‘সঙ্কট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা চালাচ্ছি’ -খালেদার কার্যালয়ে ড. কামাল, মান্না ও মনসুরের বৈঠক
রাজনৈতিক
অচলাবস্থার মধ্যে বিরোধী জোটনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
সঙ্গে বৈঠক করেছেন জোটের বাইরের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা। গতকাল রাতে গণফোরাম
সভাপতি ড. কামাল হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদসহ তারা
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে যান। তারা প্রায় আধঘণ্টা সেখানে অবস্থান
করেন। বৈঠকের পর নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতেই তারা
সেখানে যান। তবে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, নেতারা সমবেদনা প্রকাশের পাশাপাশি
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৈঠকে খালেদা জিয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে তার দল ও জোটের অবস্থান তুলে ধরেন।
বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চাই দেশে সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল অবস্থা ফিরে আসুক। দেশের ১৬ কোটি মানুষও এটাই চায়। তাই আমরা চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেকে আছেন। বিরোধী জোটের চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে গণফোরাম ও নাগরিক ঐক্য একাত্মতা জানিয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক আলোচনা করতে আসি নি। তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে শোক জানাতে এসেছিলাম। আলোচনার কোন উদ্যোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘হ্যাঁ আলোচনার উদ্যোগ আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দুই জোটের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে তৃতীয় রাজনৈতিক জোট গড়ার চেষ্টা করে আসছেন ড. কামাল হোসেনসহ সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রধানরা। এ উদ্যোগে মাহমুদুর রহমান মান্নাও রয়েছেন। সম্প্রতি বিরোধী জোটের টানা কর্মসূচির এবং সরকারের দমন-পীড়নে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টাও করছেন তারা। সমঝোতার দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে অনুমতি পাননি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সুলতান মনসুরও তৃতীয় রাজনৈতিক জোটের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আছেন। সম্প্রতি গণফোরাম, নাগরিক ঐক্যসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতেও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওম শফিকুল্লাহ। নেতারা ওই কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে রাখা শোকবইতেও স্বাক্ষর করেন। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক গিয়াস কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চাই দেশে সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল অবস্থা ফিরে আসুক। দেশের ১৬ কোটি মানুষও এটাই চায়। তাই আমরা চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেকে আছেন। বিরোধী জোটের চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে গণফোরাম ও নাগরিক ঐক্য একাত্মতা জানিয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক আলোচনা করতে আসি নি। তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে শোক জানাতে এসেছিলাম। আলোচনার কোন উদ্যোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘হ্যাঁ আলোচনার উদ্যোগ আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দুই জোটের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে তৃতীয় রাজনৈতিক জোট গড়ার চেষ্টা করে আসছেন ড. কামাল হোসেনসহ সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রধানরা। এ উদ্যোগে মাহমুদুর রহমান মান্নাও রয়েছেন। সম্প্রতি বিরোধী জোটের টানা কর্মসূচির এবং সরকারের দমন-পীড়নে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টাও করছেন তারা। সমঝোতার দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে অনুমতি পাননি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সুলতান মনসুরও তৃতীয় রাজনৈতিক জোটের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আছেন। সম্প্রতি গণফোরাম, নাগরিক ঐক্যসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতেও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওম শফিকুল্লাহ। নেতারা ওই কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে রাখা শোকবইতেও স্বাক্ষর করেন। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক গিয়াস কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
No comments