সিলেটে যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে ধুম্রজাল : দরজায় গুলির দাগ, মাটিতে ছোপ ছোপ রক্ত
সিলেট
নগরীর দুটি স্থানে র্যাব ও যৌথবাহিনী পরিচয়ে অভিযান ও ‘গোলাগুলি’র ঘটনা
নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থানে গুলাগুলির পাশাপাশি আটকের ঘটনা
ঘটলেও অস্বীকার করছে যৌথবাহিন। নগরীর চৌকিদেখী ও ঘাসিটুলায় গুলিবর্ষনের
ঘটনা ও চারজনকে আটক করে নিয়ে যেতে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন। ঘাসিটুলার একটি
বাসার দরজায় গুলির দাগ, চৌকিদেখীতে মাটিতে আহত এক ব্যক্তির শরীর থেকে ঝরা
ছোপ ছোপ রক্তের দাগও পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমানের ঘাসিটুলার বাসায় যৌথবাহিনী পরিচয়ে অভিযান চালায় একটি বিশেষ দল। তারা বাসায় ঢুকার সময় পর পর ৮ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে স্টিলের দরজায়। বাসা তল্লাশি করে সাইদকে না পেয়ে তারা চলে যায়। সাইদুর রহমানের মেয়ে মণু বেগম জানান, বাবার খোঁজে তারা গুলি করে বাসায় ঢুকে। তল্লাশি করার নামে বাসা তছনছ করে। যাওয়ার সময় রান্না ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্টিলের দরজায় ৮ রাউন্ড গুলির দাগ। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করছে পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, এ ধরনের ঘটনা সঠিক নয়। এটা তারা নিজেরা গুলি করে যৌথবাহিনীর ইমেজ নষ্ট করার জন্য করতে পারে।
বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানের মেয়ে মনু বেগম ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা আমাদের বাসায় এসে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করে। এ সময় তারা উগ্র আচরণ শুরু করে। ঘরের মধ্যে ছিলো আমার দুই চাচাতো ভাই ও আমরা দুই বোন এবং বাসার ছোট সদস্যরা। তারা কোন ধরনের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। যৌথবাহিনীর সদস্যরা এ সময় চিৎকার করে গালিগালাজ করতে থাকে। দরজা না খুললে গুলি করার হুমকি দেয়। আমরা তাদের কাছে আকুতি করে বলিÑ‘আমাদের ঘরে রাজনীতি করে এমন কেউ নেই’। কিন্তু তাঁরা এরপরই দরজার উপর একেরপর এক গুলি করে। বিকট শব্দে ষ্টিলের দরজার উপর গুলি লাগে। এতে বাসার মহিলা ও শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করেন। যৌথবাহিনী সদস্যরা বাড়ির সব জানালায় লাথি মারতে থাকে। ভয়ার্ত এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এক সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা রান্নাঘরের জানালা ভেঙ্গে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে পড়ে। বাসার মহিলাদের হুমকি-ধামকি দেয়। ঘরের ভেতর তন্নতন্ন করে খুজেও কিছু পায়নি তাঁরা। যাওয়ার সময় আমার চাচাতো ভাই রমজান আলীকে আটক করে নিয়ে যায়।’
এদিকে অভিযানে গুলি চালানো সম্পর্কে কোতোওয়ালী থানার ওসি বলেন, ওই বাসা থেকে আটক হওয়া রমজানের বিরুদ্ধে মামলা আছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চলমান মামলাগুলোতে সেও আসামী। বাসার দরজার উপর ৮ রাউন্ড গুলির কথা অস্বীকার করেন ওসি আসাদুজ্জামান । তিনি বলেন, ‘ওই বাসায় ১ রাউন্ড গুলিও হয়নি। ৮ রাউন্ড তো দূরের কথা। ওই খানে কোন গুলিটুলিই হয়নি।’
