জাওয়াহিরি: আল কায়েদার পুরোনো তাত্ত্বিক গুরু
মার্কিন কমান্ডো অভিযানে ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১৬ জুন আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতীয়তায় মিসরীয় জাওয়াহিরি মিসরের জঙ্গি ইসলামি সংগঠন ইসলামিক জিহাদ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছিলেন। পেশায় চোখের শল্যচিকিৎসক ছিলেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। অনেক আগে থেকেই তিনি আল-কায়েদার তাত্ত্বিক গুরু বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার তিনিই ছিলেন মূল পরিকল্পনাকারী।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০০১ সালে বিশ্বের ‘২২ শীর্ষ সন্ত্রাসীর’ যে তালিকা ঘোষণা করে, তাতে বিন লাদেনের পরেই জাওয়াহিরির অবস্থান ছিল। মার্কিন সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, এখনো তাঁর মাথার দাম আড়াই কোটি মার্কিন ডলার। ২০০১ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় জাওয়াহিরির এক স্ত্রী ও দুই সন্তান নিহত হন। তালেবানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযান শুরুর পর আত্মগোপনে চলে যান জাওয়াহিরি। নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তিনি সম্ভবত পাক-আফগান সীমান্ত অঞ্চলের কোথাও আছেন। কয়েকবার তাঁকে পাকড়াওয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ১৯৯৮ সালে আফ্রিকায় মার্কিন দূতাবাসে হামলায় আল-কায়েদার এই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ১৯৯০ সালে মিসরে জাওয়াহিরির অনুপস্থিতিতেই তাঁকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সূত্র: বিবিসি।
No comments