সালাহউদ্দিন নিখোঁজ: ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত
গতকাল
জাতিসংঘের নিয়মিত সংবাদ-সম্মেলনে উঠে এলো বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। জাতিসংঘ
মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হকের কাছে প্রশ্ন রাখেন বাংলাদেশী সাংবাদিক
মুশফিকুল ফজল আনসারী। সম্প্রতি বিএনপি’র মুখপাত্র ও যুগ্ম-মহাসচিব
সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজের বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান
তিনি। অবশ্য, জাতিসংঘের কাছে নতুন কোন তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র।
তবে সব রাজনৈতিক দলের সংলাপে অংশ নেয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করেন
মুখপাত্র। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মতপ্রকাশ ও সভা-সমাবেশের অধিকার ও
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন ফারহান হক।
জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ অংশটুকু এখানে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আপনাকে ধন্যবাদ, ফারহান। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক এক প্রতিমন্ত্রী এবং বিরোধী দলের (বিএনপি) মুখপাত্রকে (সালাহউদ্দিন আহমেদ) অপহরণ করেছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। তার পরিবার দাবি করছে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অপহরণ করেছে তাকে। কিন্তু, সরকার তা অস্বীকার করছে। আজ ৮ দিন পার হচ্ছে। কিন্তু, কেউ জানেন না তিনি কোথায় আছেন। সব জায়গায় এটা চলছে। এ ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ কি? জাতিসংঘ এ বিষয়ে কোন কিছু করছে কি?
মুখপাত্র: সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার আলোচনা করেছি আমরা। বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘের উদ্বেগ ও সংগঠনটির প্রচেষ্টার ব্যাপারে স্টিফেন (স্টিফেন ডুজাররিক) ও আমি কি বলেছি, তা আপনি জানেন। আজ তার সঙ্গে যোগ করার মতো আর নতুন কোন তথ্য নেই আমার কাছে। তবে আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করছি, তার সঙ্গে আপনার উল্লেখিত উদ্বেগের বিষয়টি সঙ্গতিপূর্ণ। সব পক্ষের সংলাপে অংশ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা এবং কর্তৃপক্ষের প্রতি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের সুযোগ করে দেয়ার বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। এ পয়েন্টগুলোতে কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছি আমরা। অবশ্যই এ বিষয়গুলো লঙ্ঘনের ব্যাপারে আমরা দৃষ্টি রাখবো।
প্রশ্ন: আপনাকে ধন্যবাদ, ফারহান। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক এক প্রতিমন্ত্রী এবং বিরোধী দলের (বিএনপি) মুখপাত্রকে (সালাহউদ্দিন আহমেদ) অপহরণ করেছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। তার পরিবার দাবি করছে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অপহরণ করেছে তাকে। কিন্তু, সরকার তা অস্বীকার করছে। আজ ৮ দিন পার হচ্ছে। কিন্তু, কেউ জানেন না তিনি কোথায় আছেন। সব জায়গায় এটা চলছে। এ ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ কি? জাতিসংঘ এ বিষয়ে কোন কিছু করছে কি?
মুখপাত্র: সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার আলোচনা করেছি আমরা। বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘের উদ্বেগ ও সংগঠনটির প্রচেষ্টার ব্যাপারে স্টিফেন (স্টিফেন ডুজাররিক) ও আমি কি বলেছি, তা আপনি জানেন। আজ তার সঙ্গে যোগ করার মতো আর নতুন কোন তথ্য নেই আমার কাছে। তবে আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করছি, তার সঙ্গে আপনার উল্লেখিত উদ্বেগের বিষয়টি সঙ্গতিপূর্ণ। সব পক্ষের সংলাপে অংশ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা এবং কর্তৃপক্ষের প্রতি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের সুযোগ করে দেয়ার বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। এ পয়েন্টগুলোতে কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছি আমরা। অবশ্যই এ বিষয়গুলো লঙ্ঘনের ব্যাপারে আমরা দৃষ্টি রাখবো।
No comments