বল প্রয়োগ নয়, সংলাপই পরিত্রাণের পথ- বিএফইউজে ও ডিইউজের সংবাদ সম্মেলন
এমন
ঘোর সঙ্কট জাতির জীবনে আর কখনো আসেনি উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন,
বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়েই সমাধান করতে হবে। বল
প্রয়োগ নয়, সংলাপই পরিত্রাণের পথ হতে পারে।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা একথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বিএফইউজে মহাসচিব এম এ আজিজ। বক্তব্য রাখেন, ডিইউজে সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাক হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইজের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেরনে বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে এম এ আজিজ বলেন, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কট বর্তমানে তীব্র আকার ধারন করেছে। জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে দেশজুড়ে চলছে অনিদির্ষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি। অবরোধের মধ্যে আবার বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় প্রায় প্রতিদিনই হরতালও হচ্ছে। অবরোধের আজ ২৬ দিন পার হয়েছে। এ সময় রাজনৈতিক সংঘাতে ৪৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে এই রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় এবং দেশের প্রায় সব মহলের সোচ্চার আহবান সত্ত্বেও এ ব্যাপারে সরকার সম্পূর্ণ নীরব। রাজনৈতিক এই সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে সরকার দমন-পীড়ন ও বর্বর আচরণের পথ বেছে নিয়েছে।
এম এ আজিজ বলেন, এভাবে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকার গণমাধ্যমের উপরও চড়াও হচ্ছে। গণমাধ্যমের কন্ঠ স্তব্ধ করার জন্য নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। ভীতি প্রদর্শন ও অলিখিত সেন্সরশিপ প্রয়োগ করে গনমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ হরণ ও সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। চলমান আন্দোলনকে সন্ত্রাসী আন্দোলন হিসেবে একতরফা প্রচারের জন্য গণমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিশেষ জায়গা থেকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ফোন করে সংবাদ প্রচারের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এছাড়া টিভি টকশো নিয়ন্ত্রনের অপচেষ্টাতো চলছেই। এর আগে সরকার ভিন্নমতের মিডিয়া হিসেবে পরিচিত দৈনিক আমার দেশ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বন্ধ করে দেয়। তারা পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে প্রায় দু বছর ধরে জেলে বন্দি করে রেখেছে। সাময়িক নিষেধাজ্ঞার নামে দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামী টেলিভিশন বন্ধ করে রেখেছে। বন্ধ করে রেখেছে চ্যানেল ওয়ান। ভিন্নমত প্রকাশের কারণে ঢাকার বাইরের দু’শতাধিক পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় আজ বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক কর্মচারি বেকার জীবনের দুর্বিষহ অবস্থা মোকাবেলা করছেন।
বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, সরকার সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশের সাংবাদিক সমাজের প্রাণপ্রিয় নেতা, মেধাবী সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে উদ্দেশ্যমূলক মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ন্যাক্কারজনক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এ পর্যন্ত চারটি মামলায় তার নাম জড়ানো হয়েছে। তিনটি যাত্রাবাড়ী থানায় এবং একটি পল্টন থানায়। পেট্রোল বোমা হামলা, আগুন, গাড়ি ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারায় এসব মামলা দেয়া হয়। এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। আমরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের এই নেতা বলেন, সবার অংশগ্রহনমূলক, বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই জাতিকে বর্তমান মহাসঙ্কট থেকে উত্তোরণে সহায়তা করতে পারে। এ ধরনের একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠনমূলক সংলাপই সমাধানের একমাত্র পথ। আমরা আশা করি, সরকার বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দেশের সম্ভাব্য আরো ভয়াবহ পরিণামের কথা অনুধাবন করে আলোচনার পথ উন্মুক্ত করবে।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা একথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বিএফইউজে মহাসচিব এম এ আজিজ। বক্তব্য রাখেন, ডিইউজে সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাক হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইজের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেরনে বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে এম এ আজিজ বলেন, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কট বর্তমানে তীব্র আকার ধারন করেছে। জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে দেশজুড়ে চলছে অনিদির্ষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি। অবরোধের মধ্যে আবার বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় প্রায় প্রতিদিনই হরতালও হচ্ছে। অবরোধের আজ ২৬ দিন পার হয়েছে। এ সময় রাজনৈতিক সংঘাতে ৪৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে এই রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় এবং দেশের প্রায় সব মহলের সোচ্চার আহবান সত্ত্বেও এ ব্যাপারে সরকার সম্পূর্ণ নীরব। রাজনৈতিক এই সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে সরকার দমন-পীড়ন ও বর্বর আচরণের পথ বেছে নিয়েছে।
এম এ আজিজ বলেন, এভাবে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকার গণমাধ্যমের উপরও চড়াও হচ্ছে। গণমাধ্যমের কন্ঠ স্তব্ধ করার জন্য নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। ভীতি প্রদর্শন ও অলিখিত সেন্সরশিপ প্রয়োগ করে গনমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ হরণ ও সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। চলমান আন্দোলনকে সন্ত্রাসী আন্দোলন হিসেবে একতরফা প্রচারের জন্য গণমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিশেষ জায়গা থেকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ফোন করে সংবাদ প্রচারের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এছাড়া টিভি টকশো নিয়ন্ত্রনের অপচেষ্টাতো চলছেই। এর আগে সরকার ভিন্নমতের মিডিয়া হিসেবে পরিচিত দৈনিক আমার দেশ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বন্ধ করে দেয়। তারা পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে প্রায় দু বছর ধরে জেলে বন্দি করে রেখেছে। সাময়িক নিষেধাজ্ঞার নামে দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামী টেলিভিশন বন্ধ করে রেখেছে। বন্ধ করে রেখেছে চ্যানেল ওয়ান। ভিন্নমত প্রকাশের কারণে ঢাকার বাইরের দু’শতাধিক পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় আজ বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক কর্মচারি বেকার জীবনের দুর্বিষহ অবস্থা মোকাবেলা করছেন।
বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, সরকার সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশের সাংবাদিক সমাজের প্রাণপ্রিয় নেতা, মেধাবী সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে উদ্দেশ্যমূলক মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ন্যাক্কারজনক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এ পর্যন্ত চারটি মামলায় তার নাম জড়ানো হয়েছে। তিনটি যাত্রাবাড়ী থানায় এবং একটি পল্টন থানায়। পেট্রোল বোমা হামলা, আগুন, গাড়ি ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারায় এসব মামলা দেয়া হয়। এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। আমরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের এই নেতা বলেন, সবার অংশগ্রহনমূলক, বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই জাতিকে বর্তমান মহাসঙ্কট থেকে উত্তোরণে সহায়তা করতে পারে। এ ধরনের একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠনমূলক সংলাপই সমাধানের একমাত্র পথ। আমরা আশা করি, সরকার বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দেশের সম্ভাব্য আরো ভয়াবহ পরিণামের কথা অনুধাবন করে আলোচনার পথ উন্মুক্ত করবে।
No comments