মাদকের জালে পুলিশ কনস্টেবল
২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন আফসার হোসেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পুলিশের সদস্য হওয়ায় ছিলেন সন্দেহের ঊর্ধ্বে। ২ বছর আগে সবুজবাগ থানায় কনস্টেবলের দায়িত্ব পালন করাকালীন জড়িয়ে পড়েন মাদকের ব্যবসায়। চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্তে পর সংশোধনতো দূরের কথা তিনি আগের চেয়ে আরও বেশি করে মাদকের ব্যবসা শুরু করেন। পরে মাদক বিক্রি ও সেবন করতে গিয়ে আটক হলেন পুলিশের হাতে।
সোমবার রাত পৌনে ১২টায় খিলগাঁও থানাধীন সি ব্লকের ৫২৭, নম্বর বাসায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন ওই বাসা থেকে পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল আফসার হোসেন (৩২), মাদক ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান (৪৫) ও সুমিকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ওই বাসা থেকে ২৪৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মাদক চোরাচালান আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের পুলিশ আদালতে হাজির করলে আদালত সুমিকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। অপর দু’জনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
খিলগাঁও থানা পুলিশ ও মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ‘কনস্টেবল আফসারের ব্যাচ নম্বর ছিল-১৭। প্রায় ২ বছর আগে সবুজবাগ থানায় কনস্টেবল আফসার উদ্দীন দায়িত্ব পালন করাকালীন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। একপর্যায়ের তারা দু’জন মিলে মাদক ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসাও চলছিল রমরমা। আফসার পুলিশের কনস্টেবল হওয়ার কারণে কেউ তাকে সন্দেহ করতো না। কেউ তাকে সন্দেহ করলেও তিনি ম্যানেজ করার ব্যবস্থা করতেন। ২০১২ সালের আগস্ট মাসে রাতের বেলায় ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আফসারকে আটক করে সবুজবাগ থানা পুলিশ। এরপর তার নামে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে ঢাকা মহানগর আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। সাময়িক বরখাস্তও করা হয় তাকে। ওই মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় আছে। বরখাস্ত হওয়ার পরেই তিনি রাজারবাগের পুলিশ লাইনের ২ নম্বর কোম্পানি (ব্যারাকে) থাকতেন। মাঝে মধ্যে খিলগাঁওয়ের বোনের বাসায় থাকতেন। তবে ব্যারাকে বেশি থাকতেন। চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আফসার বিভিন্নজনের কাছে তদবির করেন। কিন্তু, তার নামে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকায় তাকে কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের সুযোগ দেননি। তার সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা ছিল, ‘মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ও তার পুলিশের প্রতি আনুগত্যশীলতা দেখে তাকে আবার আগের পদে পুনর্বহাল করা যেতে পারে। কিন্তু, ঘটলো উল্টোটি।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, ‘সবুজবাগ থানায় কর্মরত থাকাকালীন যখন পুলিশের কনস্টেবল আফসার মাদকের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তখন আবুল কাসেম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আবুল কাসেম তখন মতিঝিলের ব্যাংকের পাশের গলিতে একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। আগে তিনি গাড়ির পার্টসের ব্যবসা করতেন। বাসাটি প্রায় ১ বছর আগে তিনি ছেড়ে দেন। পরে খিলগাঁও সি ব্লকের ৫২৭ নম্বর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে ওঠেন। ওই এলাকায় আবুল কাসেম মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলে। তার ওই এলাকার উঠতি সস্ত্রাসীদের সম্পর্ক আছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।
এদিকে, আফসার পুলিশের কনস্টেবল থেকে বরখাস্ত হওয়ার পরেই তার পুরোনো পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী আবুল কাসেমের যোগসাজসে শুরু করেন আবার মাদক ব্যবসা। আবুল কাসেমের খিলগাঁও বাসায় তিনি যাতায়াত শুরু করেন। ওই বাসায় মাদক বিক্রিসহ মাদকসেবনের আড্ডা বসতো। গত সোমবার রাতের বেলায় আফসার ও তার ব্যবসায়ী সহযোগী আবুল কাসেম ও ফজলুল রহমান ওই বাসায় মাদক ব্যবসার লাভ লোকসানের জন্য একটি বৈঠক করছিলেন। তারা দু’ঘণ্টা আগে একটি মাদক চোরাচালানকারী দলের দুই সদস্য ২৩৯ বোতল ফেনসিডিল তাদের দিয়ে যায়। এসময় ওই বাসায় পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবুল কাসেম সেখান থেকে আগেই চলে যায়।
পরে পুলিশ ফেনসিডিলসহ আফসার, ফজলুল ও আবুল কাসেমের স্ত্রী সুমিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। খিলগাঁওয়ের সি ব্লকের ৫২৭ নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলাটি তালা লাগানো। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ওই বাড়িটির একজন গৃহকর্মী জানান, ‘এক বছর হলো আবুল কাসেম নামে এক ব্যক্তি বাসাটি ভাড়া নেয়। ভাড়া নেয়ার পর সেখানে বিভিন্ন লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যায়। আবুল কাসেমের স্ত্রীর আটককৃত সুমির আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। একটি সন্তানও ছিল। তাকে ভাগিয়ে বিয়ে করে মাদক ব্যবসায়ী আবুল কাসেম। সুমির চালচলন ছিল অন্যরকম। ওই বাসায় খিলগাঁও থানা পুলিশের কয়েক সদস্যের যাতাযাত ছিল। তবে তারা সেখানে সিভিল ড্রেসে আসতো। আটককৃত সুমির গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরলের রবিপুর এলাকায়। ফজলুর রমানের পিতার নাম আবদুল ওদুদ। