিষ্ঠুর আচরণ কেন?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানতে চাইলে ঐ ব্যক্তি বলছিলেন, মেয়ের পরীক্ষা আছে, কিন্তু সে স্কুলে যেতে চাইছে না। ভারতে নারী শিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ব্যাপক প্রচারণা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাঝে দেশটির উত্তর প্রদেশে মথুরার একটি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটল। অভিযুক্ত ব্যক্তির দুই ছেলে ও তিনটি মেয়ে রয়েছে। একটি স্বায়ত্তশাসিত স্কুলে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করেন তিনি।
পুলিশ বলছে, ছোট্ট মেয়েটিকে পরীক্ষা দিতে স্কুলে যেতে রাজী করতে চেষ্টা করেছিলেন তার বাবা।
এজন্য শিশুটিকে মিষ্টি এবং উপহারের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু মেয়েটি কোনোভাবেই রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে দড়ি দিয়ে তাকে মোটর সাইকেলের পেছনে বেঁধে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ঐ ব্যক্তি।
তার বিরুদ্ধে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান মথুরার পুলিশ সুপার শৈলেশ পান্ডে।
কৃতকর্মের জন্য একদিন জেলে কাটাতে হলেও ঐ ব্যক্তি মনে করেন, তিনি ঠিকই করেছেন।
‘আমার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে গেলে সে মরে যাবে না। কিন্তু লেখাপড়া না শিখলে সে অবশ্যই মারা যাবে,’ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলছিলেন শিশুটির বাবা।
ভারতে পুরুষ শিক্ষার হার ৮১ শতাংশ হলেও সে তুলনায় নারী শিক্ষার হার ৬৪ শতাংশ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি নারী শিক্ষার হার বাড়াতে অভিভাবকদের সচেতন করতে প্রচারণা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছেন।
তবে এসব প্রচারণায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনও স্কুলে যাওয়ার স্বপ্ন অনেক মেয়ে শিশুর জন্যই অনেক দুরে।
বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে অনেক অভিভাবকই মনে করে থাকেন, তাদের কন্যা সন্তানের শিক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই।
সূত্র : বিবিসি
No comments