সামরিক হুমকির মুখে দুর্বল হয়ে পড়েছেন ওবামা
সিরিয়া ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যের জল স্থল ও আকাশে বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা। এখন না তখন অথবা অমুক দিন সামরিক হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র একাই অথবা মিত্রদের নিয়ে। হঠাৎ পিছুহটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার। আরও বাজিয়ে-ঝাঁজিয়ে নিচ্ছেন যুদ্ধের মন্ত্র। যুদ্ধের সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রোহিত হয়েছে। এখন অপেক্ষা মার্কিন কংগ্রেসের। সেখানে যাই ঘটুকÑ বিশ্বের কূটনীতির কেন্দ্র এখন সিরিয়া। রাশিয়া, চীন ও ইরানের কঠোর বিরোধিতার মুখে যুক্তরাষ্ট্র হামলা করলে কি হবে তার ভবিষ্যৎ? মধ্যপ্রাচ্যে কি আদৌ শান্তি ফিরবে? নাকি গোটা মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসীর রাজত্ব কায়েম হবে? সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এরকম অসংখ্য প্রশ্ন নিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মুখোমুখি হয়েছেন জনপ্রিয় ফরাসি দৈনিক ‘লা ফিগারো’ এর প্রখ্যাত সাংবাদিক মালব্র“নট। সোমবার প্রেসিডেন্ট আল আসাদের দেয়া এ ঝড়তোলা
সাক্ষাৎকারটি যুগান্তরের পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হল। অনুবাদ : রাসেল পারভেজ
মালব্র“নট : মি. প্রেসিডেন্ট, মার্কিন ও ফরাসিরা অভিযোগ করছে- আপনার নির্দেশে ২১ আগস্টে ঘৌটায় রাসায়নিক হামলা হয়েছে যাতে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আপনার কাছে এমন কি তথ্য আছে যা প্রমাণ করে আপনার সামরিক বাহিনীÑ এ হামলা চালায়নি?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : প্রথমত, যারা এ ধরনের অভিযোগ করছে তাদের ওপরই দায়িত্ব বর্তায় অভিযোগ প্রমাণের তথ্য-উপাত্ত হাজির করা। আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি তাদের এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ও বৈধ প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। এরপর যখন থেকে তারা তাদের জনগণের স্বার্থের দোহাই দেয়া শুরু করেছে তখন আমরা তাদের জনমত যাচাইয়ের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছি এবং এক্ষেত্রেও তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে হামলা চালানোর যৌক্তিকতা কোথায়? আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি দুই বছরের সংকটের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক এক বছর আগের তুলনায় অনেক ভালো। তাহলে কেন সামরিক বাহিনী ঢাকঢোল পিটিয়ে গণহত্যা চালাতে যাবে?
আমি নিশ্চিত ও করছি না আবারও উড়িয়েও দিচ্ছি না যে, আমাদের এ ধরনের অস্ত্র আছে কি না। এটি আলোচনার বিষয় নয়। যুক্তির খাতিরে বলছি, সামরিক বাহিনীর যদি এ ধরনের অস্ত্র থেকেই থাকে এবং তারা যদি তা প্রয়োগ করতে চাই তাহলে এটা কি বিশ্বাসযোগ্য সেখানে তাদের অসংখ্য সেনা মোতায়েন রয়েছে ঠিক সে এলাকায় তারা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে? এর মধ্যে কোনো যুক্তি আছে কি? অধিকন্তু এও কি গ্রহণযোগ্য। জনবহুল এলাকায় এ ধরনের অস্ত্র প্রয়োগ করা হল কিন্তু হাজার হাজার মানুষ মরল না, বাতাসে ছড়িয়ে, যা ঘটার কথা ছিল?
