খাসিয়াপুঞ্জির বাসিন্দাদের ক্ষোভ- দুই সহস্রাধিক গাছ কাটার প্রস্তুতি by কল্যাণ প্রসূন
(ঝিমাই খাসিয়াপুঞ্জে কাটার জন্য লাল কালি দিয়ে গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে l ছবি: প্রথম আলো) মৌলভীবাজারের
কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই খাসিয়াপুঞ্জি (গ্রাম) থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দুই
সহস্রাধিক গাছ কেটে ফেলার প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় ঝিমাই চা-বাগান
কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক কোটি টাকায় এসব গাছ এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে ইতিমধ্যে
বিক্রিও করা হয়েছে। গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন
(বাপা) ও স্থানীয় আদিবাসীদের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার কুলাউড়া উপজেলা সদরে
মানববন্ধন হয়েছে। মানববন্ধনে বাপা সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম
বলেন, ‘ঝিমাইপুঞ্জিতে গিয়েছি। সেখানে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের পরিকল্পনা
চলছে। একই সঙ্গে আদিবাসী খাসিয়াদের উচ্ছেদেরও পরিকল্পনা চলছে। এ অবস্থায়
অবিলম্বে গাছ কাটার অনুমোদন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন
কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
ঝিমাই চা-বাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চা-বাগানের নামে সরকারের কাছ থেকে ৬৮৬ একর জায়গা ইজারা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ একর জায়গায় চা চাষ হচ্ছে। চা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাগানের ইজারাভুক্ত জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পরিপক্ব দুই হাজার ৯৬টি গাছ কাটতে বাগান কর্তৃপক্ষ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। সম্প্রতি গাছ কাটার অনুমোদন পায় তারা। এসব গাছ প্রায় এক কোটি টাকায় শ্রীমঙ্গলের কাঠ ব্যবসায়ী মো. শাহনেওয়াজের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
ঝিমাইপুঞ্জি এলাকার লোকজন জানান, তাঁদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ৭২টি আদিবাসী খাসিয়া পরিবার বসবাস করছে। পান চাষ করে তাঁদের জীবিকা চলে। সাত-আট দিন আগে বন বিভাগ ও চা-বাগানের লোকজন পান জুমে (পান চাষ এলাকা) ঢুকে কাটার জন্য বেশ কিছু গাছে চিহ্ন দিয়ে যান। গত বুধবার চা-বাগানের লোকজন জুমে ঢুকে ৩০-৪০টি পানগাছের গোড়া কেটে ফেলেন। এ সময় তাঁরা গাছ পাহারার জন্য দুটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণেরও চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে আদিবাসীরা সেখানে ছুটে গিয়ে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
গত বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ঝিমাইপুঞ্জির জুমের ভেতর কড়ই, চাপালিশ, জাম, সুন্দি, বনাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু গাছে লাল কালিতে নম্বর দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ গাছের গোড়া থেকে পানগাছ লতিয়ে ওপরের দিকে উঠেছে। গাছ থেকে আদিবাসীরা পান সংগ্রহ করছেন। পান সংগ্রহে ব্যস্ত পুঞ্জির বাসিন্দা ফ্রাংকসনি খাসিয়া বলেন, ‘চা-বাগান আমরারে তাড়াই দিতে চায়। পান না থাকলে আমরা কী করি খাইমু-বাঁচমু।’
পুঞ্জির মন্ত্রী (প্রধান) রানা সুরং ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা তাঁকে থানায় ডেকে নিয়ে জুমে অস্থায়ী ঘর নির্মাণে বাধা না দিতে বলেন। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ অবস্থায় তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। ঝিমাই চা-বাগানের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, খাসিয়ারা বাগানের ইজারাভুক্ত জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। চা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, চা চাষ সম্প্রসারণে ইজারাভুক্ত জায়গা থেকে পরিপক্ব গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চা চাষ সম্প্রসারণ না করলে চা বোর্ড বাগানকে জরিমানা করবে। তবে আদিবাসী খাসিয়া ও গারোদের আন্তপুঞ্জি সংগঠন ‘কুবরাজ’-এর সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলি তালাং বলেন, আদিবাসীরা পাহাড়েই থাকেন। ভূমির মালিকানা তাঁদের ঐতিহ্যগত অধিকার।
