আইএসের হত্যাযজ্ঞ থেকে যেভাবে বাঁচলেন তিনি
ফায়ারিং স্কোয়াডের লাইনে আলী হুসেইন কাদিমের নম্বর ছিল ৪। প্রথমজনকে গুলি করা হলো। তাঁর শরীর থেকে ফিনকি দিয়ে ছোটা গরম রক্ত এসে লাগল কাদিমের মুখে। কাদিমের তখন মনে পড়ছিল তাঁর শিশু মেয়েটির মুখ। হঠাৎ মনে হলো একটি গুলি তাঁর মাথার পাশ দিয়ে চলে গেল। তারপরই পাশে খোঁড়া গর্তে পড়ে গেলেন কাদিম। ২৩ বছরের টগবগে যুবক শিয়া মুসলিম আলী হুসেইন কাদিম ইরাকি সেনাবাহিনীর এক সদস্য। ইসলামিক স্টেট (আইএস) বাহিনীর সুন্নি জঙ্গিরা গত জুন মাসে অন্য কয়েক শ সেনার সঙ্গে তাঁকেও আটক করে।
আটক সেনাদের গোষ্ঠীগত পরিচয়ের ভিত্তিতে আলাদা করে ফেলে সুন্নি জঙ্গিরা। শিয়া সেনাদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। তারপরই ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তাদের। কাদিম বলেন, ‘হত্যাকারী আইএস যোদ্ধাদের একজন মৃতদেহগুলোর পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বুঝতে পারেন একজন সেনার শ্বাস-প্রশ্বাস তখনো চলছে। তখন আরেক যোদ্ধা বলেন, ‘ওকে কষ্ট পেতে দাও... ও একজন নাস্তিক।’ মরার ভান করে গুলিবিদ্ধ লাশের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা পড়ে থেকে বেঁচে যান কাদিম। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
No comments