মালব্র“নট : সিরীয় সেনারা কোথায় অস্ত্রের মুখে পড়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : ও হ্যাঁ, দামেস্কের উপকণ্ঠে ‘বাহারিয়া’ এলাকায়। জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক দল তাদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেছে।
মালব্র“নট : অনেকেই বলছে, ওই এলাকায় সামরিক বাহিনী অগ্রসর হয়েছিল এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিদ্রোহীরা দখল নেয়ার চেষ্টা করছিল। আপনি তাদের হটানোর উপায় খুঁজছিলেন।
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : আবারও বলছি, ওই এলাকাটি আবাসিক এলাকা। সেখানে রাসায়নিক হামলা হলে হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। এ ধরনের সব অভিযোগ ছাইপাস দিয়ে ঠাঁসা। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের দ্বারা ইন্টারনেটে প্রকাশিত অসত্য ছবি ও ভিডিওর ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মালব্র“নট : মার্কিনরা দাবি করছে, আপনার ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের গোপন টেলিফোন আলাপ হয়েছে। তিনি তাদের বলেছেন সামরিক কর্মকর্তারাই রাসায়নিক হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : যদি মার্কিন, ফরাসি বা ব্রিটিশদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকতো তাহলে প্রথম দিনেই তারা তা প্রকাশ করতে পারত। আমরা গুজবের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারি না। কারও কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে সে তা পেশ করতে পারে।
মালব্র“নট : আপনার অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো সেনা কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নিতে পারে- এটা কি সম্ভব?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : আবারও বলছি, কোনো দেশের রাসায়নিক অস্ত্র আছে কি নেই সেটি বিষয় নয়। তবে তার ব্যবহার কেন্দ্র থেকেই হয়। তাছাড়া সামরিক বাহিনীর বিশেষ একটি স্তরে এ ধরনের তথ্যগুলো থাকার কথা।
মালব্র“নট : কিন্তু এ ক্ষেত্রে জিহাদ মাকদিসি নামটি উচ্চারিত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : না, ওই সময় জিহাদ বলেছে, আমাদের কি এ ধরনের অস্ত্র রাখা উচিৎ? আমরা তা ব্যবহারও করতে পারি না। সমগ্র সিরিয়ায় এ ধরনের অস্ত্র থাকতেও পারে, নাও পারে।
মালব্র“নট : প্রেসিডেন্ট ওবামা সিরিয়ায় সামরিক হামলা স্থগিত করেছে। আপনি এটিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : যুদ্ধ বিলম্ব করায় ওবামাকে অনেকেই দুর্বল মনে করছে। আবার যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় অনেকে তাকে ক্ষমতাধর ভাবছে। আমি মনে করি, যুদ্ধ প্রতিহত করাই প্রকৃত শক্তি, তার মধ্যে গুলিয়ে যাওয়া নয়। ক্ষমতা হল মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি এবং ভুলগুলো শুধরে নেয়ার শক্তি। ওবামার যদি শক্তি থাকে তাহলে তার বলা উচিত সিরিয়া সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেনি। জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ দলের প্রতিবেদনের ফলাফল ও নিরাপত্তা পরিষদের মতামত পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিৎ। যাই হোক আমিও দেখছি, অভ্যন্তরীণ চাপ ও সামরিক হুমকির মুখে দুর্বল হয়ে পড়েছেন ওবামা। আমি মনে করি, তারাই খাঁটি নেতা যারা যুদ্ধ রোধ করে, যুদ্ধ উসকে দেয় না।
মালব্র“নট : কংগ্রেসের ভোটে ঠিক হবে যুদ্ধ হবে, কি হবে না- এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : ভোটের আগে তারা নিজের কাছে একটি প্রশ্ন করুক- আগের যুদ্ধগুলো থেকে আমেরিকা বা ইউরোপ কি পেয়েছে? লিবিয়া যুদ্ধ থেকে বিশ্ব কি অর্জন করেছে, শুধু সন্ত্রাসবাদ বিস্তার ছাড়া? এখন সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়ে তারা কি পেতে চাইছে?...