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার নোয়াগাঁও এলাকায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই এ কে এম শামসুল আলম জানান, ‘ফেনসিডিলসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে হাজির করলে পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল আফসার ও ফজলুরকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সোমবার রাত পৌনে ১২টায় খিলগাঁও থানাধীন সি ব্লকের ৫২৭, নম্বর বাসায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন ওই বাসা থেকে পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল আফসার হোসেন (৩২), মাদক ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান (৪৫) ও সুমিকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ওই বাসা থেকে ২৪৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মাদক চোরাচালান আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের পুলিশ আদালতে হাজির করলে আদালত সুমিকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। অপর দু’জনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
খিলগাঁও থানা পুলিশ ও মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ‘কনস্টেবল আফসারের ব্যাচ নম্বর ছিল-১৭। প্রায় ২ বছর আগে সবুজবাগ থানায় কনস্টেবল আফসার উদ্দীন দায়িত্ব পালন করাকালীন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। একপর্যায়ের তারা দু’জন মিলে মাদক ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসাও চলছিল রমরমা। আফসার পুলিশের কনস্টেবল হওয়ার কারণে কেউ তাকে সন্দেহ করতো না। কেউ তাকে সন্দেহ করলেও তিনি ম্যানেজ করার ব্যবস্থা করতেন। ২০১২ সালের আগস্ট মাসে রাতের বেলায় ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আফসারকে আটক করে সবুজবাগ থানা পুলিশ। এরপর তার নামে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে ঢাকা মহানগর আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। সাময়িক বরখাস্তও করা হয় তাকে। ওই মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় আছে। বরখাস্ত হওয়ার পরেই তিনি রাজারবাগের পুলিশ লাইনের ২ নম্বর কোম্পানি (ব্যারাকে) থাকতেন। মাঝে মধ্যে খিলগাঁওয়ের বোনের বাসায় থাকতেন। তবে ব্যারাকে বেশি থাকতেন। চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আফসার বিভিন্নজনের কাছে তদবির করেন। কিন্তু, তার নামে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকায় তাকে কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের সুযোগ দেননি। তার সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা ছিল, ‘মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ও তার পুলিশের প্রতি আনুগত্যশীলতা দেখে তাকে আবার আগের পদে পুনর্বহাল করা যেতে পারে। কিন্তু, ঘটলো উল্টোটি।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, ‘সবুজবাগ থানায় কর্মরত থাকাকালীন যখন পুলিশের কনস্টেবল আফসার মাদকের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তখন আবুল কাসেম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আবুল কাসেম তখন মতিঝিলের ব্যাংকের পাশের গলিতে একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। আগে তিনি গাড়ির পার্টসের ব্যবসা করতেন। বাসাটি প্রায় ১ বছর আগে তিনি ছেড়ে দেন। পরে খিলগাঁও সি ব্লকের ৫২৭ নম্বর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে ওঠেন। ওই এলাকায় আবুল কাসেম মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলে। তার ওই এলাকার উঠতি সস্ত্রাসীদের সম্পর্ক আছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।
এদিকে, আফসার পুলিশের কনস্টেবল থেকে বরখাস্ত হওয়ার পরেই তার পুরোনো পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী আবুল কাসেমের যোগসাজসে শুরু করেন আবার মাদক ব্যবসা। আবুল কাসেমের খিলগাঁও বাসায় তিনি যাতায়াত শুরু করেন। ওই বাসায় মাদক বিক্রিসহ মাদকসেবনের আড্ডা বসতো। গত সোমবার রাতের বেলায় আফসার ও তার ব্যবসায়ী সহযোগী আবুল কাসেম ও ফজলুল রহমান ওই বাসায় মাদক ব্যবসার লাভ লোকসানের জন্য একটি বৈঠক করছিলেন। তারা দু’ঘণ্টা আগে একটি মাদক চোরাচালানকারী দলের দুই সদস্য ২৩৯ বোতল ফেনসিডিল তাদের দিয়ে যায়। এসময় ওই বাসায় পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবুল কাসেম সেখান থেকে আগেই চলে যায়।
পরে পুলিশ ফেনসিডিলসহ আফসার, ফজলুল ও আবুল কাসেমের স্ত্রী সুমিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। খিলগাঁওয়ের সি ব্লকের ৫২৭ নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলাটি তালা লাগানো। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ওই বাড়িটির একজন গৃহকর্মী জানান, ‘এক বছর হলো আবুল কাসেম নামে এক ব্যক্তি বাসাটি ভাড়া নেয়। ভাড়া নেয়ার পর সেখানে বিভিন্ন লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যায়। আবুল কাসেমের স্ত্রীর আটককৃত সুমির আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। একটি সন্তানও ছিল। তাকে ভাগিয়ে বিয়ে করে মাদক ব্যবসায়ী আবুল কাসেম। সুমির চালচলন ছিল অন্যরকম। ওই বাসায় খিলগাঁও থানা পুলিশের কয়েক সদস্যের যাতাযাত ছিল। তবে তারা সেখানে সিভিল ড্রেসে আসতো। আটককৃত সুমির গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরলের রবিপুর এলাকায়। ফজলুর রমানের পিতার নাম আবদুল ওদুদ। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার নোয়াগাঁও এলাকায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই এ কে এম শামসুল আলম জানান, ‘ফেনসিডিলসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে হাজির করলে পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল আফসার ও ফজলুরকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
No comments