'গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সমতা চাই' -মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যাশা
'জনগণের
ভাগ্যোন্নয়নে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সমতা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু গণতন্ত্র
দিয়ে জনগণের মুক্তি আসবে না। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক সমতা নিশ্চিত করাও জরুরি।
তবে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে অবশ্যই জনগণের মত প্রকাশ ও
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা এজন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম;
এটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।' বলছিলেন ডেইলি নিউ এজ এবং উইকলি হলিডের প্রকাশক
মুক্তিযোদ্ধা এএসএম শহীদুল্লাহ খান বাদল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর
খালেদ মোশারফের নেতৃত্বাধীন ২ নম্বর সেক্টরে গেরিলা ও সম্মুখসমরে সশস্ত্র
যুদ্ধ করেছিলেন তিনি।
এএসএম শহীদুল্লাহ খান বাদল একাত্তরে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক। তিনি স্বাধীনতার আগে (১৯৬৯-১৯৭০) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদেরও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শহীদুল্লাহ খান বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম। সেই কালরাতের পর নিজ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আমার বন্ধু বদিউল আলম বদি সরকারি দল করত, সে সকালে এসে আমাকে বলল, 'অনেক হয়েছে, চল এইবার যুদ্ধে যাই।' তারপর আমরা চারজন_ আমি, বদি, আসফাকুস সামাদ (শহীদ) ও মাসুদ ওমর (প্রয়াত) ঢাকা থেকে বেরিয়ে কিশোরগঞ্জে যাই। আমাদের মনে হচ্ছিল কোথাও না কোথাও যুদ্ধ হচ্ছে। তখন দেখি কে এম সফিউল্লাহ (স্বাধীন দেশের প্রথম সেনাবাহিনী প্রধান) একটি দল নিয়ে একই পথে যাচ্ছেন। তাকে পেয়ে আমরা বলি 'আমরা যুদ্ধ করতে চাই, প্রয়োজনে আমরা আপনাদের বোঝা বইব, তার পরও আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব।' তখন সফিউল্লাহ সাহেব আমাদের চারটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও ২৫টির মতো গ্রেনেড দিয়ে ঢাকায় তিন দিনের প্রশিক্ষণে পাঠান। আমরা এপ্রিলের ২ তারিখ ঢাকায় এসে পেঁৗছলাম। আমার ধারণা, আমরাই প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দল যারা অস্ত্র নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করেছিলাম। আমাদের বাহিনীতে আরও ছিলেন কর্নেল হায়দার, বর্তমানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাদেক হোসেন খোকা, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি, ফতেহ আলী চৌধুরী, হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক প্রমুখ। প্রশিক্ষণের পর আমরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে ২ নম্বর সেক্টরে ঢাকার গ্রিন রোড, ধানমণ্ডি, শাহবাগ, সাভার, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ডিপোর সামনে গেরিলা ও সশস্ত্র যুদ্ধ করেছিলাম। এভাবে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করলে দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যাশা বলতে গিয়ে শহীদুল্লাহ খান বাদল আরও বলেন, 'বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা শুভ লক্ষণ। তবে এই অগ্রযাত্রায় তরুণ সম্প্রদায়কে আরও বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে তাদেরকে গণতন্ত্র ও অথনৈতিক সমতা নিশ্চিত করে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।'
এএসএম শহীদুল্লাহ খান বাদল একাত্তরে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক। তিনি স্বাধীনতার আগে (১৯৬৯-১৯৭০) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদেরও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শহীদুল্লাহ খান বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম। সেই কালরাতের পর নিজ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আমার বন্ধু বদিউল আলম বদি সরকারি দল করত, সে সকালে এসে আমাকে বলল, 'অনেক হয়েছে, চল এইবার যুদ্ধে যাই।' তারপর আমরা চারজন_ আমি, বদি, আসফাকুস সামাদ (শহীদ) ও মাসুদ ওমর (প্রয়াত) ঢাকা থেকে বেরিয়ে কিশোরগঞ্জে যাই। আমাদের মনে হচ্ছিল কোথাও না কোথাও যুদ্ধ হচ্ছে। তখন দেখি কে এম সফিউল্লাহ (স্বাধীন দেশের প্রথম সেনাবাহিনী প্রধান) একটি দল নিয়ে একই পথে যাচ্ছেন। তাকে পেয়ে আমরা বলি 'আমরা যুদ্ধ করতে চাই, প্রয়োজনে আমরা আপনাদের বোঝা বইব, তার পরও আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব।' তখন সফিউল্লাহ সাহেব আমাদের চারটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও ২৫টির মতো গ্রেনেড দিয়ে ঢাকায় তিন দিনের প্রশিক্ষণে পাঠান। আমরা এপ্রিলের ২ তারিখ ঢাকায় এসে পেঁৗছলাম। আমার ধারণা, আমরাই প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দল যারা অস্ত্র নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করেছিলাম। আমাদের বাহিনীতে আরও ছিলেন কর্নেল হায়দার, বর্তমানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাদেক হোসেন খোকা, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি, ফতেহ আলী চৌধুরী, হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক প্রমুখ। প্রশিক্ষণের পর আমরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে ২ নম্বর সেক্টরে ঢাকার গ্রিন রোড, ধানমণ্ডি, শাহবাগ, সাভার, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ডিপোর সামনে গেরিলা ও সশস্ত্র যুদ্ধ করেছিলাম। এভাবে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করলে দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যাশা বলতে গিয়ে শহীদুল্লাহ খান বাদল আরও বলেন, 'বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা শুভ লক্ষণ। তবে এই অগ্রযাত্রায় তরুণ সম্প্রদায়কে আরও বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে তাদেরকে গণতন্ত্র ও অথনৈতিক সমতা নিশ্চিত করে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।'
No comments