মালব্র“নট : যদি তারা হামলা করে তাহলে আপনি কীভাবে তাতে সাড়া দেবেন?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : আমরা যদি মধ্যপ্রাচ্যকে জ্বলনোম্মুখ এক ব্যারেল বারুদ ভাবি তবে তা বিস্ফোরিত হওয়ার ক্ষণ ঘনিয়ে আসবে। তখন তা আর শুধু সিরিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। প্রথম আঘাত থেকেই উত্তর পাবে তারা। ...
হামলার ভবিষ্যৎ হবে একদম অনিশ্চিত। তবে এটা ঠিক চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে তাণ্ডব, যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদ।
সাক্ষাৎকারটি যুগান্তরের পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হল। অনুবাদ : রাসেল পারভেজ
মালব্র“নট : মি. প্রেসিডেন্ট, মার্কিন ও ফরাসিরা অভিযোগ করছে- আপনার নির্দেশে ২১ আগস্টে ঘৌটায় রাসায়নিক হামলা হয়েছে যাতে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আপনার কাছে এমন কি তথ্য আছে যা প্রমাণ করে আপনার সামরিক বাহিনীÑ এ হামলা চালায়নি?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : প্রথমত, যারা এ ধরনের অভিযোগ করছে তাদের ওপরই দায়িত্ব বর্তায় অভিযোগ প্রমাণের তথ্য-উপাত্ত হাজির করা। আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি তাদের এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ও বৈধ প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। এরপর যখন থেকে তারা তাদের জনগণের স্বার্থের দোহাই দেয়া শুরু করেছে তখন আমরা তাদের জনমত যাচাইয়ের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছি এবং এক্ষেত্রেও তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে হামলা চালানোর যৌক্তিকতা কোথায়? আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি দুই বছরের সংকটের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক এক বছর আগের তুলনায় অনেক ভালো। তাহলে কেন সামরিক বাহিনী ঢাকঢোল পিটিয়ে গণহত্যা চালাতে যাবে?
আমি নিশ্চিত ও করছি না আবারও উড়িয়েও দিচ্ছি না যে, আমাদের এ ধরনের অস্ত্র আছে কি না। এটি আলোচনার বিষয় নয়। যুক্তির খাতিরে বলছি, সামরিক বাহিনীর যদি এ ধরনের অস্ত্র থেকেই থাকে এবং তারা যদি তা প্রয়োগ করতে চাই তাহলে এটা কি বিশ্বাসযোগ্য সেখানে তাদের অসংখ্য সেনা মোতায়েন রয়েছে ঠিক সে এলাকায় তারা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে? এর মধ্যে কোনো যুক্তি আছে কি? অধিকন্তু এও কি গ্রহণযোগ্য। জনবহুল এলাকায় এ ধরনের অস্ত্র প্রয়োগ করা হল কিন্তু হাজার হাজার মানুষ মরল না, বাতাসে ছড়িয়ে, যা ঘটার কথা ছিল?