বন বিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রভাত কুসুম আচার্য বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার অনুমোদন পেয়েছে। রাজস্ব আদায়ের পর গাছ কাটার কাজ শুরু হবে। কুলাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, বিষয়টি মিটমাটের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঝিমাই চা-বাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চা-বাগানের নামে সরকারের কাছ থেকে ৬৮৬ একর জায়গা ইজারা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ একর জায়গায় চা চাষ হচ্ছে। চা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাগানের ইজারাভুক্ত জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পরিপক্ব দুই হাজার ৯৬টি গাছ কাটতে বাগান কর্তৃপক্ষ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। সম্প্রতি গাছ কাটার অনুমোদন পায় তারা। এসব গাছ প্রায় এক কোটি টাকায় শ্রীমঙ্গলের কাঠ ব্যবসায়ী মো. শাহনেওয়াজের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
ঝিমাইপুঞ্জি এলাকার লোকজন জানান, তাঁদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ৭২টি আদিবাসী খাসিয়া পরিবার বসবাস করছে। পান চাষ করে তাঁদের জীবিকা চলে। সাত-আট দিন আগে বন বিভাগ ও চা-বাগানের লোকজন পান জুমে (পান চাষ এলাকা) ঢুকে কাটার জন্য বেশ কিছু গাছে চিহ্ন দিয়ে যান। গত বুধবার চা-বাগানের লোকজন জুমে ঢুকে ৩০-৪০টি পানগাছের গোড়া কেটে ফেলেন। এ সময় তাঁরা গাছ পাহারার জন্য দুটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণেরও চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে আদিবাসীরা সেখানে ছুটে গিয়ে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
গত বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ঝিমাইপুঞ্জির জুমের ভেতর কড়ই, চাপালিশ, জাম, সুন্দি, বনাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু গাছে লাল কালিতে নম্বর দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ গাছের গোড়া থেকে পানগাছ লতিয়ে ওপরের দিকে উঠেছে। গাছ থেকে আদিবাসীরা পান সংগ্রহ করছেন। পান সংগ্রহে ব্যস্ত পুঞ্জির বাসিন্দা ফ্রাংকসনি খাসিয়া বলেন, ‘চা-বাগান আমরারে তাড়াই দিতে চায়। পান না থাকলে আমরা কী করি খাইমু-বাঁচমু।’
পুঞ্জির মন্ত্রী (প্রধান) রানা সুরং ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা তাঁকে থানায় ডেকে নিয়ে জুমে অস্থায়ী ঘর নির্মাণে বাধা না দিতে বলেন। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ অবস্থায় তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। ঝিমাই চা-বাগানের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, খাসিয়ারা বাগানের ইজারাভুক্ত জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। চা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, চা চাষ সম্প্রসারণে ইজারাভুক্ত জায়গা থেকে পরিপক্ব গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চা চাষ সম্প্রসারণ না করলে চা বোর্ড বাগানকে জরিমানা করবে। তবে আদিবাসী খাসিয়া ও গারোদের আন্তপুঞ্জি সংগঠন ‘কুবরাজ’-এর সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলি তালাং বলেন, আদিবাসীরা পাহাড়েই থাকেন। ভূমির মালিকানা তাঁদের ঐতিহ্যগত অধিকার।
বন বিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রভাত কুসুম আচার্য বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার অনুমোদন পেয়েছে। রাজস্ব আদায়ের পর গাছ কাটার কাজ শুরু হবে। কুলাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, বিষয়টি মিটমাটের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
No comments