এদিকে, অভিযানকালে গুলির ও বাসার দরজা জানালা ভাঙ্গা সম্পর্কে এসএমপির মিডিয়া অফিসার এডিসি রহমত উল্যাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারো বাসার ঢুকতে চাইলে অবশ্যই তাকে দরজা খোলে সহযোগিতা করতে হবে। আর যদি দরজা না খোলা হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বল প্রয়োগ করে বাসায় ঢুকতে পারবে। এটা আইনে আছে।
এদিকে, বুধবার রাতে ১০টার দিকে নগরীর চৌকিদেখির রঙধনু ৪ নম্বর বাসার পাশে গুলির শব্দ শোনেন এলাকাবাসী। ওই সময় স্থানীয়রা দেখেন, র্যাবের পোশাক পরা একটি দল গুলিবিদ্ধ একজনসহ তিনজনকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। অভিযান সম্পর্কে তারা জানতে চাইলে বলা হয়, ঢাকা থেকে র্যাবের একটি টিম এখানকার একটি ছিনতাইকারী গ্রুপকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ঘটনাস্থলে মাটিতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখেছেন এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি পিলারে এক রাউন্ড গুলির দাগ। রঙধনু ৪ নম্বর বাসার গ্যাস লাইনের রাইজারে গুলিটি লাগলে তাতে আগুনও ধরে যায়। বাসার মালিক জুবেন আহমদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, গুলির শব্দ পেয়ে কিছু সময় পর আমি বাসা থেকে বের হই। গ্যাস রাইজারে আগুন লাগলে তা নিভাই। এই ঘটনাটি অস্বীকার করেছে পুলিশ ও র্যাব-৯। র্যাবের এএসপি (মিডিয়া) জালাল উদ্দিন জানান, এ ধরনের ঘটনা তার জানা নেই। গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, র্যাব-পুলিশ-বিজিবি নগরীতে টহল দিচ্ছে। তালিকাভুক্ত আসামি ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। জামায়াত-শিবিরের নেতাদের ধরতে যৌথবাহিনী মাঠে কাজ করছে। তবে, সিলেটের কোথাও এখনো গুলি করে যৌথবাহিনী আসামি ধরেনি। বিএনপি-জামায়াত নিজে গুলি করে যৌথবাহিনীর ওপর দোষ চাপাতে পারে।
চৌকিদেখীর গুলির ঘটনা সম্পর্কে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, গুলি ছোঁড়ার ঘটনা আমি শুনেছি। তবে, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমানের ঘাসিটুলার বাসায় যৌথবাহিনী পরিচয়ে অভিযান চালায় একটি বিশেষ দল। তারা বাসায় ঢুকার সময় পর পর ৮ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে স্টিলের দরজায়। বাসা তল্লাশি করে সাইদকে না পেয়ে তারা চলে যায়। সাইদুর রহমানের মেয়ে মণু বেগম জানান, বাবার খোঁজে তারা গুলি করে বাসায় ঢুকে। তল্লাশি করার নামে বাসা তছনছ করে। যাওয়ার সময় রান্না ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্টিলের দরজায় ৮ রাউন্ড গুলির দাগ। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করছে পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, এ ধরনের ঘটনা সঠিক নয়। এটা তারা নিজেরা গুলি করে যৌথবাহিনীর ইমেজ নষ্ট করার জন্য করতে পারে।
বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানের মেয়ে মনু বেগম ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা আমাদের বাসায় এসে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করে। এ সময় তারা উগ্র আচরণ শুরু করে। ঘরের মধ্যে ছিলো আমার দুই চাচাতো ভাই ও আমরা দুই বোন এবং বাসার ছোট সদস্যরা। তারা কোন ধরনের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। যৌথবাহিনীর সদস্যরা এ সময় চিৎকার করে গালিগালাজ করতে থাকে। দরজা না খুললে গুলি