মালব্র“নট : সিরীয় সেনারা কোথায় অস্ত্রের মুখে পড়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : ও হ্যাঁ, দামেস্কের উপকণ্ঠে ‘বাহারিয়া’ এলাকায়। জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক দল তাদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেছে।
মালব্র“নট : অনেকেই বলছে, ওই এলাকায় সামরিক বাহিনী অগ্রসর হয়েছিল এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিদ্রোহীরা দখল নেয়ার চেষ্টা করছিল। আপনি তাদের হটানোর উপায় খুঁজছিলেন।
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : আবারও বলছি, ওই এলাকাটি আবাসিক এলাকা। সেখানে রাসায়নিক হামলা হলে হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। এ ধরনের সব অভিযোগ ছাইপাস দিয়ে ঠাঁসা। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের দ্বারা ইন্টারনেটে প্রকাশিত অসত্য ছবি ও ভিডিওর ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মালব্র“নট : মার্কিনরা দাবি করছে, আপনার ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের গোপন টেলিফোন আলাপ হয়েছে। তিনি তাদের বলেছেন সামরিক কর্মকর্তারাই রাসায়নিক হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : যদি মার্কিন, ফরাসি বা ব্রিটিশদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকতো তাহলে প্রথম দিনেই তারা তা প্রকাশ করতে পারত। আমরা গুজবের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারি না। কারও কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে সে তা পেশ করতে পারে।
মালব্র“নট : আপনার অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো সেনা কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নিতে পারে- এটা কি সম্ভব?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : আবারও বলছি, কোনো দেশের রাসায়নিক অস্ত্র আছে কি নেই সেটি বিষয় নয়। তবে তার ব্যবহার কেন্দ্র থেকেই হয়। তাছাড়া সামরিক বাহিনীর বিশেষ একটি স্তরে এ ধরনের তথ্যগুলো থাকার কথা।
মালব্র“নট : কিন্তু এ ক্ষেত্রে জিহাদ মাকদিসি নামটি উচ্চারিত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : না, ওই সময় জিহাদ বলেছে, আমাদের কি এ ধরনের অস্ত্র রাখা উচিৎ? আমরা তা ব্যবহারও করতে পারি না। সমগ্র সিরিয়ায় এ ধরনের অস্ত্র থাকতেও পারে, নাও পারে।
মালব্র“নট : প্রেসিডেন্ট ওবামা সিরিয়ায় সামরিক হামলা স্থগিত করেছে। আপনি এটিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : যুদ্ধ বিলম্ব করায় ওবামাকে অনেকেই দুর্বল মনে করছে। আবার যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় অনেকে তাকে ক্ষমতাধর ভাবছে। আমি মনে করি, যুদ্ধ প্রতিহত করাই প্রকৃত শক্তি, তার মধ্যে গুলিয়ে যাওয়া নয়। ক্ষমতা হল মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি এবং ভুলগুলো শুধরে নেয়ার শক্তি। ওবামার যদি শক্তি থাকে তাহলে তার বলা উচিত সিরিয়া সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেনি। জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ দলের প্রতিবেদনের ফলাফল ও নিরাপত্তা পরিষদের মতামত পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিৎ। যাই হোক আমিও দেখছি, অভ্যন্তরীণ চাপ ও সামরিক হুমকির মুখে দুর্বল হয়ে পড়েছেন ওবামা। আমি মনে করি, তারাই খাঁটি নেতা যারা যুদ্ধ রোধ করে, যুদ্ধ উসকে দেয় না।
মালব্র“নট : কংগ্রেসের ভোটে ঠিক হবে যুদ্ধ হবে, কি হবে না- এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : ভোটের আগে তারা নিজের কাছে একটি প্রশ্ন করুক- আগের যুদ্ধগুলো থেকে আমেরিকা বা ইউরোপ কি পেয়েছে? লিবিয়া যুদ্ধ থেকে বিশ্ব কি অর্জন করেছে, শুধু সন্ত্রাসবাদ বিস্তার ছাড়া? এখন সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়ে তারা কি পেতে চাইছে?...
মালব্র“নট : যদি তারা হামলা করে তাহলে আপনি কীভাবে তাতে সাড়া দেবেন?
প্রেসিডেন্ট আল আসাদ : আমরা যদি মধ্যপ্রাচ্যকে জ্বলনোম্মুখ এক ব্যারেল বারুদ ভাবি তবে তা বিস্ফোরিত হওয়ার ক্ষণ ঘনিয়ে আসবে। তখন তা আর শুধু সিরিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। প্রথম আঘাত থেকেই উত্তর পাবে তারা। ...
হামলার ভবিষ্যৎ হবে একদম অনিশ্চিত। তবে এটা ঠিক চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে তাণ্ডব, যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদ।
No comments