করার হুমকি দেয়। আমরা তাদের কাছে আকুতি করে বলিÑ‘আমাদের ঘরে রাজনীতি করে এমন কেউ নেই’। কিন্তু তাঁরা এরপরই দরজার উপর একেরপর এক গুলি করে। বিকট শব্দে ষ্টিলের দরজার উপর গুলি লাগে। এতে বাসার মহিলা ও শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করেন। যৌথবাহিনী সদস্যরা বাড়ির সব জানালায় লাথি মারতে থাকে। ভয়ার্ত এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এক সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা রান্নাঘরের জানালা ভেঙ্গে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে পড়ে। বাসার মহিলাদের হুমকি-ধামকি দেয়। ঘরের ভেতর তন্নতন্ন করে খুজেও কিছু পায়নি তাঁরা। যাওয়ার সময় আমার চাচাতো ভাই রমজান আলীকে আটক করে নিয়ে যায়।’
এদিকে অভিযানে গুলি চালানো সম্পর্কে কোতোওয়ালী থানার ওসি বলেন, ওই বাসা থেকে আটক হওয়া রমজানের বিরুদ্ধে মামলা আছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চলমান মামলাগুলোতে সেও আসামী। বাসার দরজার উপর ৮ রাউন্ড গুলির কথা অস্বীকার করেন ওসি আসাদুজ্জামান । তিনি বলেন, ‘ওই বাসায় ১ রাউন্ড গুলিও হয়নি। ৮ রাউন্ড তো দূরের কথা। ওই খানে কোন গুলিটুলিই হয়নি।’
এদিকে, অভিযানকালে গুলির ও বাসার দরজা জানালা ভাঙ্গা সম্পর্কে এসএমপির মিডিয়া অফিসার এডিসি রহমত উল্যাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারো বাসার ঢুকতে চাইলে অবশ্যই তাকে দরজা খোলে সহযোগিতা করতে হবে। আর যদি দরজা না খোলা হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বল প্রয়োগ করে বাসায় ঢুকতে পারবে। এটা আইনে আছে।
এদিকে, বুধবার রাতে ১০টার দিকে নগরীর চৌকিদেখির রঙধনু ৪ নম্বর বাসার পাশে গুলির শব্দ শোনেন এলাকাবাসী। ওই সময় স্থানীয়রা দেখেন, র্যাবের পোশাক পরা একটি দল গুলিবিদ্ধ একজনসহ তিনজনকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। অভিযান সম্পর্কে তারা জানতে চাইলে বলা হয়, ঢাকা থেকে র্যাবের একটি টিম এখানকার একটি ছিনতাইকারী গ্রুপকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ঘটনাস্থলে মাটিতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখেছেন এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি পিলারে এক রাউন্ড গুলির দাগ। রঙধনু ৪ নম্বর বাসার গ্যাস লাইনের রাইজারে গুলিটি লাগলে তাতে আগুনও ধরে যায়। বাসার মালিক জুবেন আহমদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, গুলির শব্দ পেয়ে কিছু সময় পর আমি বাসা থেকে বের হই। গ্যাস রাইজারে আগুন লাগলে তা নিভাই। এই ঘটনাটি অস্বীকার করেছে পুলিশ ও র্যাব-৯। র্যাবের এএসপি (মিডিয়া) জালাল উদ্দিন জানান, এ ধরনের ঘটনা তার জানা নেই। গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, র্যাব-পুলিশ-বিজিবি নগরীতে টহল দিচ্ছে। তালিকাভুক্ত আসামি ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। জামায়াত-শিবিরের নেতাদের ধরতে যৌথবাহিনী মাঠে কাজ করছে। তবে, সিলেটের কোথাও এখনো গুলি করে যৌথবাহিনী আসামি ধরেনি। বিএনপি-জামায়াত নিজে গুলি করে যৌথবাহিনীর ওপর দোষ চাপাতে পারে।
চৌকিদেখীর গুলির ঘটনা সম্পর্কে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, গুলি ছোঁড়ার ঘটনা আমি শুনেছি। তবে, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই।
No comments